অনলাইন
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আর মধ্যস্থতা নয়, সরে এলো আমেরিকা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৬ ঘন্টা আগে) ৩ মে ২০২৫, শনিবার, ৩:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আর মধ্যস্থতা করবে না যুক্তরাষ্ট্র, যুদ্ধের অবসান কীভাবে করা যায় তা নির্ধারণের ভার দুই দেশের ওপর ছেড়ে দেয়া হলো। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, আমেরিকা আর ‘মধ্যস্থতাকারী’ হবে না। নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্রুস বলেন, ‘আমরা সারা পৃথিবীতে বৈঠকে মধ্যস্থতা করার জন্য দৌড়ে বেড়াব না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘এখন ‘দুই পক্ষের মধ্যে’ এই সংঘাতের অবসান কীভাবে হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা উপস্থাপন করা উচিত।’’ যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, দুই দেশ যাতে কোনও চুক্তিতে পৌঁছায়, সে জন্য আমেরিকা বদ্ধপরিকর। এর আগে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। তারা দু’জনেই জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের।
ভান্স সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেন, ‘একটা চুক্তিতে পৌঁছনো এবং এই নির্মম যুদ্ধ থামানোর দায়িত্ব দুই দেশের। এটা খুব শিগগিরই শেষ হবে না।’
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই খনিজ চুক্তি করেছে আমেরিকা ও ইউক্রেন। এর ফলে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দুর্লভ কিছু খনিজের নাগাল পাবে আমেরিকাও। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি খনিজ চুক্তির মাধ্যমে কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যা বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সংসদে রাজনীতিবিদদের অনুমোদনের জন্য ভোট দেয়ার জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ইউক্রেনের আশা, এর ফলে কিয়েভের কাছে আরও কিছু অস্ত্র বিক্রি করবে আমেরিকা, যা নিয়ে অতীতে বিধিনিষেধ ছিল। শ্যামিহাল বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের দেশকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে আমেরিকান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদের আকাশকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘‘পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘সত্যিকারের ঐতিহাসিক’ ভ্যাটিকান বৈঠকের মাধ্যমে এই চুক্তি হয়েছে।’ যেকোনো শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেন একচুলও ভূমি ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট। পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ‘কিয়েভের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন অবিচল রয়েছে।’ সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট