নির্বাচিত কলাম
হতভাগার চিঠি ১৮
দায় অন্য কাউকে দেয়া বোকামি
শামীমুল হক
(১ সপ্তাহ আগে) ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন

প্রিয় হাসু আপা, আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে আপনাকে জানাই অভিনন্দন। দূর দেশে বসে আপনি যে ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন এ জন্য আপনাকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ভাষণ, নেতাকর্মীদের প্রতি সহিংস কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা বাংলাদেশের সকল মানুষ মন ভরে শুনছেন। তারা বলছেন, নেত্রী তো একেই বলে। যিনি নিজের দোষ অবলীলায় অন্যের ঘাড়ে নির্বিঘ্নে চাপিয়ে দিতে পারেন। সত্যিই আপা আপনি পারেনও বটে। ইতিমধ্যে আপনার নির্দেশনার কিছু বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। সেদিন দেখলাম কয়েকজন লোক নিয়ে ভোরে মিনিট দশেকের একটি মিছিল হয়েছে। গুলিস্তান এলাকায় হওয়া এ মিছিল হওয়ার পর মানুষ বলছে, আপনি ক্ষমতায় থাকতে আপনার অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তারের ভয়ে বিরোধী নেতাকর্মীরা এমনভাবে ঝটিকা মিছিল করতো। তারপরও তাদের আপনি ছাড়তেন না। ছবি দেখে আপনার পুলিশ বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করতো। আর আপনি তা দেখে মিটিমিটি হাসতেন। আচ্ছা আপা, সেদিনের ভোরের সেই ঝটিকা মিছিল দেখে আপনিও কি হেসেছেন? বড় জানতে ইচ্ছে করে। আবার প্রশ্ন জাগে আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর আপনার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির সকল নেতা গাঢাকা দিয়েছে। ষোল বছরের ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকাতে তারাই লুটেপুটে খেয়েছে দেশটাকে। আপনি সবই জানতেন। কিন্তু কিছু বলতেন না। বরং আশকারা দিয়েছেন।
আপাগো, এখন কতো কথা মনে হয়।
এই যে ধরুন না ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে আপনি কতোই না কসরত করেছেন। নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। আবার নির্বাহী ক্ষমতায় তাকে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। একাধিকবার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলেও বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারমিশন দেননি। আপনার মহত্ত্ব বোঝাতে বক্তৃতা- বিবৃতিতে সবসময় বলতেন, আমি খালেদার প্রতি দয়া দেখিয়েছি বলেই তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। আবার তারেক রহমানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেবেন। একাধিকবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আবার তার দল থেকে আন্দোলন তো সবসময়ই ছিল। আপনি আইনের দোহাই দিয়ে তাকে দিনের পর দিন আটকে রেখেছেন। কিন্তু আপনি পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এটাও নির্বাহী আদেশে। এখন পারলে আপনি পারলেন না কেন? আসলে আপনার ভয় ছিল খালেদাকে নিয়ে। তাই না আপা? কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার কোনো কৌশলই তো টিকলো না। ২০০০ মানুষকে গণহত্যা চালিয়েও আপনি পার পেলেন না। মানুষ হাসি মুখে বুক পেতে দিয়েছে বুলেটের সামনে। তবুও তারা আপনার মতো নিষ্ঠুরতম স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়নি। আর চায়নি বলে তারা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। হেলিকপ্টার থেকেও আপনি আপনার জনগণের ওপর বুলেট ছুড়েছেন। আবার আপনিই ইদানীং সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা বলে যাচ্ছেন ওরা ২০০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আপনার আক্রোশ নতুন নয়। এটা পুরনো। এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া আপনার বক্তব্য, নেতাকর্মীদের দেয়া নির্দেশনার ফাঁকেও ড. ইউনূসকে সুদখোর বলতে ভুলেন না। আপনি জোর দিয়ে এখনো বলছেন এসবের বিচার অবশ্যই করবেন। আবার এটাও বলেন, আমি শেখ হাসিনা যা বলি তা করে দেখিয়ে দেই।
