বিশ্বজমিন
রাশিয়ায় সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করলো উত্তর কোরিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১:৪৬ অপরাহ্ন

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করেছে মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র উত্তর কোরিয়া। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও এবারই প্রথম রাশিয়ার পক্ষে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করেছে পিয়ংইয়ং। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করতেই সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টি রাশিয়া নিশ্চিত করার কয়েকদিন পরেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করলো পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল যে, কুরস্কে সহায়তা করার জন্যই পিয়ংইয়ং গত বছর ১০ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠিয়েছিল।
কেসিএনএ তার রিপোর্টে বলেছে, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উপ-ইউনিটসমূহ রাষ্ট্রপ্রধানের আদেশ অনুযায়ী কুরস্ক অঞ্চল মুক্ত করার অভিযানে অংশ নিয়েছিল। কিম মনে করেন ন্যায়ের জন্য মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে তার সৈন্য বাহিনী। তিনি বলেছেন, ন্যায়ের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে, তারা সকলেই মাতৃভূমির গর্ব ও সম্মানের প্রতিনিধি। তিনি ‘যুদ্ধের কৃতিত্বের’ স্মরণে শিগগিরই রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করবেন। এতে নিহত সৈন্যদের সম্মানে সমাধিফলক তৈরি করা হবে। যাতে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা যে রাশিয়া যুদ্ধে নিহত হয়েছেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
রাশিয়ার চিফ অফ স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ শনিবার উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের বীরত্বেও প্রশংসা করে বলেছেন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর দলকে পরাজিত করতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সৈন্য মোতায়েনের তথ্য প্রকাশ করেছে। সিউলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট ইয়াং মূ-জিন এএফপিকে বলেন, তারা মনে করেছে, সৈন্য মোতায়েনের বিনিময়ে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্ষতির চেয়েও বেশি লাভজনক হবে। তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত রাশিয়ার কাছ থেকে আরও বেশি পুরস্কার আদায়ের লক্ষ্যেই নিজেদের অবদানকে বিজয়ী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। উত্তর কোরিয়া সৈন্যদের জন্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষও প্রশমিত করতে সক্ষম হবে এবং এটি পিয়ংইয়ংয়ের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।