ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ রজব ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ

কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার মানবতার অভিশাপ

অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবারmzamin

হৃদয়ে পৃথিবীর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের শুধু বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বোঝাই প্রয়োজনীয় নয়, আমাদের বৈশিষ্ট্যসূচক নৈতিক নির্বুদ্ধিতা আর কল্পনাপ্রবণ অদূরদর্শিতাও বোঝা প্রয়োজন। ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েডের নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ, বিশ্বস্বাস্থ্য-সংস্থাসহ ৫০-এর দশকে যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে (dichlorodiphenlytrichloroethane-DDT) (ডিডিটি) ব্যবহারের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতো, তখন মানুষ বুঝতো না ডিডিটি ধরিত্রীর জন্য আশীর্বাদ না অভিশাপ। ১৯৪৮ সালে ডিডিটি’র আবিষ্কারক পল হ্যারম্যান মুলারকে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার। মনে করা হতো এই আবিষ্কার মানুষের জন্য এক আশীর্বাদ। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই যখন এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় বড় কোম্পানি ডিডিটি-সহ অন্যান্য কীটনাশক তৈরি ও বিক্রি করে অঢেল অর্থের মালিক বনে যায়।

এমনি এক সন্ধিক্ষণে র‌্যাচেল লুইস কার্সন নামে এক মেরিন বায়োলোজিস্ট স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’-এর এক চরম বাস্তব গবেষণালব্ধ বই প্রকাশ করে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এই মহিয়সী লেখিকা ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক ছোট্ট একটি খামারে বেড়ে উঠা এই গবেষক জীবনের সূচনালগ্ন থেকেই প্রকৃতি আর জীব জগৎকে আপন করে নিয়েছিলেন। তাইতো পরিণত বয়সে চ্যাটহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাছের রেচনতন্ত্রের উপর মাস্টার্স শেষ করেন। প্রকিৃতি প্রেমী কার্সন নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য ব্যুরোর সম্প্রচারিত ‘রোমান্স আন্ডার দ্য ওয়াটার’ নামক অনুষ্ঠানে পাণ্ডুলিপি লেখার দায়িত্ব নিয়োজিত করেন। এই কথাগুলো এই কারণে বলছি যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে মেরিন বায়োলোজি বিষয়ে অত্যন্ত চমৎকারভাবে সম্যক জ্ঞান বিতরণে কতোটা তৎপর ছিলেন সেই কারণে। ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফায়ার এ্যান্ট ইরাডিকেশন করার জন্য ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার উউঞ-এর সঙ্গে আরও কিছু কীটনাশক ও জীবাশ্ম জ্বালানি মিশিয়ে স্প্রে করার কারণে পেন সিলভানিয়ার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেছিল, এমনকি চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিল। একইভাবে ওগাল ওয়েন্স হ্যাকিন্স নামক একজন মহিলা চিঠির অভিযোগে এই দুঃসাধ্য কাজটি করতে তিনি যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। যে ভদ্র মহিলা কার্সনকে চিঠি লিখেছিলেন তার অভিযোগ ছিল তার এলাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে পাখি মারা যাচ্ছে। স্প্রিং এ আর পাখির কলকাকলি শোনা যায় না। 
আগে বর্ণিত ১৯৫০-এর দশকের শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক সহায়তাপুষ্ট ল্যাবরেটরিগুলোয় রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্যের ব্যাপক গণউৎপাদন শুরু করেছিল। সবচেয়ে জনপ্রিয় কীটনাশকটি ছিল ডাইক্লোরোডাইফিনাইলট্রাইক্লোরোইথেন (ডিডিটি), মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোয় ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা নির্মূল করার জন্যে এটি পরিকল্পিত হয়েছিল। এটি এত বেশি কার্যকরী এবং উপকারী ছিল যে, এটি আবিষ্কারের জন্য রসায়নবিদ পল হেরমান মুলারকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছিল।

