চাঁপাই নবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এলাকাছাড়া

চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গত রোববার কৃষকদলের সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৪ দিনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে শিবগঞ্জে কোনো নেতাকর্মী নেই। দলীয় কর্মীরা বলছেন, তাদের মধ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অধিকাংশ নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
এর আগে রোববার রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৯০-১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়া, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ৪ জনকে আহত করার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। শিবগঞ্জ থানার এস আই শিহাব উদ্দীন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পুলিশের দায়ের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোববার বিকালে শিবগঞ্জে এক সমাবেশের আয়োজন করে পৌর ও উপজেলা কৃষকদল। তেল, গ্যাস, সারসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ঘন ঘন লোডশেডিং এবং ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম ও ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা।

এ সময় পুলিশ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ পুলিশ সদস্য এবং বিএনপি’র ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া বলেন, শিবগঞ্জে কৃষকদলের সমাবেশে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমিও আহত হয়েছি। বিএনপি’র নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরাও আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরা দায়ী নয়। হামলার পর শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে। প্রতি‌দিন পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে অভিযান চালাচ্ছে গ্রেপ্তারের ভয়ে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আজ ঘরছাড়া। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলার গত ৪ দিনে বিএনপি’র ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।