ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খেলা

এশিয়া কাপে লিটনকে খেলানো ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

এশিয়া কাপে লিটন কুমার দাস খেলতে পারছেন না তা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে গুঞ্জন রয়েছে আসরের আগে ফিট হলে দলে দেখা যেতে পারে তাকে। তবে লিটন যদি আসর শুরুর আগে ইনজুরিমুক্তও হন তাও তাকে খেলানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘ওর সমস্যাটা হয়েছিল ৫ তারিখ, আজকে হচ্ছে ১০ তারিখ। প্রথম ১ সপ্তাহ রেস্টে থাকবে। এইসময় হাঁটাহাঁটিও করা যাবে না। ১৫ দিন পর ওর রিহ্যাব শুরু করবো আমরা। আপাতত প্রথম সপ্তাহ কমপ্লিট রেস্টে থাকবে, পরের সপ্তাহ হালকা কিছু এক্সারসাইজ করবে সেটা অবশ্য ডিপেন্ড করবে তার ব্যথার ওপর। আঘাত থেকে ১৫ দিন পর থেকেই রিহ্যাব শুরু করবে। একবারে সেরে উঠতে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ লেগে যাবে।

বিজ্ঞাপন
তাই এশিয়া কাপ খেলাটা লিটনের জন্য অনেক ঝুঁকি হয়ে যায়। আবার ইঞ্জুরড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে তা হয়ে গেলে পরে সেরে উঠতে লম্বা সময় লেগে যাবে। আমাদের মূল ট্রিটমেন্ট বা কাজটা হলো আরেকবার যেন ইনজুরি না হয় সেটার ব্যবস্থা করা। সেটার জন্যেই একটু সময় নেবো আমরা।’ জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালে মাংসপেশিতে টান লেগে মাঠের বাইরে চলে যান লিটন। তার আগে ইনজুরি আক্রান্ত হন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরই মধ্যে সিংঙ্গাপুরে তার ভেঙে যাওয়া আঙুলে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই  সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে তার এশিয়া কাপে খেলার সম্ভাবনাও। এছাড়াও ইনজুরির কারণে শঙ্কা আছে ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়েও। অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির সমস্যা পুরোপুরি ঠিক না হওয়াতে তার আর সেই সফরে যাওয়া হয়নি। এরই মধ্যে ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শুরু করেছেন স্কিল ট্রেনিং। খুলনায় বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পেও যোগ দিয়েছেন তিনি। তার বিষয়ে দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘সাইফউদ্দিনের ফিটনেসের সব ঠিক আছে, স্কিলের জন্য ও খুলনায় খেলতে গেছে। বোলিংয়ের ব্যাপারে আমরা কিছু ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি। রেস্ট্রিকটেড বোলিং থাকবে, সেটা মেনেই ওখানে ও বোলিং করবে। ওখানে কয়েকটা ম্যাচ আছে ওইগুলো ও খেলবে। আমাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ীই সে খেলবে। এগুলো যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ভালো। তাহলে নির্বাচকরাও ওকে নিয়ে চিন্তা করতে পারে।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য ক্রিকেটারদের একের পর এক ইনজুরি হয়ে উঠেছে চিন্তার বড় কারণ। ঘনঘন ইনজুরি আক্রান্ত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। কেন এমনটা হচ্ছে তা নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘দেখুন দুই ধরনের ইনজুরি আছে, একটা তাৎক্ষণিকভাবে আরেকটা ওভার ইউজের কারণে। তাৎক্ষণিক আঘাতের কারণে তো যে-কেউ ইঞ্জুরড হতে পারে। যেমনটা মুশফিক, শরিফুল আর সোহান। ওভার ইউজ ইনজুরি আমরা প্রটেক্ট করতে পারি প্রোপার প্ল্যানিং এর মাধ্যমে। তাৎক্ষণিক ইনজুরি তো আর প্রটেক করা যায় না। লিটনেরও তাৎক্ষণিক এর মধ্যেই পরে, ওরটা যেহেতু মাসলস পেইন। একে আমরা ওভার ইউজ ইনজুরি বলতে পারি না। টি-টোয়েন্টিতে ওভার ইউজ ইনজুরি হওয়ার চান্স কম। টেস্ট বা লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটে ওভার ইউজ ইনজুরি হয়। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কম সময় ব্যাটিং বা বোলিং করা হয়। প্র্যাক্টিসও খুব বেশি করা হয় না।’ ইনজুরি কমাতে ক্রিকেটারদের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজম্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই টাইগার ক্রিকেটারদের জন্য এটি বেশি প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে পেসারদের জন্য। তবে দেবাশিষ চৌধুরী মনে করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ইনজুরির আরেকটা কারণ হতে পারে মানসিক অবসাদ। একের পর এক সিরিজে খেলতে গিয়েই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘পেস বোলারদের জন্য তো ডেফিনেটলি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অন্যদের ওয়ার্ক লোড ওইভাবে হয় না। যেমন ধরেন সিকান্দার রাজা, পরপর দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেলো। অনেকক্ষণ ধরে ব্যাটিং করলো। পরের ম্যাচ সে যদি খেলে তাহলে ওর রিকভারিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওর ক্ষেত্রে ওয়ার্ক লোড হওয়াটাই স্বাভাবিক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে হয় না। টানা ম্যাচ খেলা, রেস্ট না পাওয়া, লম্বা সময় দেশের বাইরে থেকে আবার আরেকটা ট্যুরে যাওয়া। এইসবে একটু স্ট্রেস থাকেই। তবে এইটাকে ওভার ইউজ বলা যায় না।’

খেলা থেকে আরও পড়ুন

   

খেলা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status