তবে, পরে প্রমাণিত হয়েছিল যে ডিডিটি আসলে একটি ফ্রাঙ্কেনস্টাইন-সুলভ আবিষ্কার। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছিল এটি শুধু ক্ষতিকর মশাই মারছে না, বরং ব্যবহার শুরু হওয়ার বহু মাস পরেও এটি নানা ধরনের কীটপতঙ্গ হত্যা করা অব্যাহত রাখে। অর্থাৎ এর ম্যাক্সিমাম রেসিডিউ লেভেল অনেক হাই। এ ছাড়াও ডিডিটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে নালা, নদী ও নানা জলাশয়ে প্রবেশ করে এর বিষক্রিয়ায় মাছ, মোল, শিয়াল, খরগোশ এমনকি জীবিত এমন প্রায় সব প্রাণীকেই আক্রান্ত করতে পারে। ডিডিটি ব্যবহার পৃথিবীর খাদ্য সরবরাহ দূষিত করারও শক্তি ছিল, এ ছাড়াও মানুষের শরীরে স্নেহপদার্থ সংগ্রহকারী কোষগুলোয় এটি জমা হয় এবং বায়ো-একমোলেশন তৈরি করে, যা পরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। এই বইটা তীব্র একটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। যদিও কার্সন প্রতিষ্ঠিত একজন লেখক ছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন ম্যাগাজিন আর খবরের কাগজগুলো তার মতামত বর্জন করতে শুরু করেছিল। যে বিজ্ঞানীরা ডিডিটি আবিষ্কার করতে সহায়তা করেছিলেন আর যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন, তারা ক্রুদ্ধ হয়ে কীটনাশকের ঝুঁকি নিয়ে কার্সনের সাবধানবাণীর বিরুদ্ধে তাদের পাল্টা যুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন। মনসান্টোর মতো কোম্পানিগুলো কার্সনের বইটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদসহ লেখা প্রকাশ করেছিল এবং একইসঙ্গে কার্সনকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করাও অব্যাহত রেখেছিল। কোম্পানির একজন কর্মকর্তার ক্ষুব্ধ মন্তব্য ছিল, যদি সবাই বিশ্বাসের সঙ্গে মিস কার্সনের শিক্ষা অনুসরণ করেন, আমরা তাহলে আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবো এবং পোকামাকড়, অসুখ আর জীবাণুরা আরও একবার পৃথিবী রাজত্ব করবে। এজরা টাফট বেনসন, যুক্তরাষ্টের তৎকালীন কৃষি মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের কাছে পাঠানো একটি মেমোতে লিখেছিলেন, যেহেতু মিস কার্সন শারীরিকভাবে অনাকর্ষণীয় এবং এখনো অবিবাহিত, তিনি ‘সম্ভবত একজন কমিউনিস্ট’। কর্পোরেশন আর তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঝরষবহঃ ঝঢ়ৎরহম সব দেয়ালই ভাঙতে পেরেছিল। শক্তিশালী রাসায়নিক কর্পোরেশগুলো থেকে সমালোচনা প্রত্যাশা করেই তিনি তার বইটি এমনভাবে প্রস্তুত করেছিলেন যেন মনে হতো প্রকৃতির স্বপক্ষে এটি একটি আইনি লড়াই। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছিলেন ৫৫ পাতার একটি নোট, যেখানে তার যুক্তিগুলোর পক্ষে অকাট্য সব প্রমাণ ছিল। Silent spring শিরোনামটি একটি ভয়ানক ছবি আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছিল, এমন একটি পৃথিবী যেখানে কোনো গানের পাখি নেই, আসলেই প্রায় কোনো প্রাকৃতিক জীবনই সেখানে নেই। এটি শুরু হয়েছিল একটি নামহীন ছোট আমেরিকান শহরের বর্ণনা দিয়ে, যা পূর্ণ ভোক্তাদের জন্য সুবিধায়, চোখ ধাঁধানো যন্ত্র আর সস্তা খাদ্যের দোকানে কিন্তু সেখানে কোনো রবিন বা লেডিবার্ড নেই, লার্ক বা কাঠবিড়ালী নেই। একটি পৃথিবী যা স্পষ্টতই মানুষের সুবিধার্থে পরিবর্তিত হয়েছে কিন্তু পরিণতিতে সেটি আর মানুষের পৃথিবী থাকে না। কার্সন আমাদের তাগিদ দেন প্রকৃতিকে মুক্তি দিতে। এটিকে এর নিজের মতো করে থাকতে দিতে, প্রকৃতি নিজেই এর কীটপতঙ্গদের অতিবংশবৃদ্ধি তার নিজের মতো করেই মোকাবিলা করবে। কিন্তু যদি মানুষ সেখানে হস্তক্ষেপ করে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো প্রাণীগোষ্ঠী একপর্যায়ে সব বিষের বিরুদ্ধেই তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তারপর খুব দ্রুত এটি আকারে বৃদ্ধি পাবে। কারণ যে কীটগুলো ক্ষতিকর অন্য কীটগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তাদের খাদ্যে পরিণত করে, তারাও কীটনাশকের প্রভাবে অজ্ঞাতসারে মৃত্যুবরণ করে ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে।

