ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

মোদি-ইউনূস বৈঠক

ভারতীয় সংস্করণ জানালেন এস জয়শঙ্কর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা

(১ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের যে সংস্করণ বিভিন্ন সময়ে শোনা গিয়েছে তাতে বিরক্ত হয়েছে ভারত। এবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে পাওয়া গেল বৈঠক নিয়ে ভারতীয় সংস্করণ।  বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিবেশী দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকে ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং মৌলবাদের উত্থান নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এদিনই, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ফের এক বার অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। বুধবার বিকেলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,  সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে শুধুমাত্র ‘রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা ‘সংবাদমাধ্যমের অতিশয়োক্তি’ বলে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
নয়াদিল্লিতে নিউজ ১৮ আয়োজিত রাইজিং ভারত সামিটে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর বৈঠকে বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভারতের তাগিদ নিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অধিকারী একটি দেশ হিসেবে, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন। এভাবেই ম্যান্ডেট দেওয়া হয় এবং ম্যান্ডেট পুনর্নবীকরণ করা হয়। তাই আমরা আশা করি তারা সেই পথেই যাবে। 
গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুক্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর ব্যাংককে প্রথমবারের মতো মোদী এবং ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশের অসম্ভব তাগিদ ছিল। 
বৈঠকের মূল বার্তা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, আমি মনে করি বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে যে মূল বার্তাটি দেওয়া হয়েছে তা হল, ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই একটি অত্যন্ত অনন্য সম্পর্ক। এটি মৌলিকভাবে  জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ।
ভারতের চেয়ে বেশি কোনও দেশ বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করে না জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এটি প্রায় আমাদের ডিএনএতে রয়েছে। এতিনি বলেন, েএকজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, আমরা আশা করি তারা সঠিক পথে যাবে এবং সঠিক কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউনূসকে কী বলেছিলেন, এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উগ্রপন্থী প্রবণতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। আমি মনে করি আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশের ব্যাপারে খুব খোলামেলা ছিলাম। 
গত সপ্তাহে মোদী এবং ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের বাংলাদেশি ভারসানে ভারত ক্ষুব্ধ ছিল। ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়টি মোদীর কাছে উত্থাপন করেছেন এবং "প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না"।
সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ঢাকার অনুরোধ সম্পর্কিত দিকগুলি নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্যকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা "দুরবুদ্ধিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে বর্ণনা করেছেন। 
তারা বলেছেন, ইউনূস এবং পূর্ববর্তী বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের চরিত্রায়ন "ভুল" ছিল।এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ফের এক বার অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত। বুধবার বিকেলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল  বলেন,  সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে শুধুমাত্র ‘রাজনৈতিক কারণে’ ঘটেছে বা ‘সংবাদমাধ্যমের অতিশয়োক্তি’ বলে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এই ধরনের নৃশংসতায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের (অন্তর্বর্তী) সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি। বুধবার বিকেলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের উপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

পাঠকের মতামত

এরা এতো মিথ্যা বলতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা। বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে ভারত। ভারতে সংখ্যালগু নির্যাতনের তুলনায় বাংলাদেশে উল্লখ করার মতো কিছুই ঘটেনাই। অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন নিয়ে তারা বার বার তাগিদ দিচ্ছে। অথচ তারাই বাংলাদেশের নির্বচনে বারবার হস্তক্ষেপ করেছে। সুজাতা সিং এর ভুমিকা কেউ ভুলে যায় নাই। বাংলাদেশের নির্বাচন কখন এবং কীভাবে হবে দেশের জনগনই সিদ্ধান্ত নিবে। বাংলাদেশের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচারনা থামাতে তাদেরক সতর্ক করা উচিৎ।

Matinur Chowdhury
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৩৪ অপরাহ্ন