সত্যিই হাসু আপা, আপনার ভাগ্য খুব ভালো। আপনার প্রতিপক্ষ আপনার মতো এত প্রতিহিংসাপরায়ণ নন। তাই তো তাদের ওপর এত নির্মম অত্যাচার, অবিচার, গুম, হত্যা, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার চালানোর পরও কোনো কোনো নেতাকে আপনাদের জন্য মায়াকান্না করতে দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, আপনি ক্ষমতায় থাকতে এদের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা আপনিই ভালো জানেন।
আপা, আপাগো আপনার এ দুর্দশার জন্য আপনি নিজেই দায়ী। অন্য কাউকে দায় দেয়া বোকামি। আপনি নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে সব করেছেন। যেসব নেতা আপনার কথার দ্বিমত করবে তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছেন। কাছে টেনে নিয়েছিলেন টাকলা মুরাদের মতো চরিত্রহীনদের। দুর্নীতিবাজ আর চরিত্রহীনরা আপনাকে নিয়ে গীত গাইতেন। আপনি এ গীত শুনে মনের আনন্দে নাচ করতেন। বাহ কি চমৎকার। এমন চমৎকার সভা পরিষদ নিয়ে আপনি দেশ চালিয়েছেন। যে পরিষদ আপনার ভুল সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছে। আপনি যত স্বৈরাচারী হয়েছেন ততই তারা খুশি হয়েছে। আর আজীবনের জন্য তো সিংহাসন আপনার করে নিয়েছেন। নির্বাচন দিয়েছেন নামে মাত্র। ষোল বছর সিংহাসনে বসে আপনি যেসব অপকর্ম করেছেন তার ফিরিস্তি দেশের মানুষের মুখে মুখে। এমনকি আপনার দলের ত্যাগী নেতারাও আপনাকে এখন ঘৃণা করে। তারা আপনার মুখটি পর্যন্ত দেখতে চায় না।
হাসু আপা, আপনি ক্ষমতায় থাকতে নানা চমক দেখিয়েছেন। আপনার এসব চমকে মানুষ ভড়কে গেছে। কেউ আপনাকে গুমরানী, কেউবা ছলনাময়ী, আবার কেউ রহস্যময়ী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আপনি জেনে খুশি হবেন আপনাকে এ কারণে মানুষ ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই দিয়েছে। যে ইতিহাস যুগের পর যুগ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যেমন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস একইভাবে লেখা। আবার মীর জাফরের ইতিহাস আরেকভাবে লেখা। হিটলারের উদাহরণ আজও মানুষ দেয়। বহু জমিদারের অত্যাচারের কাহিনীও কিন্তু মানুষের মুখে মুখে। তবে আপনার যে ইতিহাস সেটা কালো অন্ধকারে ঢাকা। যেটা ইতিমধ্যে পাঠ্য বইয়ে কিছুটা হলেও স্থান করে নিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস টানতে গিয়ে আপনিও ইতিহাস হয়ে গেলেন।
আপা, আপাগো এখনো আপনি বিচার হবে, বিচার হবে বলে যে দুইদিন পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাষণ দিচ্ছেন- বিচার করার ক্ষমতায় কি আপনি আছেন? আপনি যদি সত্যিকারের মানবদরদি হতেন, তাহলে বলতেন এসবের বিচার সৃষ্টিকর্তা করবেন। আপনার এই বিচার হবে ভাষণ শুনে মানুষ মুখ টিপে হাসে। আর বলে অসুস্থ মানুষ ছাড়া এমন কথা কেউ বলতে পারে না। আপনার কাছে প্রশ্ন-বিচারটা কখন করবেন? আবার ক্ষমতায় এলে? আপনি নিশ্চিত যে, আবার ক্ষমতায় আসবেন? এমন স্বপ্ন থাকলে ভুলে যান। এ দেশের ক্ষমতায় আপনি ফের বসবেন এটা অমাবস্যার চাঁদের মতো