অনলাইন
অসুস্থ বাবার পাশে থাকতে চেয়ে রাজপরিবারে ফিরতে চান হ্যারি
মানবজমিন ডিজিটাল
(২০ ঘন্টা আগে) ৩ মে ২০২৫, শনিবার, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন চাইছেন বৃটিশ রাজ পরিবারের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে মনের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। হ্যারির বাবা অর্থাৎ কিং চার্লস ক্যানসারে আক্রান্ত। তার আয়ু কমছে। আর এই অনুভূতিটাই হ্যারিকে অন্তর থেকে বদলে ফেলেছে। বাকি জীবনটা বাবার পাশে থাকতে চেয়ে রাজপরিবারে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি। সেইসঙ্গে তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে আর লড়াই করতে চান না।
প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী রাজবধূ মেগান বাকিংহাম প্যালেসে ততটা সমাদৃত নন। সেলিব্রিটি মেগানের জীবনযাপনের সঙ্গে নাকি রাজ-ঐতিহ্য ঠিক খাপ খায় না। তাই নিজের পছন্দে বিয়ের পরই হ্যারি রাজপরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী ‘রাজ’ তকমাও মুছে ফেলতে চান ডিউক অব সাসেক্স। তাই লন্ডন ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। নিজের পরিবারে উত্তরাধিকার সূত্রে যে আর্থিক সুবিধা হ্যারি ও তার পরিবারের পাওয়ার কথা, তার সবটাই ছেড়ে আসেন। আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে একাধিক ব্যবসা শুরু করেন। সঙ্গ দেন মেগানও। ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই ছেলেমেয়ে প্রিন্স আর্চি ও প্রিন্সেস লিলিবেটকে নিয়ে দিন কাটছিল ভালোই।
যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন তিনি এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার স্তর নিয়ে আপিলে হারার পর ক্যালিফোর্নিয়ায় বিবিসি নিউজের সঙ্গে কথা বলেন রাজপুত্র। শুক্রবারের আদালতের রায়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না। তবে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন চাই। আর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে নেই, জীবন মূল্যবান।
রাজপুত্র তার নিরাপত্তায় যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল তা ২০২০ সালে বাতিল করতে চেয়েছিলেন, যখন তিনি একজন কর্মরত রাজপরিবারের পদ থেকে পদত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাদের। দাদি রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যে ছেলেমেয়েসহ উপস্থিত হয়ে নিয়ম রক্ষাটুকু করেছিলেন হ্যারি-মেগান। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে এই লড়াই হয়েছে অনেক। আর দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়ে যেতে চান না চার্লস ডায়নার ছোট ছেলে।
রাজপুত্র হ্যারির কথায়, আমার পরিবার হয়ত অনেক কারণেই আমাকে ক্ষমা করতে পারবে না। কিন্তু আমি ভীষণ বিধ্বস্ত! এতটাই বিধ্বস্ত যে এখন মনে হয়, আমার এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী, এটা বোধহয় তাদের কাছে জয়ের শামিল। সেটাও আমি মেনে নিচ্ছি।
সূত্র: বিবিসি