অনলাইন
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
অনলাইন ডেস্ক
(১২ ঘন্টা আগে) ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তের মধুপুর গ্রামের ওপারে ভারতের অংশে ওবায়দুল নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওবায়দুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ৭-৮ জন শনিবার মধ্যরাতে ভারতে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে বিএসএফ তাদের ঘেরাও করে। ওই সময় অন্যরা পালিয়ে এলেও ওবায়দুল ও মিকাইল আটকা পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরেই গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে সীমান্তের ভারতীয় অংশে ওবায়দুলের মরদেহ পড়ে ছিল। অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে মিকাইল বাড়ি ফিরেছেন।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিএসএফের ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ফোন করে একজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মরদেহটি বাংলাদেশি কিনা তা তারা নিশ্চিত করেনি। ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানায় মরদেহ রাখা আছে। মরদেহটি বাংলাদেশি কিনা তা নিয়ে কারো কোনো বক্তব্য থাকলে বিএসএফ ও বাগদা থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সীমান্তে ১০ বছরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে কমপক্ষে ৩০৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ২৮২ জন বলে জানায় এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এই সংগঠনটির তথ্যমতে সীমান্তে গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে ২০২০ সালে। ওই বছর ৫১ বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন ২৫ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিহত হন ২০১৫ সালে। ওই বছর ৪৩ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন ৫৪ জন। ২০১৯ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪২ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। একই বছর আহত হন ২৫ বাংলাদেশি।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ২৫ জন আহত হন। ২০২৩ সালে নিহত হন ৩০ জন ও আহত হন ৩১ জন; ২০২২ সালে নিহত ২৩ জন ও আহত ৩১ জন; ২০২১ সালে নিহত ১৭ জন ও আহত ১৪ জন; ২০১৮ সালে নিহত হন ১৫ জন ও আহত হন ১২ জন; ২০১৭ সালে নিহত হন ৩০ জন ও আহত হন ৩৭ জন এবং ২০১৬ সালে ২৮ বাংলাদেশি নিহত হন, আহত হন ২৮ জন।