ভারত
ওয়াকফ নিয়ে মুসলিমদের মমতা
'দিদি আপনাদের রক্ষা করবে, আপনাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে'
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪০ অপরাহ্ন

ওয়াকফ আইনের বিরোধীতায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও আন্দোলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে আন্দোলন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। জঙ্গিপুরের ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠন। ইসলামিক সংগঠনের কয়েক হাজার ছাত্র-যুব সেই বিক্ষোভে শামিল হন। অবরুদ্ধ হয় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। বুধবারও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জমায়েতে জারি নিষেধাজ্ঞা তবে বুধবার কলকাতায় একটি সভা থেকে রাজ্যের মুসলমানদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আপনারা সবাই একসঙ্গে বাঁচার কথা বলুন। কেউ কেউ রাজনৈতিক প্ররোচনা দেয়। আমি বলছি, দিদি আছে, দিদি আপনাদের রক্ষা করবে। আপনাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে। কেউ উস্কানিতে পা দেবেন না। তিনি আরও বলেছেন, আমি জানি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে সংখ্যালঘুদের মনে একটা দুঃখ আছে। আপানারা ভরসা রাখুন, বাংলায়(পশ্চিমবঙ্গে) এমন কিছু হবে না যাতে বিভাজন হয়। সবাইকে একসঙ্গে থেকে বাঁচতে হবে। জিও, জিনে দো (বাঁচুন, বাঁচতে দিন)।
ওয়াকফ বিল সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আইনের গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে গেছে তারপর। নতুন আইন নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সমগ্র সমাজের স্বার্থে, মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে এই চমৎকার আইন (ওয়াকফ আইন) প্রণয়নের জন্য আমি দেশের সংসদকে অভিনন্দন জানাই। এখন ওয়াকফের পবিত্র চেতনা সুরক্ষিত হবে। মুসলিমদের অধিকারও সুরক্ষিত হবে এই আইনের ফলে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গিপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলছে পুলিশি টহলদারি। বুধবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত শান্তি ফেরাতে তৎপরতা তুঙ্গে। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অভিযোগ, মঙ্গলবার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ। নিক্ষেপ করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হন।
পাঠকের মতামত
Next Prime Minister of India