ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:২৭ অপরাহ্ন

mzamin

সমকাল

‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসবে বিএনপি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে যেসব বক্তব্য আসছে, তাতে পরিষ্কার কোনো বার্তা নেই বলে মনে করছে বিএনপি। বরং দেশে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে জনমনে। এ অবস্থায় সরকারের ভাবনা জানতে এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সময় চাওয়া হয়েছে।

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক যত সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো সরকার এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে পারে। বাকি সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে করা যাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে দলের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে তারা দু-একটি কর্মসূচি দেওয়ার কথাও চিন্তা করছে।

স্থায়ী কমিটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ বড় পরিসরে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকাসহ মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। বৈঠকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার

আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা। কয়েক মাস ধরে বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইবে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চায় তারা।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি যেহেতু এই সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে এবং আগামীতেও করবে, সে কারণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে তারা বড় ধরনের কোনো কর্মসূচিতে যেতে চান না। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বাস্তবতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক চাওয়া– এসব বিবেচনায় নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। দলটি মনে করে, দ্রুত নির্বাচন হলে দেশে বিদ্যমান নানা সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাবে এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। চিকিৎসার জন্য গত রোববার সিঙ্গাপুর গেছেন বিএনপি মহাসচিব। সপ্তাহখানেক পর তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

বৈঠকের আলোচ্যসূচির মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কারের ইস্যু ছিল অন্যতম। বিএনপি গত ২৩ মার্চ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ওপর দলীয় মতামত জমা দিয়েছে। সেখানে সংস্কারের পক্ষেই দলটির মতামত রয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, বিএনপি আগে থেকেই বলে আসছে, সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়– এমন প্রয়োজনীয় সংস্কার ঐক্যের ভিত্তিতে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা সম্ভব। নির্বাচন আয়োজনে দরকার এমন সংস্কারের জন্য একই পথ অবলম্বন করা যায়। এর জন্য সময়ক্ষেপণের দরকার নেই।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম, বড় বাধা পাঁচটি’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে। জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ দেশে ব্যবসায় পরিবেশ তথা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো পাঁচটি বড় বাধা রয়েছে। এগুলো হলো বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।

বাংলাদেশের বেসরকারি খাত নিয়ে ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার বিনিয়োগ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত চার দিনের এ বিনিয়োগ সম্মেলনের গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব বাধা আগের মতোই রয়েছে, অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।

আইএফসির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর বলেন, প্রতিবেদনে সঠিক তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই এ প্রতিবেদন দেখে থাকবেন। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জগুলো যেন ভবিষ্যতে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

বিনিয়োগ কম

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে কোন দেশ কত বিদেশি বিনিয়োগ পায়, তা তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির ২০২৪ সালের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পৌনে ২ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশের কমেছে পৌনে ১৪ শতাংশ।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। অন্যদিকে ভারত ২ হাজার ৮১৬ কোটি, ভিয়েতনাম ১ হাজার ৮৫০ কোটি, ইন্দোনেশিয়া ২ হাজার ১৬৩ কোটি, কম্বোডিয়া ৩৯৬ কোটি ও পাকিস্তান ১৮২ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পায়। বাংলাদেশে আসা বিদেশি বিনিয়োগ সব সময়ই প্রত্যাশার চেয়ে কম বলে গণ্য করা হয়।

আইএফসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বিদেশি বিনিয়োগ মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ (২০২৩)। বাংলাদেশের অর্থনীতির যে গতি প্রত্যাশা করে তার বিপরীতে বিদেশি বিনিয়োগের হার অপর্যাপ্ত। বিদেশি বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ ভালো করছে না। যে বিনিয়োগ আসছে, তা মূলত দেশে ব্যবসারত বিদেশি কোম্পানিগুলোই করছে। নতুন কোম্পানি কম আসছে।

যুগান্তর

‘সাগরের বুকে নতুন সন্দ্বীপ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা, কাউয়ারচরসহ বিলীন ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা ফের সন্দ্বীপের মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে। ১৯৫৫ সালের জরিপে সন্দ্বীপের মোট আয়তন ছিল ৬০৩ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বঙ্গোপসাগর গ্রাস করায় এর মূল ভূখণ্ডের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৮২ বর্গকিলোমিটার।

