খেলা
সাকিবের বোলিং নিয়ে আইসিসি’র কাছে চিঠি দিয়েছে বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবারদীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারের পড়ন্তবেলায় বোলিং নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আম্পায়াররা। সেই প্রেক্ষিতে বোলিংয়ের অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে এই দুঃসময়ে সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী সন্দেহজনক ও ত্রুটিপূর্ণ বোলিং বিষয়ক নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদ বলছে, ‘কোনো জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি একজন বোলারকে তাদের নিজস্ব নীতিমালার অধীনে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ করে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যদি স্বীকৃত পরীক্ষাগারে মানসম্মত বিশ্লেষণী বিধি অনুযায়ী করা হয়, তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে আইসিসি আমলে নেবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আরোপ করবে।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা প্রকাশ করলেও তার আগে সাকিবকে ফিরতে হতো বিপিএল দিয়ে। তবে আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। যেখানে বলা হয়, ‘জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অধীনস্থ ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই নোটিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। আইসিসি এবং ক্রিকেট বোর্ডগুলো সিদ্ধান্ত আরোপ ও কার্যকরের জন্য সব পদক্ষেপ বিধিসম্মতভাবে নেবে।’ তাই বলা যায় আইসিসি সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমলে নিলে বিপদে পড়তে যাচ্ছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। তবে আইসিসি’র আরেকটি নীতিমালা অনুযায়ী সাকিবকে বিপিএল-এ কোনো ঝামেলা ছাড়াই খেলার সুযোগ করে দিতে চায় বিসিবি। যদিও ক্রিকেট বোর্ড চাইলে এই সুযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারতো সাকিবের ওপর। দেশের এক গণমাধ্যমকে বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস জানান, ‘যেকোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হলে সেটা শুধরানোর জন্য তাকে ম্যাচ খেলতে হবে। তাই দেশের ক্রিকেটে সাকিবের খেলতে কোনো বাধা নেই। তবে দু’টি বিষয়ে আমরা পরিষ্কার হতে আইসিসি’র কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। প্রথমটি হলো- কোন কোন প্রতিযোগিতায় সে খেলতে পারবে এবং কোথায় কোথায় নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে সেটা। দ্বিতীয়টি হলো- যেহেতু ইসিবি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষা কি ইসিবি’র অধীনেই দিতে হবে, নাকি বিসিবি’র স্বীকৃত কোনো বোলিং অ্যাকশন ল্যাবে দিলেও হবে? এই দু’টি বিষয়ের জবাবের অপেক্ষায় আছি আমরা।’ এদিকে সমপ্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের সরকার পরিবর্তনের পর সাকিবের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন একাংশ মানুষ। এতে করে সাকিব যাতে দেশের মাটিতে খেলতে না পারে, তাই বিক্ষোভ হতেও দেখা যায় মিরপুরে। আবার তাকে খেলতে না দেওয়ার কারণেও দেখা যায় জন অসন্তোষ। এক প্রকার অস্বস্তিকর অবস্থানে থাকা বিসিবি’র সামনে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ থাকলেও তারা পাশে দাঁড়িয়েছে এই অলরাউন্ডারের।
এতদিন সাকিবকে গালিগালাজ ঠিকই আছে, ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে । তবে এখন সাকিবের স্বার্থের সাথে দেশের সম্মানও জড়িয়ে পড়েছে । বোলিং একশন শোধরানো না গেলে বাংলাদেশের বিগত দিনের জয় গুলো নিয়ে শত্রুরা খোঁচাখুঁচি শুরু করবে, তাই তাকে দেশে খেলতে দেয়া দরকার ।
সাকিব কে খেলতে দেওয়া উচিত
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ সৎ। দেখেন না দেশ উন্নতি করে আমেরিকার সমান হইছে। এক সাকিব কি ক্ষতি করছে তা না ভেবে এক সাকিব দেশকে কি এনে দিছে তাই ভাবেন। আগে দেশের জন্য সেই সন্মান বয়ে আনেন, তার পর কথা বলেন। জাস্টিস হতে গিয়ে খেলা আর রাজনীতি গুলাইয়া খাইয়া ফেইলেন না।
No more Sakib, he must be punished for dummy MP
সাকিবের সততার অভাব তাই তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা উচিত।