বাংলারজমিন
গরু দিয়ে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবারসুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নে গরু দিয়ে ধান খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আস্তমা গ্রামের উত্তরে ও কামরুপদলং মাদ্রাসার পূর্বে পশ্চিম বন্দে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আস্তমা গ্রামের পক্ষে গুরুতর আহত দু’জনকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কামরুপদলং গ্রামের গুরুতর আহত তিনজনকে পাঠানো হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। অন্যান্য আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ বিষয় নিয়ে জমিতেই দুই কৃষকের বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। পরে এ ঘটনায় দু’গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আস্তমা গ্রামের পক্ষে আঙ্গুর মিয়া দাবি করেন, গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে জমির মালিক কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়া। এতে আমাদের গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় কামরুপদলং গ্রামের পক্ষে নুরুল ইসলাম ভাই, ইকবাল হোসেন ভাইসহ বেশ কয়েকজন এসেছিলেন ঘটনাটি সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে শেষ করে দিতে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে এর মীমাংসা হবে। কিন্তু রোববার সকালে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শেষ করার। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার না মেনে সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে আক্রমণ করে। পরে সবকিছু আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।