অনলাইন
কদর বাড়ছে আসিয়ানের
মালয়েশিয়ায় ৩ দিনের গুরুত্বপূর্ণ সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
স্টাফ রিপোর্টার, মালায়শিয়া
(২ দিন আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২৭ অপরাহ্ন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ কুয়ালালামপুরে এসে পৌঁছেছেন।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বুঙ্গা রায়া কমপ্লেক্সে অবতরণ করলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি মোহামাদ হাসান, পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্থনি লো এবং মালয়েশিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত ঔয়াং ইউজিং বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
আগমনকালে চীনের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। লেফটেন্যান্ট মোহামাদ নাফিস নরশিদের নেতৃত্বে ফার্স্ট ব্যাটালিয়ন রয়্যাল রেঞ্জার রেজিমেন্টের (সেরেমোনিয়াল) ২৮ জন কর্মকর্তা ও সদস্য এই গার্ডে অংশ নেন। এরপর গোমবাকের আরজুনাসুকমা একাডেমির পরিবেশনায় মালয়, চীনা ও ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের মিশ্রণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কাজাংয়ের সেকলাহ মেনেনগাহ জেনিস কেবাংসান ইউ হুয়া-এর ৩২ সদস্যের একটি মার্চিং ব্যান্ড "লেংগাং কাংকুং" গান পরিবেশন করে শি জিনপিংকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়।
মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সী বারনামা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম চীনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করবেন।
ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম পুত্রাজায়ায় অবস্থিত সেরি পেরদানা কমপ্লেক্সে চীনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে একটি সরকারি নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
এই সফরটি চীনের প্রেসিডেন্টের ২০২৫ সালের প্রথম বিদেশ সফরের অংশ, যার মধ্যে ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে শি জিনপিং মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন, সেই সময় দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ককে একটি "কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশীপ" যা ব্যাপক হারে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করা হয়েছিল।
বারনামা আরো জানিয়েছে, মালয়েশিয়া ও চীন ১৯৭৪ সালের ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। গত বছর দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে এবং বর্তমানে তাদের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং ২০০৯ সাল থেকে টানা ১৬ বছর ধরে চীন মালয়েশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সী। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৮৪.১২ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত, যা মালয়েশিয়ার মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের (২.৮৮ ট্রিলিয়ন রিংগিত) ১৬.৮ শতাংশ।
আসিয়ানের চেয়ার এবং আসিয়ান-চীন সংলাপ সম্পর্কের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে মালয়েশিয়া আসিয়ান এবং চীনের মধ্যেকার "কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশীপ"-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংলাপ, পারস্পরিক আস্থা এবং আসিয়ান ও চীনের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে আনে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে।