ফরিদপুরে বাস উল্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৭,আহত ২৯

ফরিদপুরে একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস উল্টে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার জোয়াইড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, মুকসুদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাস ফারিয়া পরিবহণ নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার সময় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের জোয়াইড় এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে আঘাত লাগলে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বিদ্যুতের একটি পিলার প্রায় সাত থেকে আট ফিট বাসের ভেতরে ঢুকে যায়।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী এবং তিনজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। তিনি জানান, নিহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জোয়ার সদ্দার, ছেলে ইমান সদ্দার, ও দিপা, সদর উপজেলার চাঁদপুরের মালতী সরকার, ফজিরন নেছা, চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের আলম হোসেন এবং লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার জহির উদ্দিনের ছেলে আজিবর।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা কয়েকজনকে উদ্ধার করেন। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে ছিল একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত কোন গাড়িকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানান, নিহতদের প্রত্যেককে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দাফন কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে দেয়া হবে। পরে বিআরটিএ এর মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।