ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

খোলা চোখে

এজেন্ডাবিহীন সংলাপ এবং সিইসি’র তরিকা

লুৎফর রহমান
১ আগস্ট ২০২২, সোমবার
mzamin

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একের পর এক সংলাপ করে আসছে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ ১৭ই জুলাই থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে ইসির তৃতীয় ধাপের সংলাপ শেষ করেছে কমিশন। এই সংলাপ বা আলোচনায় নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা ছিল না। দলগুলোকে খোলামেলা আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আগের সংলাপের জের ধরেই সর্বশেষ সংলাপে অংশ নেয়নি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এরসঙ্গে বিএনপি’র জোটমিত্র দলগুলোও সংলাপে যায়নি। কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের ৯ দল সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। বাকি দলগুলো যথারীতি সংলাপে অংশ নিয়েছে। নিজেদের মতামত দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বক্তব্য তুলে ধরেছে। সংলাপটি এজেন্ডাবিহীন হলেও আলোচনায় অংশ নেয়া দলগুলো নির্ধারিত এজেন্ডা ঠিক করেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে। কোনো কোনো দলের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবও জমা দেয়া হয়েছে। প্রায় দুুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সংলাপের সার সংক্ষেপ করলে এটা দাঁড়ায় যে আগামী নির্বাচনকে সামনে নিয়ে চলা আলোচনায় দুই বিষয় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তা হলো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং নির্বাচনকালীন সরকার।

  এই ইস্যু দুটির প্রথমটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগেই দলগুলোর মতামত নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। বিশিষ্টজনরা মতামত দিয়েছেন। ইভিএম নিয়ে প্রায় সব পক্ষই নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। বেশির ভাগ দল ইভিএমের বিপক্ষে নিজেদের মতামত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলেছেন। ওই সংলাপের পরই ইভিএম’র পাট চুকিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা জারি রেখেছে। ইভিএম’র নানা সুবিধার বিষয় নির্বাচন কমিশন থেকেই প্রচার করা হচ্ছে। কমিশন বলছে ইভিএম নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে কমিশন।  এজেন্ডা না থাকলেও সর্বশেষ ধাপের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় এই ইভিএমকে সামনে এনেছে। বেশির ভাগ দল ইভিএম-এ নিজেদের আস্থাহীনতার কথা তুলে ধরেছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি গতকাল সংলাপে অংশ নিয়ে ইভিএম’র এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। বিকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইসির সংলাপ শেষ হয়েছে। দলটির জন্য দুই ঘণ্টা সময় বরাদ্দ ছিল। আলোচনার শুরুতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে দলের অবস্থান ও ইসির প্রতি পরামর্শ তুলে ধরা হয়। পরে সিনিয়র নেতারা কথা বলেন। দুই ঘণ্টা সময় নির্ধারিত থাকলেও এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটেই আলোচনা শেষ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ইভিএম ইস্যুতে আওয়ামী লীগের পক্ষ আগের অবস্থানই জানানো হয়েছে। আগামী নির্বাচন ইভিএম করার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছিল ইসির আগের সংলাপে। আওয়ামী লীগ এও বলেছে, সম্ভব হলে তিনশ’ আসনেই ইভিএমে নির্বাচন করার পক্ষে তারা।  

যদিও দুই ধাপের সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সংলাপের বিপক্ষে মত দিয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী কয়েকটি দলও মেশিনে ভোট নেয়ার পক্ষে মত দেয়নি। ইসির সঙ্গে সংলাপে যেসব দল অংশ নিচ্ছে না তারা তো এই মেশিনে ভোট নেয়ার ঘোরতর বিরোধী। এমন অবস্থায় সর্বশেষ ধাপের সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন মূলত নিজেদের দায় আরও বাড়িয়েছে। ইভিএম নিয়ে দলগুলোর অবস্থান আরও পরিষ্কার হয়েছে। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অবশ্য সেই দায়ের চাপ থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়টি অবহিত করেছেন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেছেন, অনেক দলই ইভিএম’র বিপক্ষে মতামত দিয়েছে।  দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল নির্বাচনকালীন সরকার। যদিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সরাসরি কোনো বক্তব্য বা মতামত দিতে পারছে না। কারণ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার সংবিধান অনুযায়ী নেই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি সংবিধানই ঠিক করে দেবে। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গত যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বিরোধী দলগুলো এই পদ্ধতিকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না। তাই তারা বিকল্প চাইছে। বিকল্প হিসেবে কিছু প্রস্তাবও দিয়েছে দলগুলো।  

 

 

সর্বশেষ ধাপের সংলাপে অংশ নেয়া দলগুলোর প্রায় সবাই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছে। তাদের বেশির ভাগই জানিয়েছে বিদ্যমান ব্যবস্থার ওপর তাদের আস্থা নেই। নির্বাচনকালীন গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা ঠিক করতে তারা কিছু প্রস্তাবও জমা দিয়েছে। শুরু থেকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বলে আসছে বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক। রাজনৈতিকভাবেই এর একটি সমাধান বের করতে হবে। বিষয়টি সুরাহার ওপর আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা সেটিও নির্ভর করছে। সিইসিও বলেছেন, বিএনপি’র মতো দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এটি তিনিও মনে করেন না। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে যাবে না এমন ঘোষণা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আগেই দিয়ে রেখেছে। এমনকি তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করতেও নারাজ। এই দলগুলো মনে করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। তারা সব দলের সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে না। তাদের অধীনে নির্বাচন হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। নির্বাচন কমিশনের আগে বিরোধী এই জোট নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার সমাধান চায়। এরজন্য প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন করারও কথা বলা হচ্ছে।  এই ইস্যুতে নিজেদের করণীয় না থাকলেও সিইসি অবশ্য সমাধানের কিছু তরিকা বাতলে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কয়েকটি বৈঠক হলেই এই সমস্যার একটা সমাধান বের হয়ে আসতে পারে। 

