ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

শেখ হাসিনা দালাই লামা নন, ভারতের উচিত তাকে সমর্থন না দেয়া

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ মাস আগে) ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৩ অপরাহ্ন

mzamin

৫ আগস্ট থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৮০তম দিনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দেন। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে- অনেকেই ভাবতে শুরু করেন তার দল আওয়ামী লীগ হয়তো প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছে। শুরুতে যা ছিল হাসিনার একটি সাধারণ ফেসবুক পোস্ট,  বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণরা তা কার্যত লুফে নেয়। সেইসঙ্গে ঢাকার কেন্দ্রে প্রতিবাদীদের একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হাসিনা তার বক্তৃতা শুরু করার সময় ধানমন্ডি ৩২-এর ঐতিহাসিক ভবনটি, যেখানে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুকুটহীন রাজা হিসেবে তার শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন, তার সামনে কয়েকটি বুলডোজার আনা হয়। তখন এটি কার্যত আগুনে জ্বলছিল। হলুদ বুলডোজারের বড় ধাতব ব্লেডগুলো ভবনের একের পর এক অংশ গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করে। এই ভবন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। 

ঘটনাটি অনেককে, এমনকি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সদস্যদেরও বিস্মিত করেছে। প্রায় ৪০ জন সেনা সদস্য বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তারা শীঘ্রই বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সেখান থেকে সরে যান। পরদিন সূর্যোদয়ের সময় বাংলাদেশ যখন জেগে ওঠে তখন তার ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তন ঘটে গেছে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যা করতে পারেনি, তা ওই রাতের ৯ ঘণ্টায় ঘটে যায়। ৩২ নম্বর রোডের ভবনটিতে ইট ও ছাই- ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরা বিক্ষুব্ধ জনতা বা ধর্মান্ধ নয়-  যারা দেশের ইতিহাসকে নতুন করে লেখার চেষ্টা করছে বা বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের আগের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে- যখন দেশটি পাকিস্তানের অংশ ছিল। 

বাড়িটি ভাঙার সাথে সাথে যারা করতালি, উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন ও সেলফি তুলছিলেন তাদের মধ্যে দেশের ইংরেজি-জানা মধ্যবিত্ত এবং শহুরে মানুষও দাঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাসিনা ও তার অনুগামীরা এসব মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন- যারা হাসিনার শাসনামলে একের পর এক কারচুপির নির্বাচনের কারণে তাদের জীবনে কখনো ভোটই দিতে পারেননি। 

অবশ্য ভোটে কারচুপি করলেও মানুষের সমর্থন পেতে হাসিনা তার পিতার লিগেসি এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছেন। এই কাজটা তিনি এতটাই করেছেন যে- সাধারণ বাংলাদেশিরা মুজিবকে হাসিনা থেকে আলাদা ভাবতে পারেননি। উভয়ই দুঃখজনকভাবে একে অন্যের সাথে মিলে গিয়েছেন। হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহে ভারত এখন পররাষ্ট্রনীতির জালে আটকে পড়েছে। ঢাকায় এখন আবেগ তুঙ্গে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বৃটিশ-বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এহতেশাম হক বলেছেন, লাখ লাখ ভুক্তভোগী মানুষ তাদের নিপীড়কের প্রতীককে সম্মান করবে বলে আপনি আশা করেন? যা কিনা ইট-বালি দিয়ে তৈরি একটি বাসা মাত্র- আপনি কি আমাদের কাছ থেকে চুরি করা সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? আমাদের দেশবাসীর কাছ থেকে নৃশংসভাবে কেড়ে নেয়া চোখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফিরিয়ে আনতে পারবেন? আজকে ভেঙে ফেলা প্রতিটি ইট ন্যায়বিচারের প্রতীক, যা নিপীড়ক শাসকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে। মুজিবকে গুম, অপশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীকে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি, যাকে একসময় বাংলাদেশিদের গর্বের স্মারক হিসেবে দেখতেন, তা এখন হাসিনা নামের সমার্থক হয়ে উঠেছে।

