ঢাকা, ৫ মে ২০২৫, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

'মিয়ানমার জান্তা পারমাণবিক শক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে'

মানবজমিন ডিজিটাল

(৬ ঘন্টা আগে) ৫ মে ২০২৫, সোমবার, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৯ অপরাহ্ন

রাশিয়া নেপিদোতে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, জান্তা তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ কিয়াও মোয়ে তুন একথা বলেছেন। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং মার্চ মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের সাথে মিয়ানমারের নেপিদোতে প্রথম পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

২৮শে মার্চের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরেও রোসাটমের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়নি। বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের এই দূত উ কিয়াও মো তুন নিউইয়র্কে এক পরমাণু অস্ত্র  রোধ সংক্রান্ত সভায় বলেন, সরকার ভূমিকম্প ত্রাণের চেয়ে বেসামরিক নাগরিকদের উপর বিমান ও কামান হামলা এবং পারমাণবিক উন্নয়নের দিকে বেশি মনোযোগী। উ কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, সামরিক জান্তা ভূমিকম্পের মানবিক সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং আগামী দিনে পারমাণবিক প্রযুক্তিকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে জান্তা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ২২৫টি বিমান হামলা চালানোর জন্য জেট জ্বালানির অপব্যবহার করেছে এবং তারা পারমাণবিক শক্তিরও একইভাবে অপব্যবহার করবে। 

মোয়ে তুন বলেছেন, জান্তা সরকার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর  সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সাথে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে ।তাঁর  আশঙ্কা ,সরকার ২৮শে মার্চের ভূমিকম্প মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ছিল না, একইভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন হলে তার জন্যও প্রস্তুত থাকবে না। 

তুন বলেন, আমাদের একটি গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে যে, জান্তা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের কথা বলে সামরিক প্রয়োগের জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করতে পারে।

মিয়ানমারের বেসামরিক ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকার ২০১৭ সালের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিষেধ চুক্তি এবং ২০১৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি অনুমোদন করে। তবে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের ফলে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক প্রোটোকল পালন থেকে সরে আসে  মিয়ানমার। 

২০০২ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রথম পারমাণবিক গবেষণা চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করে, যা রাশিয়ার সাথে সাম্প্রতিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। সামরিক বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন যে নেপিদোতে সামরিক সদর দপ্তরের কাছে যেকোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হতে পারে।

সূত্র : irrawaddy

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status