অনলাইন
চীনের ওপর ট্রাম্পের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

বেইজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে চীনা পণ্যের ওপর আমেরিকার শুল্ক বেড়ে দাঁড়াল ৮৪ শতাংশে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর বাইরে আছে একটি ১০ শতাংশের ‘গ্লোবাল ট্যারিফ’, যা বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এর ফলে চীনের জন্য আমেরিকার মোট শুল্ক দাঁড়াল ৯৪ শতাংশে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘চীন আমাদের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর আগে থেকেই তারা রেকর্ড পরিমাণ শুল্ক, অ-আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, বেআইনি কোম্পানি ভর্তুকি এবং দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রা কারসাজির মাধ্যমে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা ও অন্যায় করে এসেছে। আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম, যেকোনো দেশ যদি আমাদের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে, তাহলে তার জবাবে আমরা আরও বেশি পরিমাণ শুল্ক আরোপ করব।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘যদি চীন ৮ এপ্রিল-এর মধ্যে তাদের অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে ৫০ শতাংশ নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।’ বিশ্বব্যাপী শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে বেইজিংয়ের সংলাপের অনুরোধের বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমস্ত আলোচনা বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছেন ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, ‘যেসব দেশ মার্কিন আমদানি শুল্কের প্রেক্ষিতে প্রতিশোধমূলক শুল্ক চাপায়নি, তাদের আলোচনার সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়াও, আমাদের সঙ্গে চীনের সমস্ত আলোচনা বাতিল করা হবে!’
আমেরিকার ওপর শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের নির্দেশের পর গত ৭২ ঘণ্টা ধরে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজার এবং তেলের দামে অনবরত পতন দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এই শুল্ক শুধুই পারস্পরিক ভিত্তিতে—যারা আমাদের সঙ্গে যেমন করবে, আমরাও তাদের সঙ্গে তেমন করব।’
ট্রাম্প আক্রমণাত্মক সুরে বলেন, ‘চীন কয়েক দশক ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে শুল্কের নামে চরম অন্যায় করে আসছে।’ চীনের পাল্টা পদক্ষেপে তারা অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের সমান। তবে এই ঘটনার আগেই বেইজিং সতর্ক করেছিল, এই পারস্পরিক শুল্ক যুদ্ধে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির সংঘাত শুরু হতে পারে, যা হবে ‘বেদনাদায়ক’ এবং ‘কারও লাভ হবে না’। সূত্র: এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
America Boycot.