সংখ্যালঘু মুসলমান নির্যাতনের ব্যাপারে ভারত তার অবস্থান স্পস্ট করুক।

habib
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৫৬ অপরাহ্ন

মোদীর ভারত সাম্প্রদায়িক ভারত । তারা নিজেদের দেশের মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতন কারী আর অন্য দেশে আশে মাতব্বরি করতে !? ওদের লজ্জা শরম কিছু আছে বলে মনে হয় না ।

mamun
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন

মিত্থুক হাসিনার সাথে যাদেরই সু সম্পর্ক,যে ধর্মেরই হোক তারাও মিত্থুক, এ বেপারে বাংলাদেশের মানুষের দ্বিমত নাই।

golamgopal
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন

ভারতীয় প্রচার মাধ্যম ও সরকার অপপ্রচার চালাতে খুবই দক্ষ। বর্তমান বিজেপি সরকার পরিচয়বাহী রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন। মার্কিন রিপোর্টে সরকারি মদদে মুসলিমদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অথচ ভারত হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনকে ভারত সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। এজন্য আবল তাবোল বকছে। এদেশে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশি। সাম্প্রদায়িকতার ধব্জা বাজিয়ে লাভ নেই।

Md. Jahirul Islam
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন

"ভারত অন্য কোন দেশের চাইতে বেশি মংগল কামনা করে"...জয় শংকর। আমরা তথা বাংলাদেশিরা বুঝি। সাম্প্রতিক অতীতে তার প্রতিফলনতো আমরা দেখেছি।বিনা ভোটে বিগত স্বৈরাচার সরকারকে বৈধতা দেওয়া। গুম খুন হত্যার মতন পৈশাচিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পরও বিগত সরকারকে সহযোগিতা করা,সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করা,কিছুদিন পর পর আমদানি আইটেমের উপর বারতি কর বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে নাজেহাল করা।এইসব অবৈধ কর্মকান্ডই যদি ভারত মনে করে মংগল তাহলে বলতে হয় তারা সত্য বলেছে।

আশরাফ
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:৪৩ অপরাহ্ন

তোর মত আলু শংকর আর কিইবা বলবি? তোদের দাদাঘিরী খুব সহসাই বন্ধ করে দেব আমরা।

সোহাগ
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:৫১ অপরাহ্ন

উনাদের ধাম্ভিকতা এখনও কমে নাই, বাংলাদেশের চেয়ে বেশী সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয় উনাদের দেশে , আর উনারা দূরবীন দিয়ে শুধু আমাদের দেশে খুঁজেন । জয়সংকর নিজেও অনেক বার অন্যায় আবদার নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমন করেছেন । আসলে মিথ্যা কথায় উস্তাদ সবকয়টা।

শেলী
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

Bangladesh should boycott India forever. Even our media as well should not publish news and articles from India or its writers.

Azam
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

যথাযথ এবং সত্য মতামত লিখলেও প্রকাশ করা হয় না এটা দুঃখ জনক।

Dada
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

তোমরা আমাদের কিসের বন্ধু, এদেশের মানুষ জানে।

Mozammel
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

তরা বেশী বোঝস

জনতার আদালত
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন

ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতন সরকারী মদদে যেভাবে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এ যেন ভারতের মাছের মার কান্না।

SM Abdus Sabur
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

ভারত তার নিজ দেশের মুসলমানদেরকে রাষ্ট্রীয় বুলডোজারের নীচে রেখে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলাচ্ছে। এটা ঘোর আপত্তিজনক!

কে. জামান
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ দেশের সবচেয়ে নিরাপদ হিন্দু ।ইসরাইলের পরে ভারতের মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের স্বীকার ।

Emon
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ভারতের ব্রেইনস্ট্রোমার হইছে। ওটি করাইতে হবে আর তিন বেলা খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে অয়েনমেন্ট খাওয়াইতে হবে। তাহলেই তারা বুঝবে যে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তাদের নোংরামিতে থু থু ফেলতেও ঘৃণা করে।

Asham ahad
১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

Oil your own wheel. Think about your country not Bangladeshi. Bullshit Indian.

Mondol
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১১:১৩ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status