নতুন করে চর জাগলেও কাগজপত্রে বিলীন হয়ে যাওয়া সন্দ্বীপের সঙ্গে তা যোগ হয়নি। পতিত হাসিনা সরকারের আমলে খোদ দ্বীপের একটি সিন্ডিকেট নতুন চরগুলোর বেশিরভাগ অংশ নোয়াখালীর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সন্দ্বীপ-নোয়াখালীর এই সীমানা বিরোধ ফের সামনে আসে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দ্রুত সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বঙ্গোপোসাগরের বুক চিরে তৈরি হচ্ছে বিশালায়তনের নতুন এক সন্দ্বীপের। নতুন সন্দ্বীপের বর্তমান মোট আয়তন ৭২১ বর্গকিলোমিটার বেশি হতে পারে। তাদের মতে, সাগরে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দ্বীপটি। ইতোমধ্যে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর, উরিরচর নানাভাবে সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে গেছে। পলি জমে চরগুলোর আয়তনও বাড়ছে। তাদের মতে অদূর ভবিষ্যতে এসব চর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হবে বিশাল এক দ্বীপাঞ্চল। বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) এক গবেষণাতেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘শুল্কযুদ্ধে তছনছ বিশ্ববাণিজ্য’। খবরে বলা হয়, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যেও একই পরিমাণ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর জের ধরে চীনা পণ্যের ওপর আরো ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াাইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হচ্ছে। বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে।

গত সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে তবে অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক বাসানো হবে। বুধবার থেকেই বাড়তি এ শুল্ক কার্যকর হবে।’ এ ছাড়া চীনের অনুরোধে আলোচনায় বসার সম্ভাবনাও বাতিল করা হবে বলে জানান ট্রাম্প।

গতকাল আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি করতে মুখিয়ে আছে চীন। তবে তারা জানে না কিভাবে এর সূচনা করতে হবে। আমরা চীনের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। চুক্তি হবে। এর আগে গত মার্চে চীনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সব মিলিয়ে চীনের তৈরি পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসতে যাচ্ছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রয়াদেশ হ্রাস ও পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা রপ্তানিকারকদের’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আর সেই পোশাক রপ্তানির একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ট্রাম্পের পালটা শুল্ক আরোপের পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা। অনেক উদ্যোক্তাই পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। কারণ মূল ক্রেতার কাছে থেকে বাড়তি দাম আদায় করা কঠিন। সে কারণে উত্পাদন ব্যয় কমিয়ে আনার চাপ আসছে।

২ এপ্রিল যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তাতে হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আদেশের দ্বারা নির্ধারিত শুল্কের হারগুলো প্রযোজ্য অন্য কোনো শুল্ক, ফি, কর বা চার্জের অতিরিক্ত। তবে তারা দেশ বা পণ্য অনুসারে আর কিছু জানায়নি। বাংলাদেশি পণ্যে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এর সঙ্গে যদি ৩৭ শতাংশ যুক্ত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্যে ৫২ শতাংশেরও বেশি হতে পারে শুল্ক। তবে আজ ৯ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) নেতারা জানান, মার্কিন শুল্ক আরোপের পর একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জাহাজীকরণের পর মূল্যছাড় দাবি করেছে। ঐ প্রতিষ্ঠানটি আগামী জুনের ক্রয়াদেশও স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পোশাক ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নতুন শুল্ক ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ হতে পারে। সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করে তারা পণ্যের দাম কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে।

তবে আজ ৯ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার পর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির ফলে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিক সুযোগ নেওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