ভারতের আওয়ামী লীগের সমস্যা
শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সেন্ট্রাল জেল মিয়ানওয়ালিতে বন্দি ছিলেন তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। মুজিবকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর তাজউদ্দীন আহমেদসহ মোট চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। তাজউদ্দীনের বিধবা স্ত্রী ও সোহেল তাজের মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করেন এবং ১৯৭৭ সালে দলটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যাবার একদিন পরও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সোহেল তাজ কোনও সমালোচনা করেননি। কারও নাম না করে তিনি তার দলের দুঃখজনক অবস্থার জন্য ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা হাসিনার ওপরই দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, কেউ একজন এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলের সুনামই আজ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

যতবারই মিডিয়ায় হাসিনার কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয় ততবারই হাসিনার প্রতি ভারতের নিরবচ্ছিন্ন এবং অটল সমর্থনের প্রশ্নটিও সামনে এসে যায়। কয়েকদিন আগে, হাসিনা তার দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন- যারা তার বিরোধিতা করেন তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দিতে। একটি অডিও ক্লিপে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিন।’ 

এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে- হাসিনা কোনও দালাই লামা নন যে, তিনি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নৈতিক সংকটে ফেলবেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাংলাদেশে ভারতের একমাত্র মিত্র। কিন্তু হাসিনাকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করা এককথায় অসম্ভব, বিশেষ করে যখন সারা দেশে তার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনও জনসাধারণের মনে টাটকা, সতেজ। ৩২ নম্বর রোডে মুজিবের বাড়ি ভাঙা তারই একটি বহিঃপ্রকাশ। 

অবশ্য হাসিনা সেই দুর্ভাগ্যজনক বক্তৃতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার বিরোধীরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল- বর্ষা বিপ্লবের দিকে পরিচালিত আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু, হাস্যকরভাবে, হাসিনা সফলভাবে তার বিরোধীদের আবার একত্রিত হওয়ার রসদ যুগিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি সক্ষম হয়েছেন। যে মুহূর্তে হাসিনার ছায়া দিগন্তে আবির্ভূত হয়েছিল, নিজেদের মধ্যে সব মতবিরোধ তারা দ্রুত ভুলে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) বেশ অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলেছে। ভারতকে খুশি করতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে দলটি। ভারতবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার ও ছড়ানোর ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে বিএনপি। কিন্তু দিনশেষে দলটির নেতাদের নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হবে- আর তাই বিএনপি কতদিন তার কণ্ঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।  

এই মুহূর্তে ভারতকে দেশের তরুণ প্রজন্মের চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখতে হবে, যারা বছরের পর বছর ধরে হাসিনার হাতে নিজেদের মৌলিক মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে দেখেছে।  হাসিনার হাতে কেবল দুটি অস্ত্র ছিল- তার পিতার উত্তরাধিকার এবং ভারতের সমর্থন। মুজিবের ঐতিহাসিক বাসা ধ্বংসকে এই আলোকে দেখা উচিত এবং বিপুলসংখ্যক জনগণের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে বিরাজমান ব্যাপক ক্ষোভকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝা উচিত। নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার গর্ব খর্ব করতে হবে এবং বুঝতে হবে যে এটি এমন একটি দেশের স্বৈরশাসককে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করেছে- যার সাথে রয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্থল সীমান্ত। শুধু প্রয়োজন সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো বাস্তব বুদ্ধি। এমনকি অতীতে যখন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল তখনও তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিজের উদ্যোগে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন । 

 

ট্রাম্পের লেনদেনের জগৎ 
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একজন বাস্তববাদী মানুষ। তিনি লেনদেনে বিশ্বাসী। যেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা যা চায় সেটাই পায়। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত বাংলাদেশ বৈশ্বিক দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের অবস্থানকে প্রাণকেন্দ্রে হিসেবে দেখে চীন। যদি কখনও দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-অবরোধের মুখে পড়তে হয় সে ক্ষেত্রে সমুদ্রপথে যাওয়ার জন্য বার্মা বা বাংলাদেশ অথবা উভয়েরই প্রয়োজন হবে চীনের। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। বর্ষা বিপ্লব বাংলাদেশকে উভয় পরাশক্তির সাথে সঠিক দর কষাকষির সুযোগ করে  দিয়েছে। যেখানে ভারতের সাউথ ব্লক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার কল্পনায় অটল বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে চীন ঢাকায় নতুন শাসন ব্যবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখাচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশে নতুন বন্ধু তৈরি করতে হবে। সাধারণ বাংলাদেশিদের পাকিস্তানের ছায়ামূর্তি  হিসাবে চিত্রিত করা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য ভালো হতে পারে এবং পশ্চিমবঙ্গে কিছু ভোট জিততে সাহায্য করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এই কৌশল  ক্ষতিকারক হিসেবে প্রতিভাত হবে । 

