বাংলারজমিন
সুনামগঞ্জে আদালতপাড়ায় খুন
যে দাবি জানালেন খোকনের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই-বোনেরা
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৭ আগস্ট ২০২২, রবিবারভাইয়ের হত্যার সংবাদ শুনে প্রবাসে মন টেকেনি ৪ ভাই ও দুই বোনের। দেশে থাকা একমাত্র ভাইকে শেষবারের মতো দেখতে যুক্তরাজ্য থেকে ছুটে আসেন তারা। গত ২১শে জুলাই সুনামগঞ্জ আদালত পাড়ায় প্রকাশ্যে খুন হন মিজানুর হোসেন খোকন। তার খুনের পর পরই আদালতে থাকা লোকজন আটক করে পুলিশে দেন হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে। অন্য আসামিরা আটক থাকলেও কৌশলে পালিয়ে যায় তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে তাদেরকেও একই শাস্তির দাবি জানান প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা। যাতে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে আদালত এলাকার মতো নিরাপদ স্থানে আর যেন কেউ কোনোদিন এ ধরনের ঘটনা না ঘটায়। শনিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মিজানুর রহমান খোকনের ভাই-বোন ও পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নিহতের লন্ডন প্রবাসী ভাই মো. মোশারফ হোসেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, শিপন মিয়া, বোন রুসনা বেগম, সালমা বেগম, বোন জামাই ওমর মিয়া, ভাগনি নাদিয়া বেগম, নিহতের ছেলে মাহফুজ হোসেন, মাহমুদ হোসেন, মেয়ে ফাইজা ও আত্মীয় কয়ছর আহমদ সাজু। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর হোসেন খোকন তার বাবা ও ছোট্ট ৩ টা বাচ্চা নিয়ে সিলেট শহরে বাস করতেন। গ্রামের বাড়িঘর ও সহায়-সম্পত্তি, পরিবারের লোকজনের চিকিৎসাসহ সব ধরনের কাজ পরিচালনা ও দেখাশোনা করতেন তিনি। কিšুÍ সহায়-সম্পত্তি ও বাড়িঘর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের কৌশল ও প্রকাশ্যে প্রাণে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি এমনকি বারবার চাঁদা দাবি করে আসছিল গলাখাল গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে সন্ত্রাসী ফয়েজ আহমেদ, আফরোশ মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী সেবুল মিয়া, সাজিদ মিয়া, বাদশা মিয়ার ছেলে শাহান মিয়া, মৃত লাল মিয়ার ছেলে ও চাঁদাবাজ ঈসরাইল ও ওমান প্রবাসী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মাস্টার মাইন্ড বাদশা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত বছরের ২৪শে অক্টোবর আত্মীয় কাপ্তান মিয়ার কাছ থেকে দেড় শতক জমি ক্রয় করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। সে জমি ক্রয়ের পর তা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওমান প্রবাসী বাদশা, ঈসরাইল, ফয়েজ, শাহান, সাজিদ, সেবুল ও তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা। যার ফলে চলতি বছরের ২১শে এপ্রিল ক্রয়কৃত জায়গাটি দেখতে যান খোকন। তখন ফয়েজ, শাহান, সাজিদ, সেবুল, সাইদুল, হাসিনা বেগম, আফরুস, রহিমুন বেগম, রাফিন বেগম, রাবেয়া বেগম, সুহেনা বেগম, সাজেদা বেগম, রহিমা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনায় জড়িত ঈসরাইল, শাহানসহ অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে মামলাটির সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে, দ্রুত বিচারের মাধ্যমে খুনের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।