বাংলারজমিন
নেয়ামতপুর চরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ল বাথান ঘর
দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবারভোলার দৌলতখানের নেয়ামতপুর চরে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে মহিষ পালনের একটি বাথান ঘর। ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় নয়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বলে যানা যায়। এ ঘটনায় প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাথান ঘরে থাকা লোকজন। তাৎক্ষণিকভাবে বাথান ঘরে থাকা মহিষ, ভেড়া ও ছাগলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা জায়নি। বাথানের ঘরে থাকা লোকদের মধ্যে থেকে জসিম জানায়, দুর্বৃত্তের দেয়া আগুন বাথান ঘরে ছড়িয়ে পড়লে মহিষ, গরু ও ভেড়াগুলো নেয়ামতপুর চরের বিভিন্ন দিকে ছুটে চলে যায়। সরজমিন গেলে মাইন উদ্দিন, মিজান, কামাল, মনসুর, হারিছ ও শাকিল বাতানি যানায়, মঙ্গলবার রাত প্রায় নয়টার দিকে উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ জনের মত মুখোশধারী লোক এসে বাথান ঘরের চারদিক ঘেরাও করে রাখে। তাদের মধ্যে থেকে ২ থেকে ৩ জন মুখোশধারী লোক বাথান ঘরে ঢুকে বাতান ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা ভয়ে প্রাণ রক্ষায় বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যেতে থাকলে আমাদের মধ্যে মাইনুদ্দিন ও নুরনবী নামে দু'জন বাথানি আহত হয়। আগুনে বাথান ঘর ও বাথান ঘরে রাখা টাকা পয়সা, মহিষের চিকিৎসার ঔষধ, খাদ্যদ্রব্য সহ অন্যান্য মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে দুইটি মহিষের শরীর পুড়ে গেছে বলে বাথানের লোকজন জানিয়েছে। দুর্বৃত্তরা এ ময় বাথান ঘরে থাকা উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক কাুন্সিলর জাকির হোসেন বাবুলের মহিষ বিক্রির ২লক্ষ টাকাও নিয়ে যায়। বাথানে থাকা মহিষ, গরু ও ভেড়ার মালিক বিএনপি নেতা জাকির হোসেন বাবুল, হাজী আকবর হোসেন, ফয়েজ মাস্টার, মন্নান হাজারী, ইসমাইল কারী, নোয়াখালীর আনোয়ার মিয়া ও ফিরোজ বাঘা, সাদে আলম মিয়া সহ নয়জন মালিকের প্রায় এগারোশ মহিষ, দুই শত গরু ও শতাধিক ভেড়া পালন করে আসছে বাথানের এগারো জন লোক। তবে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে আগুন লাগাতে পারে সে বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তারা। জাকির হোসেন বাবুল ও হাজী আকবর হোসেন জানান, কিছুদিন পূর্বে জামাল হাওলাদার ও লিটন হাওলাদার গং রা ভোলার ধনিয়া থেকে লোকজন নিয়ে এসে জোরপূর্বক ভাবে বাথান ঘরের পূর্ব দিকে একটি ঘর উত্তোলন করতে চেয়েছিল। ওই সময় মহিষ রাখার লোকজন ঘর তুলতে তাদেরকে বাধা দিলে তারা ঘর উত্তোলোন করতে পারে নি। সেখানে থেকেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, পুলিশ চরে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।