নয়া দিগন্ত

‘আইসিসিতে নয়, গণহত্যার বিচার হবে বাংলাদেশে’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসিতে নয়, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশে হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার বাংলাদেশের এই ট্রাইব্যুনালেই করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই বিষয়টি আইসিসিতে প্রেরণ করতে চাই না। এটা আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। আমরা চাই আইসিসি যদি আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় নেব। এখানেই বিচার হবে। তবে তারা যদি আমাদের বিভিন্ন টেকিনিক্যাল সাপোর্ট দেন সেটি আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। যেমনটি আমরা জাতিসঙ্ঘের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছেন। যে তদন্ত তারা করেছেন সেই রিপোর্ট আমাদের দিয়েছেন। সুতরাং সেই ধরনের সহযোগিতা যদি আইসিসি থেকে আসে আমরা সেটি গ্রহণ করব; কিন্তু মামলাগুলো বিচারের জন্য আইসিসিতে প্রেরণ করা হবে না। এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসিতে নয়, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশে হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার বাংলাদেশের এই ট্রাইব্যুনালেই করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই বিষয়টি আইসিসিতে প্রেরণ করতে চাই না। এটা আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। আমরা চাই আইসিসি যদি আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় নেব। এখানেই বিচার হবে। তবে তারা যদি আমাদের বিভিন্ন টেকিনিক্যাল সাপোর্ট দেন সেটি আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। যেমনটি আমরা জাতিসঙ্ঘের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছেন। যে তদন্ত তারা করেছেন সেই রিপোর্ট আমাদের দিয়েছেন। সুতরাং সেই ধরনের সহযোগিতা যদি আইসিসি থেকে আসে আমরা সেটি গ্রহণ করব; কিন্তু মামলাগুলো বিচারের জন্য আইসিসিতে প্রেরণ করা হবে না। এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘জিডিপির অতিরঞ্জিত তথ্য এখনো সংশোধন হয়নি’। খবরে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। এজন্য বছরের পর বছর ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), মাথাপিছু আয়, রফতানির তথ্য বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সংশোধন করা হবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও সেই অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের কবল থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত পরিসংখ্যান তৈরির আগের কাঠামো বহাল থাকার পাশাপাশি অতীতের সব পরিসংখ্যান সংশোধনে সার্বিক উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এ দুটো কারণেই সরকার এখনো আগের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান থেকে বের হতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের মান নিয়ে দাতা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছে। ‘কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম: চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক’ শিরোনামে ২০২২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে ১৩০টি দেশের ৩০ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ বলা হলেও এর প্রকৃত হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি হিসাবে ১০ বছরে গড় প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। তাছাড়া সংস্থাটির পরিসংখ্যান সক্ষমতার সূচকেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ক্রমেই নিম্নমুখী।

আজকের পত্রিকা

‘পরের’ জমিতে ১২ হাজার স্কুল-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানীর গেন্ডারিয়ার শিশুরক্ষা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে। বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড না থাকায় ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মামলা চলেছে। কিছুদিন আগে মামলার রায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুকূলে এলেও জমিটি এখনো বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে বাংলাদেশ সার্ভের (বিএস) রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

মিরপুরের বনফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জমিটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের নামে রেকর্ডভুক্ত। এই জমির মালিকানাও বিদ্যালয়ের নয়।

শুধু এই দুটি বিদ্যালয় নয়, সারা দেশে প্রায় ১২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়নি। এসব বিদ্যালয়ের জমির কোনোটি বিএস রেকর্ডে ব্যক্তির নামে, কোনোটি খাস, আবার কোনোটি অন্য মন্ত্রণালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা যায়, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অথবা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নামে বিএস রেকর্ডভুক্ত করার বিধান রয়েছে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় বিএনপি’। খবরে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপি আবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। কয়েক মাস ধরে দলটি নির্বাচনের একটি স্পষ্ট পথনির্দেশিকার দাবি জানিয়ে আসছিল এবং এ বিষয়ে একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ পেতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে সংস্কার ইস্যু সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাও নিতে চাইবে দলটি। গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এটি ছিল দলের নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক।

সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কারের ইস্যু ছিল অন্যতম। বিএনপি গত ২৩ মার্চ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ওপর দলীয় মতামত জমা দিয়েছে। সেখানে সংস্কারের পক্ষেই দলটির মতামত রয়েছে। সংস্কার ইস্যুতে তারা যে সরকারকে সহযোগিতা করছে, সে বিষয়ে দলটি তাদের অবস্থান বারবার ব্যক্ত করছে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারের উচিত নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘BNP to meet CA, push for polls roadmap’ অর্থাৎ ‘নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আবারও সাক্ষাৎ করে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ড. ইউনূসের কাছে নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও সংশয়ের কথা জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফলই নির্ধারণ করবে বিএনপির পরবর্তী করণীয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ফখরুল গত রোববার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

আপাতত আগামী ৫ বছর কোন নির্বাচন চাই না। ড মোহাম্মদ ইউনুসে আমাদের ভরসা আছে। উনি এই ৫ বছর দেশ চালাবেন।

এবি সরকার
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status