ঘটনা। আপনি বরং ষোল বছর ক্ষমতায় থেকে যে অন্যায় অবিচার করেছেন তার জন্য অনুতপ্ত হওয়ার কথা ছিল। আপনি জনগণের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার কথা ছিল। তা করলেও জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে কিনা এটা ভাবনার বিষয়। সত্যিই হাসু আপা, অবাক হই আপনার কথা শুনে। আপনার মনে ক্রোধ থাকা স্বাভাবিক। কারণ বাংলাদেশের জনতা আপনার সকল অপকর্মের বিচার করে দিয়েছে। আপনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে আপনার ইজ্জত পাংচার করেছেন আপনি নিজেই। এখন গণহত্যার বিচার হবে আদালতে। বিচারে আপনার কী হয় একটু ভাবুন।
আপা, ক্ষমতায় থাকাকালে আপনি কতো না পলিসি করেছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফেনসিডিল খোরদের বেছে নিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের বেছে নিয়েছেন। এরা যেন বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোকে শায়েস্তা করতে পারে। এই যে ভিপি নুরকে আপনার এই ছাত্রলীগের গুণ্ডাবাহিনী কতোবার মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে একটু চিন্তা করে দেখুন তো? ভিপি নুর মার খেয়েছে আর আপনি গণভবনে বসে মিটিমিটি হেসেছেন। সর্বশেষ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামকে বানিয়েছেন তার একটি ভাষণ শুনে। ছাত্রলীগে দেয়া তার ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়েছেন আপনি। শুধু তাই নয়, গোটা দেশের মানুষই অবাক দৃষ্টিতে তার ভাষণ শুনেছে। কিন্তু এ ভাষণ যে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় কয়েক বছর আগে প্রকাশিত একটি উপ-সম্পাদকীয় ছিল সেটা তখন কে জানতো? যখন মানুষ জেনেছে তখন সাদ্দামকে মানুষ লেখা চোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সাদ্দামকে দিয়েও সর্বশেষ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছেন। এই হামলাই কাল হলো আপনার জন্য। ছাত্ররা ক্ষেপে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত করে। ক’দিন পরই আপনি নিজেই বিতাড়িত হন। পালিয়ে জীবন বাঁচান। কিন্তু আপনি প্রায় সব ভাষণেই বলতেন জীবনের মায়া করি না। প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন দিবো। আপনার এই পলায়ন প্রমাণ করে এসবই ছিল আপনার মনভোলানো কথা। কথার কথা। মানুষকে আকৃষ্ট করার কথা। আপনি বলতেন পরিবার পরিজন হারিয়েছেন। পরিবার হারানোর ব্যথা আপনি বুঝেন। বিগত ষোল বছরে কতো পরিবারকে আপনি স্বজনহারা করেছেন তার হিসাব আছে কি? একটু হিসাব করুন। সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আর ওইসব স্বজন হারানো পরিবারগুলোর কাছে মাফ চান। জানি এসব করবেন না। কারণ আপনি নিজেকে বাংলাদেশের মালিক মনে করেন। এখনো মালিক মনে করে বিচার হবে, বিচার হবে হবে গলা ফাটাচ্ছেন। কিসের বিচার আপা? আপনি, আপনার সভা পরিষদসহ পালিয়ে যাওয়া কিসের ঈঙ্গিত বহন করে। এর অর্থ আপনি, আপনার এমপি, মন্ত্রী সবাই অপরাধী। জনতার মারধরের ভয়ে পালিয়েছেন। গর্তে লুকিয়েছে কেউ কেউ। ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফীর নজির তো আপনার চোখের সামনেই ছিল। তারপরও আপনি এসব থেকে শিক্ষা নেননি। আপনি উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে এ দেশের জনতাকে পিষে মেরেছেন। এজন্যই বলা হয়ে থাকে- ইতিহাসের বড় নির্মমতা হলো ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আপনার ভালোর জন্যই বলছি। আওয়ামী লীগের ভালোর জন্যই বলছি- এভাবে ভিনদেশ থেকে নেতাকর্মীদের উস্কে না দিয়ে তাদের বলুন জনতার কাছে যেতে। মাফ টাফ চেয়ে জনতাকে কাছে টানতে। তাহলে হয়তো একদিন আওয়ামী লীগ ফের জেগে উঠতে পারবে। আর না হয়, মানুষ বলছে আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে মুসলিম লীগ হয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে। সেটাও হবে একটা ইতিহাস। আপনি যদি বলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার একুশ বছর পর আপনি ক্ষমতায় এসেছেন আপনার ক্যারিশমা দিয়ে। তাহলে ভুল করবেন। সে সময় জনতার কাছে মাফ চেয়ে একটিবারের জন্য সুযোগ চেয়েছিলেন। জনগণ আপনাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু আপনি জনগণের দেয়া সেই সুযোগ মিসইউস করেছেন। জনগণ যদি আপনাকে মন থেকে ভালোবাসতো তাহলে ১৯৯১ সালের নির্বাচনেই আপনি ক্ষমতায় আসতেন। যে নির্বাচনের আগেই আপনারা মন্ত্রিসভা পর্যন্ত গঠন করে রেখেছিলেন। কিন্তু জনগণ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করে। মনে পড়ে আপা সেই দুঃখে আপনি আওয়ামী লীগের প্রধান থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আপনার দলের নেতাকর্মীদের মায়াকান্নায় আবার পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন। এখন তো বুঝতে পারছেন জনতা কি জিনিস। আপনি দিনের পর দিন অন্যায় করে যাবেন আর জনতা আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে বলবেন এরা সন্ত্রাসী। সরকার উৎখাতে এরা নেমেছে। সরকার যদি সরকারের মতো না হয় তাহলে তো সরকার উৎখাতে জনতা মাঠে নামবেই। এটাই তো গণতন্ত্র। আপনি তো আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তাই আপনি মনে করেছিলেন আপনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। আপনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার অধিকার রাখে না। এটাই ছিল আপনার ফ্যাসিস্ট হওয়ার প্রধান লক্ষণ।
আপা, আজ আর বেশি কিছু লিখছি না। যদি পারেন নিজেকে একটু শুধরে নেবেন। আক্রোশমূলক বক্তৃতা পরিহার করবেন। আপনার দলের নেতাকর্মীদের উস্কে দিয়ে ওদের আর বিপদে ফেলবেন না। আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর আপনার দলের নেতাকর্মীদের ওপর যে এমন আঘাত আসবে তাতো আপনার দলের সাধারণ সম্পাদক নিজেই বলেছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না আসতে পারে তাহলে কমপক্ষে এক লাখ লোক মারা যাবে। সে হিসাবে আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর এক লাখ ভাগের এক ভাগও তো আপনার দলের ওপর আপনার প্রতিপক্ষ হামলে পড়েনি। বরং তারা আপনার নেতাকর্মীদের গোপনে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এখন দিন দিন তা প্রকাশ পাচ্ছে। তারপরও বলছি আপা- আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
সূত্র: জনতার চোখ
পাঠকের মতামত
সময় উপযোগী লেখা
নিজের গুষ্টি সহ পালিয়ে মোজ মাস্তি করছে, আর উস্কানি দিয়ে নিরীহ কর্মীদের বিপদ ফেলছে! উনার কারণে লক্ষ লক্ষ নিরীহ নেতাকর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী, সাধারণ পুলিশের জীবন আজ অন্ধকার, ভবিষ্যতও অনিশ্চিত বিভীষিকাময় !! তিনি যে আজকে পালিয়েছেন তা কিন্তু না, ১/১১ এর সময়ও তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন!! তিনি আদালত কর্তৃক ঘোষিত রং হেডেড একজন মহিলা!!! আবরার এবং যারা তাকে মেরেছে, তারা সবাই ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট, অথচ উনার হিংস্রতা থাবায় সবাই ধ্বংস!! উনার জন্য শুধুই অভিশাপ!!
Awesome