ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

ই-বর্জ্য পরিবেশের হুমকি, বছরে জমা হয় ৩০ লাখ টন

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ৭ আগস্ট ২০২২, রবিবার, ৫:৩৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

অনুপযুক্ত ই-বর্জ্য বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এতে মাটির গুণাগুন অবক্ষয় হচ্ছে। ভারি ও বিষাক্ত ধাতব পদার্থ মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। সাসটেইন্যাবল টেকনোলজি অ্যান্ড এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর জমা হয় ৩০ লাখ টন ই-বর্জ্য। এ জন্য রিসাইক্লিং প্লান্ট থাকা উচিত বলে তাতে বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আনাদোলু। এতে আরও বলা হয়, লিচাতে বা ডাম্প করে রাখা ই-বর্জ্যে থাকা তরলে থাকে বিষাক্ত ধাতব ও অর্গানিক পদার্থ। এসব পশুপাখি, মানব এমনকি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যথাযথ আইন ও সিস্টেমেটিক ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট বলেছে, মাটিতে শতকরা ৫ ভাগ অর্গানিক পদার্থের উপস্থিতি মাটির জন্য উত্তম।

বিজ্ঞাপন
এর সর্বনিম্ন মাত্রা হলো শতকরা ২ ভাগ। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে এর মাত্রা শতকরা দুই ভাগের নিচে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আবেদিন বলেন, অনুপযুক্ত ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে মাটি ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। তার ভাষায়, আমরা মাটিতে বিষাক্ত পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থ এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক পেয়েছি। এর পরিমাণ অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি। ভারি এসব ধাতব পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশে আছে। ফলে মাইক্রোবস, উপকারী ব্যাকটেরিয়ার স্থান দখল করেছে তা। এতে মাটির দরকারি পুষ্টি হচ্ছে না। এসব প্লাস্টিক আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতেও পেয়েছি, যা সংগ্রহ করা হয়েছিল কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শিবির থেকে। তিনি বলেন, ক্রোমিয়াম এবং নিকেলের মতো ভারি ধাতব পদার্থ মাটির রঙ বদলে দিতে পারে। ঢাকার অদূরে সাভারে শিল্প বর্জ্য মিশে ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষিত হয়েছে। 

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের জেনারেল সেক্রেটারি শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ই-বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করা উচিত। কর্তৃপক্ষের উচিত বাসাবাড়ি থেকে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করার পর সেখান থেকে আলাদা করার ব্যবস্থা রাখা। এরপর তা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে নেয়া উচিত। সিসা, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কপার এবং প্লাস্টিকের মতো ৩২টি আলাদা ভারি ধাতব পদার্থ পাওয়া গেছে ই-বর্জ্যে। এর মধ্যে ১৮টি সরাসরি খাদ্য চেইনের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।  

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status