বাংলারজমিন
ভোলাহাটে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রচারণায় ইউএনও’র লুকোচুরি
ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জলমহাল তিন বছর মেয়াদি নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছে লিজ প্রদানের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রচারণা নিয়ে ইউএনও’র লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলায় ২০ একর আয়তনের মোট ১৮টি জলমহাল ইজারা প্রদান করা হবে। গত ২রা জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তারের স্বাক্ষরিত ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিলেও তা প্রকাশ্যে আসেনি। খোদ জলমহাল ইজারা উপজেলা কমিটির সদস্যদের হাতে পৌঁছেনি জলমহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তিটি। ২রা জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি স্বাক্ষরিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত হয় ৯ই জানুয়ারি। সাংবাদিকের তথ্য অনুসন্ধানের খবর টের পেয়ে ১৯শে জানুয়ারি তা ঝুলিয়েছেন নোটিশ বোর্ডে। তবে কিছু কিছু মৎস্যজীবী সমিতির হাতে নোটিশটি পৌঁছেছে বলে জানা যায়।
এদিকে নিবন্ধিত প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতির নিকট জলমহাল লিজ দেয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করার জন্য দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা থাকলেও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানেন না কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়েছে। তার গোপনীয়তা নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে ও তার পছন্দের লোককে ইজারা প্রদান করতে না পারে এ ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান সচেতন মহলের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউএনও অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দায়িত্ব ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার লেমন কাউসারকে দিয়েছেন ইউএনও। খোঁজ নিতে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার লেমন কাউসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নোটিশ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
জলমহাল ইজারার উপজেলা কমিটির সদস্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে যায়নি বিজ্ঞপ্তিটি। দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, ইজারার বিষয়ে আমার কাছে কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি। একই কথা বলেছেন, জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফাজ উদ্দিন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মু. ওয়ালিউল ইসলাম জানান, জলমহাল ইজারার একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী যে সকল উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই সেসকল উপজেলায় সমবায় কর্মকর্তা জলমহাল ইজারার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার (অ.দা.) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, গত ৬ই জানুয়ারি স্থানীয় একটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।