বিশ্বজমিন
ভেন্টিলেটর সরানো হয়েছে, কথা বলছেন সালমান রুশদি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৪ আগস্ট ২০২২, রবিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৮ অপরাহ্ন
ভেন্টিলেটর সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সাস’-এর লেখক সালমান রুশদির। তিনি কথা বলতে পারছেন। শুক্রবার তাকে নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাত করে হাদি মাতার (২৪) নামে এক যুবক। এরপর তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারে করে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রথমদিকে তার এজেন্ট অ্যানড্রু উইলি বলেছিলেন, সালমান রুশদি একটি চোখ হারাতে পারেন। তবে এর একদিন পরে শনিবার তিনি নিশ্চিত করেছেন ৭৫ বছর বয়সী এই লেখক কথা বলতে পারছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
দ্য স্যাটানিক ভার্সাস প্রকাশ হওয়ার পর সালমান রুশদিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। কারণ, মুসলিমরা মনে করেন এই উপন্যাসের মাধ্যমে ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। হামলাস্থল থেকেই হাদি মাতার’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সে নিজের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার দায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার জানা না গেলেও বেশকিছু লেখক ও পণ্ডিতজন টুইট করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যে, সালমান রুশদি এখন কথা বলতে পারছেন। যে চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউটে এই হামলা হয়েছে, তার প্রেসিডেন্ট মাইকেল হিলও এমন টুইট করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে প্রকাশ হয় সালমান রুশদির দ্য স্যাটানিক ভার্সাস উপন্যাস। এতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে ভয়াবহ অবমাননা করা হয়েছে বলে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরই এক পর্যায়ে সালমান রুশদিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনি ফতোয়া জারি করেন। যে ব্যক্তি সালমান রুশদিকে হত্যা করতে পারবে তাকে ৩০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। এই ফতোয়া এখনও বিদ্যমান, যদিও খোমেনির ওই ফতোয়া থেকে ইরান সরকার দূরত্ব বজায় রেখেছে। তবুও ২০১২ সালে ইরানের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকতা ৫ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রায় ১০ বছর আত্মগোপনে ছিলেন সালমান রুশদি।