বিশ্বজমিন
জর্ডানে চিকিৎসা শেষে ফের গাজায় শিশু নিভেন, উৎকণ্ঠায় পরিবার
মানবজমিন ডেস্ক
(১৪ ঘন্টা আগে) ২১ মে ২০২৫, বুধবার, ৭:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

জর্ডানে ওপেন হার্ট সার্জারির পর পুনরায় গাজায় পাঠানো হয়েছে সাত মাস বয়সী শিশু নিভেনকে। এতে উৎকণ্ঠা জানিয়েছে তার পরিবার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার উত্তরে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি তাঁবুতে ছোট্ট শিশু কন্যা নিভেনকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এনাস আবু দাক্কা। সকালের তাপমাত্রা কমাতে তার পেছনে একটি ফ্যান ক্রমাগত ঘুরছিলো। এদিকে এনাস আশঙ্কা করেন, নিভেনের স্বাস্থ্য যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে। তার বয়স মাত্র সাত মাস। এছাড়া জন্মের সময় হৃদযন্ত্রে ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তিনি বর্ণনা করেন, কীভাবে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে তার মেয়ে বেঁচে আছে। এনাস বলেন, এই যুদ্ধ তার জন্য খুব কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে না এবং সে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায়। তার বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হলো গাজার বাইরে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়া। মার্চে জর্ডান সেই সুযোগ সৃষ্টি করে। এনাস বলেন, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর নিভেনসহ অসুস্থ ২৯ শিশুকে চিকিৎসার জন্য জর্ডানে পাঠানো হয়। ওই সময় নিভেনের মা ও বড় বোনও তার সঙ্গে ছিলেন।
গত মাসে গাজার ২ হাজার অসুস্থ শিশুকে নিজ দেশে সেবা দেয়ার ঘোষণা দেন জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ। এর পরই প্রথম ওই শিশুদের জর্ডানে পাঠানো হয়। জর্ডানের ডাক্তাররা সফলভাবে নিভীনের হার্টের সার্জারি করেন। এতে সে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে। তবে নিভেনের চিকিৎসার দুই সপ্তাহ পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে নিজের স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন এনাস। কারণ তারা তখন গাজায় অবস্থান করছিলেন। এরপর ১২ মে গভীর রাতে জর্ডানের কর্তৃপক্ষ এনাসকে বলেন, নিভেনের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। ওই দিনই তাদেরকে পুনরায় গাজা পাঠানো হচ্ছে। এ খবর শুনে এনাস হতবাক হয়ে যান। হতাশ হয়ে তিনি বলেন, আমরা যখন গাজা ছাড়ি তখন সেখান যুদ্ধবিরতি চলছিলো।
তবে এ পরিস্থিতিতে তারা (জর্ডান কর্তৃপক্ষ) আমাদেরকে কীভাবে ফেরত পাঠায়। এনাস বর্তমানে তার স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে গাজায় পুনরায় মিলিত হয়েছেন। তবে তার পরিবারের তরফে বলা হয়, নিভেনের চিকিৎসা সম্পন্ন না করেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তারা। এনাস বলেন, আমার মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। যা তাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিতে পারে। মাঝে মাঝে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে সে নীল হয়ে যায়। ১৩ মে জর্ডান ঘোষণা দেয় যে, চিকিৎসা শেষে ১৭ শিশুকে গাজায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর পরের দিন চার অসুস্থ শিশুকে গাজা থেকে জর্ডানে পাঠানো হয়েছে।