বিশ্বজমিন
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে কী ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এ দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর দিয়েছে দ্য জাপান টাইমস। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার হামলার পরপরই প্রকাশ্যে ভারতের প্রতি সমর্থন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তাৎক্ষণিক পাকিস্তান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। পরে ২২ এপ্রিলের ওই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ দৃঢ়ভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি একটি ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং আমরা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ভারত ও পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করছি। উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ইস্যুতে ভারতের প্রতি প্রবল সমর্থন এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ওয়াশিংটন। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর। ২০২১ সালে প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ওয়াশিংটনের কাছে পাকিস্তানের গুরুত্ব হ্রাস পেলেও, এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলা করার লক্ষ্যে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে পাশে রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি ঘনিষ্ঠ ভারত। তিনি বলেন, যদি ভারত সামরিক প্রতিশোধের দিকে আগায় তাহলে ইসলামাবাদের জন্য চিন্তুার কারণ হবে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে এবং ভারতকে আটকানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে পারে।
কুগেলম্যান আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে ওয়াশিংটনের জড়িত থাকা এবং চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিকভাবে বেশ কিছু বিষয় মোকাবেলা করছে। অন্তত উত্তেজনার প্রাথমিক দিনগুলোতে ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের নিজেদের ওপর ছেড়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং হাডসন ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের একজন সিনিয়র ফেলো হুসেইন হাক্কানি। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ওয়াশিংটনের কোনো আগ্রহ নেই বলেই মনে হচ্ছে।