শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালো নিউজিল্যান্ড

টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ জিতলে ধবলধোলাই করতে পারতো তারা। কিন্তু গতকাল ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। এতে করে ধবলধোলাই এড়িয়েছে কিউইরা। সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে গতকাল ৩ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২২৮ রানের লক্ষ্য ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় সফরকারীরা। নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণিতে রান তাড়ার মাঝপথে কিছুটা চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে কিউইদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ডিন ফক্সক্রফট ও জ্যাক ফুকস। দলের হয়ে ৪৩ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ফক্সক্রফট। ফুকস অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করেন রাইস মারিউ (৩৩) ও ডেল ফিলিপস। ১২তম ওভারে ফিলিপসকে (৩৪) বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দেন নাঈম। এরপর নাসুম-মোসাদ্দেক চেপে ধরেন কিউইদের। ১৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কিন্তু তিন স্পিনারের ১০ ওভারের কোটা শেষ হওয়ার পর ম্যাচ ধীরে ধীরে ছিটকে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। প্রত্যেকেই শিকার করেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে  টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ১০৪ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ১৫০ পেরোনো নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়। চার নম্বরে নেমে ইয়াসির ৬৫ বলে ৬৩ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেছেন। ৩টি ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ৭টি চার। দলীয় ১৪৬ রানে ফেরেন ইয়াসির। তখনো সংগ্রহটা বেশ ছোটই ছিল। এরপর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে লেজের ব্যাটারদের নিয়ে একা লড়াই চালিয়ে যান নাসুম আহমেদ। শেষ উইকেটে ইবাদত হোসেনের সঙ্গে ৪৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন নাসুম। এ জুটির কল্যাণেই স্কোর ২০০ পেরোয় বাংলাদেশের ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ইবাদত। ৯৭ বলে ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঁচটি ফিফটি থাকলেও লিস্ট ‘এ ক্রিকেটে এটিই তার সর্বোচ্চ ইনিংস এবং প্রথম ফিফটি। আগে সর্বোচ্চ ছিল ৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনার আদিত্য আশোক ৪৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪৮ ওভারে ২২৭ রানে শেষ হয় জুনিয়র টাইগারদের ইনিংস।