ভারত
সংসদে পাস হলেও পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ সংশোধন আইন লাগু হবে না: মমতা
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ দিন আগে) ১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫:২৯ অপরাহ্ন
ওয়াকফ সংশোধন আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও হিংসার খবর আসছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, ওয়াকফ সংশোধন আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগু (লাগু অর্থ চালু) হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে বলেছি- এই আইনকে আমরা সমর্থন করি না। এই আইন আমাদের রাজ্যে লাগুও হবে না। তাহলে দাঙ্গা কিসের? একই দাবি করেছেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার যে ওয়াকফ সংশোধিত আইন তৈরি করেছে, তা সংবিধানে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিরোধী বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি তিনি রক্ষা করবেন। ওয়াকফ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে ডিভাইড অ্যান্ড রুলের রাজনীতি করতে দেবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে মমতা একথা বললেও একটা বৃহত্তর প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তা হল, কেন্দ্র নয়া আইন পাস করার পর রাজ্য কি তা লাগু না করে থাকতে পারে। রাজ্যের কি আদৌ এক্তিয়ার রয়েছে তা না মানার?
আইনজীবীদের কথায়, সেন্ট্রাল অ্যাক্ট লাগু হয়ে গেলে রাজ্যের নতুন করে কিছু আইন আনার এক্তিয়ার নেই। আবার অনেকের মতে, যেহেতু ল্যান্ড তথা জমি রাজ্যের বিষয়। তাই রাজ্যের সেই অধিকার রয়েছে। এদিকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, তৃণমূল সরকার কোর্টকে মানে না। দেশের সংবিধান মানতে চায় না। সংসদে পাস হওয়া আইন মানতে চায় না। প্রেসিডেন্ট যে আইনে সম্মতি দিয়েছেন, সেটাও ওরা মানতে চাইছে না। বুঝতে পারছে না রাজ্যের মানুষও ওদের মানবে না।
সংসদে ওয়াকফ সংশোধন আইন পাস করাটা বড় রাজনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছে বিজেপি। মোদি সরকারের কথায়, ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় এক ধর্মনিরপেক্ষ, স্বচ্ছ কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আইন। ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো যদি ধর্মীয় ও জনহিতকর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলোর ব্যবস্থাপনায় আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে। সেই দায় সুনিশ্চিত করে একটি সুশৃঙ্খল শাসন কাঠামোর প্রয়োজন ছিল। সেটাই করা হয়েছে।