ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

সিলেটে গণসমাবেশে আলাল

দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অস্থিরতা আরও বাড়বে

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেন হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা নিলে চাঁদা আর তারা নিলে হাদিয়া। বিএনপি নির্বাচনের কথা বললে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভোটাধিকার ছাড়া চলতে পারে না। ভরাডুবির ভয়ে অনেকে নির্বাচন চান না। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে কোনো না কোনো জায়গা থেকে বাতাস দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে দেবে না। বিদেশে বসে অনেকে তরুণদের বিশৃঙ্খল করছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে দেশছাড়া করেছে। পৃথিবীর কোথাও পাবেন না, কোনও রাজনৈতিক দল টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে একটা গণঅভ্যুত্থানের কারণে সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ছিলেন না তিনি ছিলেন তার পরিবারের সভানেত্রী। বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা, রাষ্ট্রে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী শাসনের নানা চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন জনদাবী আদায়ের লক্ষ্যে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে বুধবার রেজিস্ট্রি মাঠের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাসহিনা রুশদী লুনা বলেন, সস্কার কম সময়ের মধ্যে করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন, তারিখ দিন। তাড়াতাড়ি করুন, না হলে অস্থিরতা আবার বেড়ে যাবে। আবার কোনও ষড়যন্ত্র ঢুকে পড়বে। সেই ষড়যন্ত্র রুখতে সময় অতিবাহিত করবেন, আমরা সেটা আর গ্রহণ করতে চাই না। অসংখ্য আহত নেতাকর্মী যাদের চোখ নাই, হাত নাই, পা নাই। তাদের মা চোখের পানি ফেলছেন, চিকিৎসা নিতে পারছে না, তাদের দাবি আপনি আর দীর্ঘায়িত করবেন না। অনুগ্রহ করে নির্বাচনের তারিখ দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বাংলাদেশে যারা জনগণের রোষানলে পড়ে দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে পালিয়ে গেছে, সেই পালিয়ে যাওয়া বাহিনীর কাছে যদি আমরা আর্তনাদ করে বলি, ফিরিয়ে দাও আমাদের ১৭টি বছর, এতে কোনও লাভ হবে না। কারণ তাদের এখন দেওয়ার কিছু নেই। তারা (আ.লীগ) বরং বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে নিতে চায়। কিন্তু, যাদের দেওয়ার আছে, যারা সব শ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে আজকে দেশ পরিচালনা করছেন, তারা একটা জায়গায় গিয়ে সবচেয়ে বড় হোঁচট খেয়েছেন। সেটা হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে না পারা। সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন করে বলে আগে সংসার নাকি সংস্কার। কারণ মানুষের এখন সংসারই তো চলছে না। প্রতিটি জিনিসের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে যে অজস্র মামলা রয়েছে, সে মামলাগুলো এখনও কেন তুলে নেওয়া হচ্ছে না। যে মামলাগুলোতে আমাদের সাজা দেওয়া হয়েছে— সেই মামলাগুলোর তথ্যপ্রমাণ কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান নিজেই। বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, আমাদের নামে যে অজস্র মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা রয়েছে, সেই মামলাগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে হয়েছে। দেশের সকল রাজনৈতিক সংগ্রামে সবসময় সাহসী ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, নির্বাচন প্রলম্বিত করলে অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। গত ১৭ বছরে অবাধ সুষ্ঠু এবং সর্বজনগ্রাহ্য যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের যে ভয়ঙ্কর পরিণতি আমরা দেখতে পেয়েছি, সেটি তো হওয়ার কথা ছিল না। যে একতরফা এক ব্যক্তির নির্বাচনের জন্য কিভাবে রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনের ভোট রাত্রে হয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী পরিচালনায় আরোও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও কলিদ উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ-ক্ষদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, এডভোকেট হাদীয় চৌধুরী মুন্নী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। মাওলানা নুরুল হকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়ার সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী মাহবুব, জেলা স্বেচছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদিপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহসিন শারমিন তামান্না। গণসমাবেশে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, জাসাস, কৃষক দল, শ্রমিক দল, উলামা দল ও মৎস্যজীবী দল, উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে নিজ নিজ ব্যানারে মিছিলসহ অংশগ্রহণ করেন।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status