বাংলাদেশের বিষয়ে চীন বরাবরের মতোই বাস্তবতা দেখিয়েছে। তবে ভারতের বাংলাদেশ নীতি ৭৭ বছর বয়সী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, হাসিনা দেশের মাটিতে একাধিক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন। ভারতের এই অবাস্তববাদী নীতির প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও উদ্বেগজনক। কারণ চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ওপর নির্ভরশীল ওয়াশিংটন।

সূত্র :   দ্য প্রিন্ট
 

পাঠকের মতামত

Realistic and excellent explanation. Great job indeed. Thanks Manabzamin.

nizam
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর ২০২৪ এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ অভ্যুত্থান, একে অপরের পরিপূরক। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আমাদের সকলের কাম্য। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারি আর ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান বিরোধীদের ঠাঁয় বাংলাদেশে হবে না।

Parnel
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন

Fine written! India should hand over Hasina the notorious criminal, to Bangladesh if they (India) have minimum commonsense.

Esak
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

Asif Nazrul is so quiet.

Nam Nai
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৯:১৩ অপরাহ্ন

ফারুক আহমদ সাহেব ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বর আপনি কি শিশু ছিলেন, সম্পাদক সাহেব এটি ছাপাবেন যদি আপনি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন।

রাকিব
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৯:০৯ অপরাহ্ন

বিএনপি যদি সঠিক পথে ফিরে না আসে তাহলে শুধু দলটিকেই নয়, গোটা জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। দলটির নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি আর দখলবাজি দলটিকে দিন দিন জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, এটি ফ্যাসিবাদ ও ভারতের জন্য যতটা আনন্দের সংবাদ ঠিক বাংলাদেশিদের জন্য ততটাই দুঃসংবাদ। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব কেন তার নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সেটি একটি বড় রকম প্রশ্ন।

zulfiquar Ali
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৮:৩৭ অপরাহ্ন

অত্যান্ত যুক্তি যুক্ত বিশ্লেষণ।

আব্দুল চৌধুরী
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৪:০৩ অপরাহ্ন

যথার্ত বিশ্লেষণ, সহমত।

Hedayet Ullah
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৩:৪৭ অপরাহ্ন

আমার বয়স এখন 40 আমি এত দুর্ভাগা যে একবার ভোট দিতে পেরিছি

ফারুক আহমদ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৩:৪২ অপরাহ্ন

পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া একজন অত্যাচারী যে তার নিজের নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তার কর্মকাণ্ডের নিন্দা না করে একটি বাড়ি ধ্বংসের নিন্দা করা অত্যন্ত বধিরতার কাজ । জুলাই/আগস্টের ঘটনাবলীতে এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের জনগণকে আরও বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া এই বিবৃতির মাধ্যমে কী অর্জন করা হবে তা আমি নিশ্চিত নই।

Shahidul Islam
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৩:১৯ অপরাহ্ন

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কলাম

সামিরুল ইসলাম
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

বিগত যোল বছরে ভারত বাংলাদেশ বানিজ্য ও ট্রানজিটসহ সকল অসমচুক্তি ও ভারতীয় কোম্পানী আদানীর অতি মুনাফার বিদ্যুৎ চুক্তি ভবিষ্যতে প্রত্যাহার বা উপেক্ষার ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশ বা ভারত নীতিগতভাবে কি পথক্ষেপ নেয় তা পর্যবেক্ষনে অনুপস্থিত। ভবিষ্যতে তিস্তা প্রকল্পে চীন দেশের বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্তের পর্যায়ে গেলে ভারতের নিকট হাসিনার পূনর্বাসনের চেয়ে চীনকে ঠেকাতে যতটা সম্ভব ছাড় দিতে তৎপর হবে। বঙ্গোপ সাগরে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে আমেরিকার ট্রাম্ফ প্রশাসনও বাংলাদশকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে তৎপর হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের লক্ষ্যহীন বা নিষ্ক্রিয় নীতিনির্ধারক কর্তাব্যক্তিগন পতিত সরকারের বিরহ বেদনায় আকীর্ন থাকলে ভারত ও আমেরিকার যৌথ চাপে পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যেতে পারে।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status