ঢাকা, ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

মানবজাতির বিলুপ্তি এড়াতে বাড়াতে হবে জন্মহার, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

মানবজমিন ডিজিটাল

(১৪ ঘন্টা আগে) ৩ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:১৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীকে বেঁচে থাকতে হলে নিজেদের জন্মহারকে বৃদ্ধি করতে হয়। সেদিক থেকে দেখতে হলে এবার অবাক করা তথ্য এল গবেষকদের হাতে। বিশ্বে বর্তমানে কমছে মানুষের জন্মহার। একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, বিশ্বের অনেক অংশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলিতে, প্রতি নারী পিছু  ২.১ উর্বরতার  (Replacement level fertility বা RLF) হার মানব বিলুপ্তি রোধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। পরিবর্তে, গবেষণাপত্র অনুসারে, এই অঞ্চলগুলোতে প্রতি নারীর জন্য উর্বরতার হার কমপক্ষে ২.৭  হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন যে ১৯৬০-এর দশকে বিশ্ব তার সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার অনুভব করেছিল ।  ২০৩০ সালে এটি ৮.৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষকরা  মানুষের জনসংখ্যার বহন ক্ষমতা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধের উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।  দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এমন অঞ্চলে বাস করে যেখানে মোট উর্বরতা হার প্রতিস্থাপন স্তরের উর্বরতার (RLF) নীচে। 

বিশেষজ্ঞরা গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছেন যে প্রতি নারীর ২.১ শিশুর জন্মদানের  জনসংখ্যাগত পরিবর্তনশীলতা বহু প্রজন্ম ধরে জনসংখ্যা টিকিয়ে  থাকার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে।তারা দেখেছেন যে, মানবজাতির চূড়ান্ত বিলুপ্তি এড়াতে প্রতি নারীর কমপক্ষে ২.৭ সন্তানের উর্বরতা হার প্রয়োজন - বিশেষ করে ছোট মাপের জনসংখ্যার ক্ষেত্রে।  গবেষণাপত্র অনুসারে, এটা মনে রাখা উচিত যে উন্নত দেশগুলোতে  ইতিমধ্যেই এই শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এই দেশগুলোতে জনসংখ্যার বিশাল আকারের কারণে বিলুপ্তি তাৎক্ষণিক সমস্যা নয়। তবে, বর্তমান ফলাফলগুলো  ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।  

প্রায় সকল ব্যক্তির পারিবারিক বংশধারা বিলুপ্ত হওয়ার পথে, যেখানে খুব কম ব্যতিক্রমই বহু প্রজন্ম ধরে টিকে থাকতে পারে। ভাষাগুলোও  বিলুপ্তির ঝুঁকির মুখোমুখি। বিশ্বের ৬,৭০০ টিরও বেশি কথ্য ভাষার মধ্যে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হওয়ার হুমকির মুখে  রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "একটি ভাষার বিলুপ্তির ফলে একটি সংস্কৃতি, শিল্প, সঙ্গীত এবং মৌখিক ঐতিহ্যের বিলুপ্তি ঘটে।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি, সেখানে জনসংখ্যা বিলুপ্তির ঝুঁকি কম, যা সময়ের সাথে সাথে আরও বংশধরদের টিকে থাকতে সাহায্য করে।গবেষকদের মতে, তাই প্রচলিত উর্বরতা লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। গবেষণাটি PLOS One জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: ডাউন টু আর্থ

পাঠকের মতামত

'দারিদ্রের আশঙ্কায় নিজেদের সন্তান হত্যা করো না। আমি তাদেরকেও রিযিক দেবো এবং তোমাদেরকেও। আসলে তাদেরকে হত্যা করা একটি মহাপাপ।' সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৩১। যিনি মানব জাতির স্রস্টা তিনি তাদের জন্য বসবাসের উপকরণ, খাদ্য, পানি এবং দিন সৃষ্টি করেছেন কর্মের ও রাত সৃষ্টি করেছেন বিশ্রামের জন্য। দিনের বেলায় কর্ম করে মানুষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আল্লাহর দেয়া রিজিক সন্ধান করার জন্য। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 'অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।' সূরা জুমআ', আয়াতঃ১০। এবং সম্পদের সুসম বণ্টন করতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন। কারণ তিনি সব মানুষকে সমান পরিমাণ সম্পদ দেননি। কারণ তিনি ইচ্ছে হচ্ছে যাদেরকে তুলনামূলক বেশি সম্পদ দিয়েছেন তারা মানবিকতার পরিচয় দিয়ে কম সম্পদশালীদের দান করুক। তাহলে পরষ্পরের প্রতি সম্প্রীতি ও আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠবে। যা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য জরুরি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 'তাদের সম্পদে অধিকার ছিল প্রার্থী ও বঞ্চিতদের।' সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত:১৯। আল্লাহ আরও বলেন, 'যাতে ধন-সম্পদ কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যে পুঞ্জীভূত না হয়ে যায়’। (সূরা হাশর: ০৭) সুতরাং, সন্তান হত্যা করে দারিদ্র্যের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার চিন্তা অবান্তর।

আবুল কাসেম
৩ মে ২০২৫, শনিবার, ৮:০৭ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status