খেলা
‘এভাবে’ খেললে টিকতে পারবেন না কনস্টাস, মন্তব্য পন্টিংয়ের
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক হয় ব্যাটার স্যাম কনস্টাসের। ভারতীয় বোলার জসপ্রিত বুমরাহর জবাব হিসেবে দলে নেয়া হয় এই ওপেনারকে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিজের কাজটা ভালোভাবেই সারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্কুপ, রিভার্স স্কুপ, র্যা ম্প শট, কী ছিল না তার প্রথম ইনিংসে। তবে ওপেনিংয়ে এভাবে বেপরোয়া ক্রিকেটের প্রদর্শন করলে টেস্ট ক্যারিয়ার বেশি বড় করতে পারবেন না কনস্টাস, এমনটা মনে করছেন অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং।
এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ৪ ইনিংস ব্যাট করেন যুবা বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার কনস্টাস। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে আশানুরূপ খেলতে পারছিলেন না ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনি। তার জায়গায় নির্বাচকরা দলে জায়গা দেন কনস্টাসকে। ব্যাটিংয়ে নেমে যেই বুমরাহর জন্য তাকে দলে আনা, তাকেই দেন মেডেন ওভার। তার পরের ওভারে নেন ২ রান। বুমরাহর পরের ওভারটাও মেডেন দেন অজি ওপেনার। ভারতীয় পেসারের প্রথম ১৮ বল খেলে করতে পারেন ২ রান। এরপরের ঘটনাটা সবার জানা। ১৮ বলে ২ রান করা কনস্টাস আউট হবার আগে খেলেন ৬৫ বলে ব্যক্তিগত ৬০ রানের ইনিংস। কী ছিল না সেই ইনিংসে? ইনিংসের সপ্তম ওভারে দুই ওভার মেডেন দেয়া বুমরাহর থেকে আদায় করেন ১৪ রান। ১১তম ওভারে আবারও বুমরাহকে পেয়ে যান কনস্টাস। এবার তুলে নেন ১৮ রান, যা কিনা ডানহাতি এই পেসারের টেস্ট ক্যারিয়ারে দেয়া সর্বোচ্চ রান। এমনকি সেদিনের আগে বুমরাহ টেস্টে শেষ ছক্কা হজম করেছিল ২০২১ -এ। এরপর থেকে করেছিলেন ৪৪৮৪ বল। ১১৪৫ দিন পর ১৯ বছর বয়সী কনস্টাস ছক্কা হাঁকায় তার বলে। অভিষেকের আগেই ইতিহাস তৈরি করা এই অজি ব্যাটারকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করেন কনস্টাসের নিজের ডিফেন্সের প্রতি বিশ্বাস ছিল না দেখেই এমন মারমুখী ব্যাট চালিয়েছেন। আইসিসি রিভিউয়ে পন্টিং বলেন, ‘আমার মনে হয় স্যাম নিজের ডিফেন্সে ভরসা না রাখতে পেরেই র্যা ম্প, স্কুপ খেলছিল। ও বেশ কিছু শট খেলতে পারে। তবে তার অধিকাংশই বেপরোয়া। আমি মনে করি না টেস্ট ওপেনার হিসাবে আপনি এভাবে সবসময় টিকতে পারবেন।’ অজি কিংবদন্তি মনে করেন কনস্টাস অভিষেকে নেমে এভাবে ব্যাট চালাবেন তা ভাবতে পারেনি তার সতীর্থরাও। তিনি বলেন, ‘মেলবোর্নে ও যেভাবে শুরু করেছে তাতে ভারত দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিল। তারা এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। সত্যি বলতে আমার হয় না কনস্টাসের সতীর্থরাও এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল। কারণ, শেফিল্ড শিল্ডে ও এভাবে খেলে না। এভাবে খেলার দরকার পড়ে না। আপনি বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে যখন খেলবেন, রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে চাপে থাকবেন, আপনার তখন রান করার জন্য কোনো না কোনো কৌশল খুঁজতে হবে।’
বক্সিং ডে টেস্টে ১৯ বছর ৮৫ দিন বয়সে অভিষেক হয় কনস্টাসের। বর্তমান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পর কনস্টাসই দলের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অভিষেককারী ক্রিকেটার। ২০১১ -তে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮ বছর ১৯৩ দিন বয়সে অভিষেক হয় কামিন্সের। সেদিন ট্রাভিস হেডের সঙ্গে জুটি বাঁধতে নেমে কনস্টাস ভাঙেন ৯৫ বছর আগের এক রেকর্ডও। ১৯২৯ -এ ১৯ বছর ১৪৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ওপেন করেন আর্চি জ্যাকসন। অজি এই ব্যাটারকে সরিয়ে এই কৃতিত্বের মালিক এখন কনস্টাস।