বাংলারজমিন
‘দুর্নীতিবাজ সাংবাদিকরা রংপুর প্রেস ক্লাব দখলে মরিয়া’
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারঅন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করাসহ প্রশাসনের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে রংপুরে কতিপয় দুর্নীতিবাজ নামধারী সাংবাদিকরা নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। বিগত সরকার পতনের পর থেকে প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রংপুর প্রেস ক্লাব দখল নিতে মরিয়া সুযোগ সন্ধানী এ দুর্নীতিবাজরা। ইতিপূর্বে রংপুর প্রেস ক্লাবে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কৃত, চুরি মামলার আসামি ও নারী কেলেঙ্কারি নির্যাতন মামলায় জেলখাটা আসামিসহ অন্যান্য নামধারী সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সচেতনরা। যারা প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে এরা কারা অনুসন্ধান হলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে অনেকে মনে করছেন। সমাজসেবার বিরুদ্ধে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের মামলা চলমান থাকার বিষয়টিকে লুকিয়ে দুর্নীতিবাজ নামধারী সাংবাদিকরা সমাজসেবার কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজসহ জিম্মি করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত প্রেস ক্লাবে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের একটি চিঠি ইস্যু করিয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠের প্রকৃত চিত্র না বুঝে তাদের ফাঁদে পা দিয়েছে এমন অভিযোগ রংপুর প্রেস ক্লাবের প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের। গেল রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেস ক্লাবে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরিসহ ক্লাব অফিসের তালা ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়। তারা প্রশাসনকে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার জন্য বাধ্য করার অপচেষ্টা চালায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এতে অপারগতা প্রকাশ করে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নোটিশ ঝুলিয়ে চলে যায়। ওই সময় প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দরা কেউ ক্লাবে ছিলেন না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্বের বাহিরে পদক্ষেপ গ্রহণে আপত্তি জানালে তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারও করা হয়। এতে করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সুযোগ সন্ধানী দুর্নীতিবাজ এ নামধারী সাংবাদিকরা ফেসবুক ব্যবহার করে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ-প্রচার চালিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। যা সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় সচেতন মহল, সাংবাদিক সংগঠনসহ প্রেস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোনাবার হোসেন বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যখন আদালতে মামলা চলমান, তখন সমাজসেবা অধিদপ্তরের এ ধরনের অপতৎপরতা কাম্য নয়।
রংপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী বলেন, আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বললে রংপুর প্রেস ক্লাবে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানান। বর্তমানে দুষ্কৃতকারীরা প্রেস ক্লাবে দফায় দফায় তাণ্ডব চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সাল থেকে গড়ে ওঠা রংপুর প্রেস ক্লাব তার ঐতিহ্য নিয়ে গঠনতন্ত্র ও নিয়ম মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কৃত হলে বিগত সরকার পতনের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে তারা।