বাংলারজমিন
অপকর্ম ঢাকতে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩২ শিক্ষককে বাদ দিয়ে পকেটে কমিটি গঠনের পাঁয়তারা
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
৬ আগস্ট ২০২২, শনিবাররাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পাতানো নির্বাচন আয়োজনের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ লক্ষ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩২ জন শিক্ষককে সুকৌশলে ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ ওই শিক্ষকরা সমিতির সভাপতি মো. বাবর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে গত ৩১শে জুলাই স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে শিক্ষকরা ইতিমধ্যে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল, বাদ পড়া সকল শিক্ষকের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষক সংগঠনের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও তাকে সদস্য পদ দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও তাদের অনুসারী কয়েকজন শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে তালিকা থেকে ৩২ জন শিক্ষককে বাদ দিয়েছেন। ৪ বছর মেয়াদি এই কমিটি ৯ বছর পার করলেও তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই নিয়মবহির্ভূতভাবে এসকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সহকারী শিক্ষক বিমল কুমার রায় বলেন, তিনি সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম নিতে গেলেও তাকে ফরম দেয়া হয়নি। কোষাধ্যক্ষ দায়িত্বে থাকলেও বিগত দিনে সমিতির আয়-ব্যয় সম্পর্কেও কোনদিন তাকে কিছু জানতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাকে না জানিয়েই সর্বশেষ সভা আহ্বান করে ৩২ জন শিক্ষককে ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ সরদারসহ অনেকেই জানান, সভাপতির পরামর্শে আমরা অনেকেই ‘সহকারী শিক্ষক সমাজ’ থেকে পদত্যাগ করি, সমিতির আইন ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমাদের কোনো বাধা না থাকলেও আমরা অনেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃগ্রহ প্রকাশ করায় বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের আশঙ্কায় আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. বাবর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪টি শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। মোট শিক্ষক সংখ্যা ২৭২ জন। এরমধ্যে যারা অপর ৩টি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ৩২ জনকে আলোচনা সাপেক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ যাওয়া শিক্ষকদের অভিযোগগুলো সঠিক নয়। কোনো অনিয়ম -দুর্নীতির সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, বাদপড়া শিক্ষকরা তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মাননীয় এমপি মহোদয়ও এ বিষয় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।