খেলা
যে কারণে বিসিবি’র কাছে কোটি টাকা চেয়েছে দাবা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবারগত মাসেও বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের আয়োজনে ‘ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে হকি, কাবাডি, টেবিল টেনিসসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে সহায়তা করেছে বিসিবি। এবার দেশের বৃহৎ ক্রীড়া ফেডারেশনটির কাছে এক কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছে দাবা ফেডারেশন। ৪ঠা মে, ২০০৮ সালে এনামুল হোসেন রাজীব তার ৩য় ও চূড়ান্ত জিএম নর্ম লাভ করেন। যার ফলে নিয়াজ মোর্শেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার এবং আবদুল্লাহ আল রাকিবের পর পঞ্চম গ্র্যান্ডমাস্টার পায় বাংলাদেশ। মাঝে ১৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন গ্রান্ডমাস্টারের দেখা মেলেনি। এই শূন্যতা পূরণে নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার তুলে আনার জন্য বড় ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের নতুন কমিটি। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৮ জন সম্ভাবনাময় পুরুষ ও কয়েকজন নারী দাবাড়ুকে নিয়ে ২০২৫ সালে দেশে বিদেশে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলাতে চায় ফেডারেশন। আছে বছরব্যাপি প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিসিবি’র কাছে তারা এক কোটি টাকা চেয়েছে। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তৈয়বুর রহমান সুমন বলেন, ‘বিসিবি’র কাছে আমরা কোটি টাকা আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, এই পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর আরেকজন গ্র্যান্ডমাস্টার পাবো।’ দাবা ফেডারেশন যেসব খেলোয়াড়ের উন্নতির জন্য বিসিবি’র কাছে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন তারা হলেন- জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আন্তর্জাতিকমাস্টার মনন রেজা নীড়, জাতীয় রানার-আপ আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান, গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজিব, ফিদেমাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, ফিদেমাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিকমাস্টার মিনহাজ উদ্দিন, আন্তর্জাতিকমাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল ও অনত চৌধুরী। নারীদের মধ্যে আছেন মহিলা ফিদেমাস্টার নওশিন আনজুমসহ কয়েকজন। ২০২৫ সালে দাবার যে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে ফেডারেশন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ফেব্রুয়ারিতে মন্টেনেগ্রোতে ওয়ার্ল্ড জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, মার্চে হাঙ্গেরিতে দুটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট, একই মাসে শ্রীলঙ্কায় জোনাল চেস চ্যাম্পিয়নশিপ, মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়ান কন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপ, একই মাসে থাইল্যান্ডে ব্যাংকক ওপেন, জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আগস্টে আরো দুটি ওপেন টুর্নামেন্ট। এ ছাড়া শীর্ষ স্থানীয় খেলোয়াড়দের ট্রেনিংয়ের জন্য বিদেশ থেকে কোচ আনার পরিকল্পনাও আছে ফেডারেশনের। ঢাকায় দুই মাস বিদেশি কোচ দিয়ে এই কোচিং প্র্রোগ্রাম করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।