১৯৬২ সালে তার বইটি প্রকাশ হওয়ার ফলে আমেরিকার সিনেটরে তাকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল। তার সুপারিশগুলোর সত্যতা অনুসন্ধানে রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞান বিষক উপদেষ্টাকে নিদের্শ দিয়েছিলেন। ১৯৬৪ তার মৃত্যুর ৮ বছর পর আমেরিকাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে উউঞ নিষিদ্ধ হয়েছিল।
আজ আমাদের সময় এসেছে বাংলাদেশে ব্যবহৃত সকল কীটনাশকের এম আর এল অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম রেসিডুয়াল লেভেল বা কতোদিন পর্যন্ত কোথায় কোথায় কোন কীটনাশকের বিষক্রিয়া বিদ্যমান থাকে তার তালিকা প্রণয়ন করে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একইসঙ্গে ফলমুল, শাক সবজি উৎপাদন ও সংরক্ষণে পি এইচ আই বা প্রি হারভেস্টিং ইন্টারভেল অর্থাৎ শস্য/ ফলমুল শাক সবজি হারভেস্ট করার ন্যূনতম কতো আগ পযর্ন্ত পোস্টি সাইডের ব্যবহার করা যাবে তার প্রকৃত গাইডলাইন তৈরি।
মনে রাখতে হবে প্রকৃতি আমাদের আবাসভূমি। একে কোন হিংস্রতা, জটিল ও কুটিল চিন্তা-ভাবনার নিরিখে আপন স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না। শুধুই অর্থনৈতিক লালসার চরিতার্থতায় প্রকৃতির উপর নির্বিচার আচরণ করা যাবে না। যদি এমন উপায়ে আচরণ করে অর্বাচীন দার্শনিকের মতো ধারণা করা হয় যে, প্রকৃতি একটি শক্তি, যার উপর বল প্রয়োগ করে আমাদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তাহলে তা নিতান্তই বোকামি। ইহার পরিবর্তে প্রকৃত দার্শনিকের ভাবনা হবে আরও বেশি সৃজনশীল উপায়ে কীভাবে ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি- যেমন, পোকাদের নির্বীজন বা তাদের প্রজনন করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে অথবা ঠিক সেই রাসায়নিক ‘প্রলোভন’ ব্যবহার করে যা পতঙ্গরা পরস্পরকে ধরার ব্যবহার করে। অথবা কোনো একটি কম্পাঙ্কের শব্দ ব্যবহার করে, যা লার্ভাদের ধ্বংস করবে। অর্থাৎ ন্যূনতম কীটনাশকের ব্যবহার নিশ্চিত করণে আই পি এম বা সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আই ভি এম বা সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে আই পি ভি এম বা সমন্বিত বালাই ও বাহক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেতে ঋঅঙ এবং ডঐঙ এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। প্রকৃতি নিয়ে কোনো কিছু করার আগেই সবসময়ই আমাদের সেটিকে মূল্যায়ন, শ্রদ্ধা আর এর প্রতি সেই বিস্ময় থাকা দরকার, সেই বোঝাপড়া যে, এটি আসলেই একটি বড় শক্তি, যা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে এবং যা মূলত মানব নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং এখনো যা আমরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।

এবার আসছি মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশকগুলোর সংগ্রহ, পরিবহন ও ডিজপোজাল ব্যবস্থাপনায়। এই ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে বড়ই অপ্রতুল ও নাজুক। এই প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পরিবেশ ও অন্যান্য প্রাণীকূল অত্যন্ত মারাত্মকভাবে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব। যথাযথ ট্রেনিং এর অভাব বিশেষ করে ইমাজেন্সি রেসপন্স প্ল্যান বা ই আর পি, লিচিং, স্পিলিং, অত্যন্ত কম ফ্লাশ পয়েন্ট সমৃদ্ধ কীটনাশকগুলোর ক্ষেত্রে যথাপোযুক্ত তাপমাত্রার ব্যবস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা বিশাল ঝুঁকিতে আছি। এই ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের দেশে রাসায়নিক কীটনাশক রেগুলেটরি অথোরিটির ভূমিকা এবং উৎপাদিত কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অবশ্যই মানবতার নিরিখে হওয়া উচিত, অর্থনৈতিক ভাবনার নিরিখে নয়। দেশে এত এত মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে, পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে সবার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আসুন শুধুই স্প্রিংকে নয় সকল ঋতুকেই জীব বৈচিত্র্যের মহাসমারহে ভরিয়ে তুলি। র‌্যাচেল কার্সনের মত শত সহস্র বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নির্মল, সবুজ ও প্রাণবন্ত প্রকৃতি উপভোগ করতে সকলের গবেষণা ও কর্মলদ্ধ ফলাফল প্রয়োগ করি। নির্ভেজাল দূষণমুক্ত পরিবেশে জীবন গড়ি।
লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) মহাখালী, ঢাকা।

 

পাঠকের মতামত

বন্ধু, লেখাটি সময়োপযোগী এবং মানব স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের মঙ্গলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সমস্যা হলো কে শুনে কার কথা।

এ কে এম আনিছুর রহমান
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১:৪৮ অপরাহ্ন

অত্যান্ত সহজ ভাষায় সময়োপযোগী নিবন্ধ। এই নিবন্ধে উল্লেখিত ম্যাক্সিমাম রেসিডুয়াল লেভেল এবং পিএইচআই নির্নয় করা জরুরী। দেশের জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ এবং IUCN তালিকায় বিপদাপন্ন প্রাণীকূলের তালিকা নতুনভাবে তৈরী করে কিভাবে এদের আবাস কেন বিপন্ন হচ্ছে তা গবেষণা করা উচিৎ। র‍্যাচেল কারসনের সাইলেন্ট স্প্রিং বইটি আংশিক পড়েছি। কিন্তু এই বই এর পেছনের ইতিহাস জানা ছিল না। এ জন্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

আবু মোঃ সাহরিয়ার
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ/ এক যুগ আগে ড. ইউনূসকে যা বলেছিলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status