ভারত
ওয়াকফ আইন নিয়ে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিল ভারত
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ দিন আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৬ অপরাহ্ন
সংসদে পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের উপর পাকিস্তানের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলো ভারত। তারা বলেছে, এ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই পাকিস্তানের। এর পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ভারতের সংসদ কর্তৃক প্রণীত ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পর্কে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্য আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা নিয়ে অন্যদের কাছে প্রচার করার পরিবর্তে পাকিস্তানের নিজস্ব ভয়াবহ রেকর্ডের দিকে নজর দেওয়া উচিত।'
পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র শাফকাত খানকে সাংবাদিক সম্মেলনে এই আইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, ইসলামাবাদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এটি ‘ভারতীয় মুসলমানদের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন’। তিনি বলেন, আইনটি পাস হওয়ার ফলে 'ভারতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের' প্রতিফলন ঘটেছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এটি ‘ভারতীয় মুসলমানদের আরও প্রান্তিক করতে ভূমিকা নেবে।’
টানা কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বিতর্কের পর, ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলটি পাস হয় এবং ৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পায়। সরকার বলেছে যে, আইনটি ধর্মের ভিত্তিতে নয়, সম্পত্তি রক্ষার জন্য সংশোধন করা হয়েছে। মোদি সরকার যুক্তি দিয়েছে যে ওয়াকফের নামে প্রচুর পরিমাণে জমি দখল করা হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলোর বেশিরভাগই অব্যবস্থাপিত ছিল এবং দাতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী দরিদ্র ও বৃহত্তর সম্প্রদায়কে সাহায্য করার পরিবর্তে কিছু লোকের পকেট পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সোমবার বলেন, ‘যদি ওয়াকফ সম্পত্তি সততার সাথে ব্যবহার করা হত, তাহলে মুসলিম যুবকদের সাইকেল মেরামত করে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজন হত না। কিন্তু এই সম্পত্তিগুলো থেকে শুধু ভূমি মাফিয়ারা উপকৃত হয়েছে। এই মাফিয়ারা দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং বিধবাদের জমি লুট করেছে। ওয়াকফ আইনে এই পরিবর্তনের পর দরিদ্রদের জমি লুটপাট বন্ধ হবে। নতুন ওয়াকফ আইনের অধীনে আদিবাসীদের জমি বা সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড স্পর্শ করতে পারবে না। দরিদ্র মুসলিম এবং পাসমান্দা মুসলিমরা তাদের অধিকার পাবে। এটাই প্রকৃত সামাজিক ন্যায়বিচার।’
তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানকে দুর্বল করার, সংখ্যালঘুদের অপমান ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এবং সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, কার্যকরভাবে সংবিধানের উপর ‘ফোর ডি আক্রমণ’ শুরু করছে।লোকসভায় বিতর্কের সময় এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসিও প্রতীকীভাবে বিলের একটি কপি ছিঁড়ে ফেলে বলেন - ‘আমার বিবেক এটা মেনে নেয়নি। মহাত্মা গান্ধীর মতো আমিও এই বিল ছিঁড়ে ফেলছি।’
এই আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ জারি রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখনো পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
এই সম্পত্তিগুলোর বেশিরভাগই অব্যবস্থাপিত ছিল এবং দাতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী দরিদ্র ও বৃহত্তর সম্প্রদায়কে সাহায্য করার পরিবর্তে কিছু লোকের পকেট পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সোমবার বলেন, ‘যদি ওয়াকফ সম্পত্তি সততার সাথে ব্যবহার করা হত, তাহলে মুসলিম যুবকদের সাইকেল মেরামত করে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজন হত না। কিন্তু এই সম্পত্তিগুলো থেকে শুধু ভূমি মাফিয়ারা উপকৃত হয়েছে। এই মাফিয়ারা দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং বিধবাদের জমি লুট করেছে। ওয়াকফ আইনে এই পরিবর্তনের পর দরিদ্রদের জমি লুটপাট বন্ধ হবে। নতুন ওয়াকফ আইনের অধীনে আদিবাসীদের জমি বা সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড স্পর্শ করতে পারবে না। দরিদ্র মুসলিম এবং পাসমান্দা মুসলিমরা তাদের অধিকার পাবে। এটাই প্রকৃত সামাজিক ন্যায়বিচার।’
ভারতের মত জাতিগত বৈষমম অনন কোন দেশে নেই।
এতদিন সংখ্যাগড়িষ্ঠতার জোরে মুসলমানদের জুলুম, উচ্ছেদ করা জেত,এখন আইন করে মুসলিম জনগোষ্ঠী নির্মূলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে ভারত।
ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা সন্ত্রাসী ও সংখ্যালুগু নিপিড়ক রাষ্ট্র।
সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা নিয়ে অন্য দেশ নিয়ে আপনারা কেন এত লাফালাফি করেন ?