অনলাইন
কুুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে এবার অনশনে বসছেন শাবিপ্রবির ২ শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি সংবাদদাতা
(১ মাস আগে) ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুুয়েট) ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার ও হাফিজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপে একটি পোস্ট দিয়ে এ বিষয়টি জানান তারা।
পলাশ বখতিয়ার পোস্টে লিখেন, আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ না করা হলে আমি পলাশ বখতিয়ার কুয়েটের অনশনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনে বসবো।
এর কিছুক্ষণ পর হাফিজুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থীও অনশনে বসার বিষয়টি তার ফেসবুকে আইডিতে ঘোষণা করেন করেন। তিনি পোস্টে লেখেন, আজ রাতের মধ্যে কুয়েটের ভিসিকে অপসারণ না করা হলে আমি হাফিজুল ইসলাম কুয়েটের অনশনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনে বসবো।
পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ বখতিয়ার বলেন, কুয়েটের ভিসি পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। একদিন পার হয়ে গেলেও এখনো দাবি মেনে নেয়া হচ্ছে না। ভিসি না কি বলছে, মেজরিটি (অধিকাংশ) ছাত্ররা তার পক্ষে আছে। যারা অনশন করছে তারা মেজরিটি না। আমি মনে করি, শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছে। দাবি আজকের মধ্যে মানা হোক। না হলে কাল থেকে আমিও আমরণ অনশনে বসবো।
এদিকে কুুয়েট ইস্যুতে মুখ খুলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে আজ বিকালে একটি পোস্টে জানান, কুয়েটের শিক্ষার্থী আন্দোলন ইস্যুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। উনি ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। আগামীকাল ইউজিসি থেকে একটি প্রতিনিধিদল সরজমিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কুয়েটে যাবেন। তারপর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের একদফা দাবিতে গতকাল থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থী। অনশনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুলনার প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত
সম্ভবত: এটি সব ছাত্রের সাথে সংকট নয়। দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সমস্যা। দায়িত্বশীলতার সাথে এই সংকটের সমাধান প্রয়োজন। একই সাথে যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতিনিয়ত সমগ্র ছাত্র সমাজের নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
বিষয়টি কে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় জটিল করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচিত একটা নিরেপেক্ষ অবস্থান নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে ভিসিকে প্রটেকশন দিয়ে সুষ্ঠ সমাধানের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
