বাংলারজমিন
হাতিবান্ধার পাচারের শিকার কলেজছাত্রী এখন শিলিগুঁড়ি কারাগারে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১২ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
বাংলাদেশি কলেজছাত্রী কুলছুম আক্তার মনি। নাচ-গানে চতুর। প্রেমের টানে এখন ভারতের কারাগারে। প্রতারক প্রেমিক তিলকসহ আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের শিলিগুড়ি পুলিশ। কুলছুম লালমনিরহাট হাতীবান্ধা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, হাতিবান্ধার সিঙ্গিমারীর কলেজছাত্রী কুলছুম হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকার ধনঞ্জয়ের পুত্র তিলকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। তিলক মুসলিম হবে এই শর্তে দুইজনে বিয়ের সিদ্ধান্তও নেয়। তিলক প্রেমের ফাঁদে কুলছুমকে চোরাই পথে ভারতে নিয়ে যায়। পাচারের বিষয়টি বুঝতে পারে কুলছুম। ওদিকে গত বছরের গত ৫ই ডিসেম্বর কুলসুমের বড় ভাই কামরুজ্জামান লুলু বাদী হয় তিলকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক সুকুমার রায় ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার না করেই ২ আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দিয়েছে আদালতে। অবশেষে কুলছুমকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে ওই কিশোরী কুলছুমের বাঁচার আকুতি ভিডিও ভাইরাল করে। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও ভাইরালে কিশোরীর ভাই ভারতীয় শিলিগুড়ি পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে। আটক করে তিলক ও তার সহযোগীকে। ভারতে অবস্থানরত তার ভাইকে জানায়, পাচারের কাজে সহায়তা করে হাতীবান্ধা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা। ওই পুলিশ সহযোগিতা করে অপহরণকারী তিলককে। মেয়েকে উদ্ধার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে ভারতীয় পুলিশ। অপরদিকে হাতিবান্ধা থানার এস আই সুকুমারের দাবি তার বিরুদ্ধে টাকা নেয়া ও পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগটি সাজানো। তিনি শুধু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম পুরো বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সত্যতা যাচাই করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।