রাজনৈতিক দলঘগুলো যদি এর একটা সমাধান বের করে ফেলতে পারে, তখন প্রয়োজন হলে নিজের পদটি ছেড়ে দেয়ার মতো ত্যাগ স্বীকার করতেও রাজি আছেন হাবিবুল আউয়াল।  সিইসি’র বাতলে দেয়া এই পথে আওয়ামী লীগ হাঁটবে কিনা এটি তাদের দলীয় বিষয়। তবে তাদের বর্তমান অবস্থান অবশ্য আলোচনায় বসার মতো কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে নিজস্ব যুক্তি পরামর্শ তুলে ধরেছে। বলা হয়েছে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে।  নির্বাচন কমিশনের সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে লিখিত প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একটি ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড চ্যাপ্টার’। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১১-এর বিধান অনুযায়ী এ বিষয়ে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার নেই। এ বিষয়ে সাংঘর্ষিক কোনো মন্তব্য করা সংবিধান লঙ্ঘন করার শামিল। সংলাপে দলের নেতারা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে এমন প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন।  সংলাপে অন্য দলগুলোর পক্ষ থেকে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আসলেও নির্বাচন কমিশন এটিকে এজেন্ডাভুক্ত করতে পারেনি নিজেদের এখতিয়ারের মধ্যে নেই বলে।  সদ্য বিদায়ী কে এম নুরুল হুদা কমিশনও দলগুলোর সঙ্গে নানা সময়ে আলোচনা করেছে। 

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু আদতে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি নির্বাচনে। দিনে দিনে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা বেড়েছে। বেড়েছে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা। এমন অবস্থায় দায়িত্ব নেয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের সামনে সব বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের, দলগুলোর আস্থা ফিরিয়ে আনা। ভোটের মাঠে ভোটারদের ফিরিয়ে আনা। দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান কমিশন যে সংলাপের আয়োজন করেছিল সেখানে এই আস্থা অর্জনের পরামর্শটিই এসেছে সবার আগে। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি সামনে রেখে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আসা এজেন্ডাগুলো কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন আমলে নেবে কিনা এটি অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ তাদের সামনে আসা দলগুলোর বেশিরভাগ এজেন্ডা সর্বশেষ বৈঠক করা আওয়ামী লীগের মতামতের পুরোই উল্টো। অতীতের কমিশনগুলো সিরিজ বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন দলের মতামতকেই গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমান কমিশন যে এর বাইরে যাবে এমন কোনো ইঙ্গিত কিন্তু এখনও মিলছে না।  আগের কমিশনগুলো সংলাপ করে দলগুলোকে নির্বাচনে রাখার নানা চেষ্টা করেছে। দলগুলোও অনেক সময় তাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচন শেষে তারাই আবার হায় হায় করেছে। ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রাতের ভোট, দিনের ভোটের বিতর্ক সামনে এসেছে। রাজনৈতিক দলকে ভোটে রাখতে ইসির কৌশলও বদল হয়েছে সময়ে সময়ে। 

সেই কৌশল ধরতে না পেরে একই ফাঁদে দলগুলোও বার বার পা দিয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এবার দলগুলো বেশি সতর্ক। রাজপথের প্রধান বিরোধী জোট নতুন কমিশনের শুরু থেকেই দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। এমন অবস্থায় সব দলকে নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে সব দলের হয়ে উঠতে হবে। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান কমিশন কী তেমন কিছু করতে পারবে? সর্বশেষ হয়ে যাওয়া সংলাপেও কিন্তু এমন প্রশ্ন এসেছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে সংলাপে এ নিয়ে একটা বিতর্কও হয়েছে। কাদের সিদ্দিকীর দলকে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টার সময় দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু বড় দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে সময় দেয়া হয় দুই ঘণ্টা করে। কাদের সিদ্দিকী সংলাপে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে সব দল সমান। সব দলকে সমান চোখেই দেখতে হবে ইসিকে। শুধু মুখে প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত হননি এই বীরউত্তম। তিনি ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছেন ইসির সঙ্গে। দুই ঘণ্টা পূর্ণ করেই তিনি সভা ত্যাগ করেন। কাদের প্রশ্ন তোলেন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার কথা বললেও দলগুলোর জন্য কমবেশি সময় নির্ধারণ করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। কাদের সিদ্দিকী কমিশনকে মেরুদণ্ড শক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, নীতির সঙ্গে বিরোধ হচ্ছে মনে হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তখন মানুষের মাথার মণি হয়ে থাকবেন।  দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশন এখন কী করে এটিই দেখার বিষয়। আমরা আশা করবো অতীতের মতো ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে শেষ বৈঠকে আসার দাবি আর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ‘শেষ কথাই সব কথা’ এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করবে না কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন।  

 

লেখক: মানবজমিনের নগর সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক।

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status