অনলাইন
লন্ডনে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা
আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(৭ ঘন্টা আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৪:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:১৯ অপরাহ্ন

দামি গাড়িতে করে একে একে নামছিলেন স্যুট পরা ব্যক্তিরা। স্থানটিও ছিল অনেক দামি। সন্ধ্যার আলো ঝলমলে সাজানো লন্ডনের ওটু এরিনার প্রেস্টিজিয়াস ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের হলরুমে ঢুকছিলেন অতিথিরা। অতিথিদের লাইনেই ছিল ছবি তোলার হিড়িক। মনে হচ্ছিলো কেউ একজন বা কয়েকজন ভিআইপি অতিথি আছেন। এভাবেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পলাতক সাবেক মন্ত্রী ও এমপিরা।

জানা যায়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে নানা দুর্নীতির অভিযোগে পলাতক মন্ত্রী ও এমপিরা। লন্ডনের ওটু এরিনার প্রেস্টিজিয়াস ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় যোগ দেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া মন্ত্রীরা বেশ হাসিখুশি ছিলেন। তারা বিয়েতে আগত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেসে কথা বলছিলেন। অনেকের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। এর আগে হাছান মাহমুদ, আব্দুর রহমান ও শফিকুর রহমানের কফির আড্ডায় বসা ছবি ভাইরাল হয়েছিল।

এদিকে পালিয়ে আসা মন্ত্রী-এমপিদের এমন আনন্দঘন পরিবেশে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা। তাদের প্রশ্ন, লাখ লাখ নেতা–কর্মীকে বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে এসে তারা কীভাবে এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন?
পাঠকের মতামত
আওয়ামী লীগের মতো এমন নির্লজ্জ দল আর কোন দেশে আছে বলে মনে হয়নি। লক্ষ্য লক্ষ্য কর্মীদের বিপদে ফেলে নেতা হকল দেশের টাকা লুট করে রাজকীয় ভাবে বিভিন্ন দেশে বসবাস করতেছে। আর সুন্দর সুন্দর জায়গায় ফাইবষ্টার হোটেলে খাওয়ার ছবি পোষ্ট করে কর্মীদের মনে লজ্জার আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাহ্ কর্মী বাহ্ তোমরা দেখ তোমাদের নেতা কতো আরামে জীবন যাপন করতেছে।
খুনি, সন্ত্রাসীরা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে আরাম আয়েশ করতেছে। এরা দেশদ্রোহী টাকা পাচারকারী।
adrer ka ainear hata tola denn loga kora na na cjho
ছবিতে যেগুলো পাশে দাড়িয়ে হাসি মুখে ছবি তুলছে, এমন নির্লজ্জ মানুষ এখনো পৃথিবীতে আছে? সত্যিই সেলুকাস।
These s.o.b.s are shameless creatures, they are proud thieves.
নির্লজ্জ, অমানবিক এবং নির্দয় — এই শব্দগুলোই যথেষ্ট নয় তাদের বর্ণনা করার জন্য। যারা আজ লন্ডনের বিলাসবহুল হোটেলে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছে, তারাই একসময় দেশের মাটিতে হাজারো নিরীহ মানুষকে গুম, খুন ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দমন করেছে। ২০০০’রও বেশি মানুষের রক্ত যাদের হাতে লেগে আছে, আর ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে যারা চিরতরে আহত ও নিঃস্ব করেছে, তাদের মুখে হাসি আর বিলাসবহুল কফির আড্ডা জাতির প্রতি এক ধরনের নিষ্ঠুর উপহাস। এই পলাতক ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী-এমপিরা আজ প্রবাসে নিরাপদ আশ্রয়ে আনন্দে গা ভাসালেও, দেশের মাটিতে আজো মায়েরা সন্তান হারানোর আহাজারি করছে, পরিবারগুলো খুঁজছে তাদের প্রিয়জনদের। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে, আজ তারা আবারও দেখিয়ে দিল—তারা কেবল দুর্নীতিবাজ নয়, বরং অমানবিকতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিমূর্তি। বাংলার মানুষ এই দুঃশাসনের হিসাব অবশ্যই একদিন চেয়ে নেবে। ইতিহাস কখনও ক্ষমা করে না। যারা রক্তে হাত রাঙিয়েছে, তারা কোনো উৎসবের আলোয় নিজেদের অপরাধ ঢাকা দিতে পারবে না। শুধু প্রতিরোধ নয়, এই অন্যায়ের বিচার হোক—এটাই এখন সময়ের দাবি। Is this conversation helpful so far? নির্লজ্জ, অমানবিক এবং নির্দয় — এই শব্দগুলোই যথেষ্ট নয় তাদের বর্ণনা করার জন্য। যারা আজ লন্ডনের বিলাসবহুল হোটেলে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছে, তারাই একসময় দেশের মাটিতে হাজারো নিরীহ মানুষকে গুম, খুন ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দমন করেছে। ২০০০’রও বেশি মানুষের রক্ত যাদের হাতে লেগে আছে, আর ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে যারা চিরতরে আহত ও নিঃস্ব করেছে, তাদের মুখে হাসি আর বিলাসবহুল কফির আড্ডা জাতির প্রতি এক ধরনের নিষ্ঠুর উপহাস। এই পলাতক ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী-এমপিরা আজ প্রবাসে নিরাপদ আশ্রয়ে আনন্দে গা ভাসালেও, দেশের মাটিতে আজো মায়েরা সন্তান হারানোর আহাজারি করছে, পরিবারগুলো খুঁজছে তাদের প্রিয়জনদের। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে, আজ তারা আবারও দেখিয়ে দিল—তারা কেবল দুর্নীতিবাজ নয়, বরং অমানবিকতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিমূর্তি। বাংলার মানুষ এই দুঃশাসনের হিসাব অবশ্যই একদিন চেয়ে নেবে। ইতিহাস কখনও ক্ষমা করে না। যারা রক্তে হাত রাঙিয়েছে, তারা কোনো উৎসবের আলোয় নিজেদের অপরাধ ঢাকা দিতে পারবে না। শুধু প্রতিরোধ নয়, এই অন্যায়ের বিচার হোক—এটাই এখন সময়ের দাবি।