বিশ্বজমিন
পিটিআইয়ের রিপোর্ট
বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ দিন আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সরকারি বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা উন্মুক্ত থাকতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই এই সংগঠনের সদস্য। ফলে ভারতের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ভারতের সরকারি ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্থল বন্দর বা বিমানবন্দরগামী ভারতীয় স্থল কাস্টমস স্টেশন ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্যবাহী কার্গোকে পণ্য পরিবহন করতে দেয়া হবে না। সরকার এরই মধ্যে এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এর আগে বাংলাদেশকে দেয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের রপ্তানিকারকরা, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল। ভারতের দেয়া এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার কারণে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মতো দেশে বাংলাদেশ মসৃণভাবে পণ্য রপ্তানি করতে পারতো। ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয় ভারত। ৮ই এপ্রিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের সার্কুলার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সংশোধনী অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে যেসব পণ্যবাহী কার্গো ভারতে প্রবেশ করেছে তাদেরকে ওই সার্কুলারে দেয়া প্রক্রিয়ার অধীনে ভারতীয় অঞ্চল থেকে বেরিয়ে যেতে দেয়া হবে। ভারতের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন ভারত ও বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগের সার্কুলারের অধীনে ইন্ডিয়ান ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনস (এলসিএস) হয়ে ভারতের স্থল বন্দর ও বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের কার্গোকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এর অধীনে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি হতো। বাণিজ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাক, জুতা, জেমস ও অলঙ্কারের মতো ভারতীয় রপ্তানি খাতের সহায়ক হবে।
বস্ত্র শিল্পে ভারতের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্সের (এফআইইও) মহাপরিচালক অজয় সাহাই বলেন, এখন আমাদের কার্গোর জন্য অধিক পরিমাণ সক্ষমতা পাবো। অতীতে বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়ার কারণে এক্ষেত্রে স্থান সংকুচিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন ভারতের রপ্তানিকারকরা। ওদিকে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকদের সংগঠন এইপিসি বাংলাদেশকে দেয়া সুবিধা স্থগিত করার আহ্বান আগেই সরকারের কাছে জানিয়েছিল। কারণ, ওই সুবিধার মধ্য দিয়ে দিল্লি এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বিষয়ক কার্গোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এইপিসির চেয়ারম্যান সুধীর সেখরি বলেন, প্রতিদিন দিল্লিতে লোড করা ২০ থেকে ৩০টি ট্রাক এসে পৌঁছে। এর ফলে কার্গোগুলোর মসৃণ চলাচল ধীরগতির হয়ে যায়। ফলে বিমান সংস্থাগুলো অনুচিত সুবিধা নিচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে বিমান ফ্রেইটের ভাড়া। রপ্তানি কার্গোগুলো হস্তান্তর ও প্রক্রিয়াকরণ বিলম্বিত হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে মারাত্মক জট সৃষ্টি হয়। থিংকট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্স ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ফলে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বিঘ্নিত হতে পারে। এর আগে বাংলাদেশকে যে মেকানিজম বা সুবিধা দেয়া হয়েছিল তা ব্যবহার করে ভারতের ভিতর দিয়ে রুট ব্যবহার করতে পারতো। এতে ট্রানজিট সময় ও খরচ কম হতো। কিন্তু এখন সেই সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি যৌক্তিকভাবে বিলম্বিত হতে পারে। খরচ বাড়তে পারে। অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের জন্য ট্রানজিট সুবিধা বিধিনিষেধে আটকে দেয়ার ফলে স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটান উদ্বেগ জানাতে পারে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করেন শ্রীবাস্তব। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, ভূমিবেষ্টিত দেশগুলো থেকে এবং সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ট্রানজিট সুবিধার স্বাধীনতা অনুমোদিত। এর অর্থ হলো এই ট্রানজিটে কোনো বিধিনিষেধ থাকতে পারবে না। অপ্রয়োজনে বিলম্ব করা থেকে তা মুক্ত থাকতে হবে। উল্লেখ্য, জেনেভাভিত্তিক এই সংগঠনের সদস্য বাংলাদেশ এবং ভারত উভয়েই।
পাঠকের মতামত
AGE BANDHO HALO VISA EKHON TRANSIT SUBIDHE BANDHO HALO .ER PORE KI HOBE SETAI DEKHAR BAKI .
হাসিনা চায় মোদিকে দিয়ে বাংলাদেশের ধ্বংস করতে, এইজন্য মোদি সরকারকে দিয়ে একের পর এক পলিসি মারছে ! মোদির বর্তমানের পলিসিতে বাংলাদেশের কিছুটা অসুবিধা হলেও ভারত যে অনেকটা বেঁচে যাবে বা মুক্তি পাবে, সেটা কিন্তু নয় ? অপরকে আটকাতে গেলে নিজের কিছু যে একটা ছাড় দিতে হবে সেটা চিরন্ত সত্য।
India allowed this process only from 2020. Bangladesh could do business before that. Bangladesh can do business again without this facility.
The Bangladeshi government must cancel all Indian trans-shipments to the Indian north-east states through Bangladesh. India must remember that India needs Bangladesh more than Bangladesh needs India.
বাংলাদেশে ভারত যে ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে তাও বন্ধ করে দেয়া হোক।
ভারত পুরো বাংলাদেশকে তার করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে । এইসব সুবিধা বাতিলের পথ খুললো ।
মূল বিষয় হলো, ভারতের ভুখন্ড ব্যাবহার করে আমরা নেপাল এবং ভুটানে পন্য রপ্তানি করতাম। এটা বন্ধ হলে ভারত নিজেই সেখানে রপ্তানি সুবিধা নিবে।
"আমরা এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক"!
আর ভারত এতদিন বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর ও সড়ক অবাধে ব্যবহার করেছে তার কি ইম্প্যাক্ট হবে !?
আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিলে দাদাবাবুদের জন্য খুব মজার কিছু অপেক্ষা করছে যা টের পাবে কলকাতার ব্যবসায়ী ও হাসপাতালগুলোর মতোই।
ভারত বয়কট চলছেই চলবে। ভারত বাংলা দেশের মাটি থেকে যত দূরে থাকবে বাংলা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ থাকবে ততটাই
এটা ত আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। ভারত এটা করতেই পারে না। WTO চুক্তি লংগিত হবে। যদিও নেপাল ভুটানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ অতি সামান্য। ড. ইউনুস এর বাংলাদেশকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
ধন্যবাদ, এবার পাটকেল এর জন্য তৈরি থাকো দাদা বাবু !! এক দরজা বন্দ তো হাজার দরজা খোলা। আন্ত্রজাতিক আদালতের শাস্তির জন্য অপেক্ষা কর চান্দু !! গু গু দেখেছ প্যাঁদ দেখনি !!!
বাংলাদেশে ভারত যে ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে তাও বন্ধ করে দেয়া হোক।
ভারতকে ট্রানজিটের অনুরোধ না করে ভারতের ট্রানজিটগুলো অনতিবিলম্বে একইভাবে বন্ধ করা হোক। তাহলে খুলতে সহজ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়
বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করা হলে বাংলাদেশ কোন দুঃখে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিবে?
বাংলাদেশেরও উচিৎ দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া।
২০ থাকে ৩০টি ট্রাক। হাহাহাহা
বাংলাদেশে ভারত যে ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে তাও বন্ধ করে দেয়া হোক।
চাণক্য বুদ্ধি তে জটিলতা সৃষ্টি করা হলো? Wait tit for tet.... ( আমাদের রাস্তা, আমাদের পোর্ট, আমাদের নদী পথ আমাদের.....)