ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাফ কথা

রেলের কালো বিড়াল, কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার বয়ান

কাজল ঘোষ
২৮ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

আমাদের এখানে নয়টার গাড়ি কয়টায় ছাড়ে এটি প্রচলিত সত্য। যদিও এখন আগের চেয়ে সময়ের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু টিকিট নিয়ে নয়ছয় বন্ধ হলে, যাত্রী সেবার মান উন্নত হলে এই সেবাখাত নিয়ে মানুষের ভোগান্তি আরও কমবে আশা করা যায়। তাহলে হয়তো একজন রনির প্রতিবাদে টনক নড়লে সামনের দিন আর একাধিক রনিকে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। রেল মেরামতের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে হবে না


ঘুরে ফিরে আলোচনায় রেল। দেশের জনপ্রিয় বাহন। কিন্তু সাধারণের কাছে অতি দূরের। একদল সিদ্ধ অসাধু কর্মকর্তার হাতে জিম্মি এই ভালোলাগার খাতটি ধুঁকছে নানাভাবে। এই সেবাখাত নিয়ে পানি অনেক দূর গড়ালেও সমাধান আসছে না। যদি প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত থেকে আলোচনা শুরু করি তাহলে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ লেগে যাবে।

বিজ্ঞাপন
এ খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা শেষ হবে না। একেবারে সেদিনের ঘটনা দিয়েই শুরু করি। খোদ রেলমন্ত্রীর এক আত্মীয়ের কল্যাণে আমরা এখানকার অনিয়মের চিত্র দেখতে পেলাম নতুন করে। মন্ত্রীর আত্মীয় বলে কথা। বিনা টিকিটে চেপে বসলেন, টিটিই’র কি করার আছে? যা হোক অনেক লেখালেখি আর আলোচনা শেষে রেলমন্ত্রীর বোধোদয় হলো। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সুর বদলালেন। কিন্তু সরকারের অতি প্রয়োজনীয় এই খাত নিয়ে সমস্যার শিকড় আসলে কোথায়? বর্তমানে নন ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল করার চেষ্টায়ও সাধারণ মানুষ এ খাতের কোনো সুফল পাচ্ছে না কেন? এ নিয়ে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ হলেও একটু নড়াচড়া দিয়ে ‘যেই লাউ সেই কদু’ হয়ে যায়। একজন মহিউদ্দিন রনি আমাদের চোখের ওপর থাকা কালো পর্দা সরিয়ে দিতে পথে নেমেছেন। ছয় দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা প্রায়ই নানা ফোরামে সুশাসন নিয়ে এন্তার কথা শুনি। তা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক। মোটা মোটা মাথা ভারী কথা গোলটেবিল আলোচনায় আসে। কিন্তু আমজনতার একজন হিসাবে মনে করি, সুশাসন নিয়ে মাথাভারী কথাবার্তা না কপচে সুশাসনের চিত্র কী তা বাংলাদেশের রেলওয়ে নিয়ে গবেষণা করলেই যথেষ্ট মনে হয়। কি অসাধারণ মুন্সিয়ানায় রেলের নানা পর্যায়ে থলের ভেতরে ঘাপটি মেরে কালো বেড়াল অমিত সম্ভাবনার এই খাতকে প্রশ্নের মুখে রেখেছে।

  কি ধরনের কালো বিড়াল লুকিয়ে আছে এই সেক্টরে? আমার নিজের ব্যক্তিগত কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাই বলবো আজ। আমার জন্মভিটে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। যে বাড়িতে আমার জন্ম তা ঘোষপাড়া বলে পরিচিত। ঠিক আমাদের পাড়ার গা-ঘেঁষেই কুলিয়ারচর রেলস্টেশন। এ কারণে রেল নিয়ে আমি বরাবরই নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত থাকি। আমার বেড়ে ওঠার সময় এতটা ডিজিটাল ছিল না। তখন ফোন ছিল না। বিদ্যুৎ ছিল না। মোবাইল, কম্পিউটার দুনিয়ার ইতিহাসে তখন স্বপ্নের মুঠোতেই বন্দি। আমাদের জীবনে রেল ছিল এক প্রকার ছন্দ। রেলের সিগন্যাল ঊর্ধ্বমুখী তুললেই আমাদের চিত্তচাঞ্চল্য ঘটতো। মনে হতো এক নিশিপথের আলোকবর্তিকা আগত রেলটি। ঝমঝম করে এত বড় একটি বাহন ঢুকে পড়তো নীরব প্রায় ঘুমিয়ে থাকা স্টেশনে। সে মুহূর্তেই প্রবেশ করে সকলের মধ্যে গতি এনে আবার মিলিয়ে যেত। অনেক সময় কেটেছে রেলটি যখন কু ঝিক ঝিক করে ছুটে যেত তখন মন উদাস করে উঠতো, মন খারাপ নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম যতক্ষণ না তা মিলিয়ে যেত। ভোরের মেইল আর নিশুতি রাতের মেইল আমাদের জানান দিতো সময়ের ঘণ্টাকে। এমন একটি সময় গেছে দূর রাজধানীতে রুটি-রুজির অন্বেষণে বাবা যখন মাসের পর মাস কাজ করে বাড়ি ফিরতেন, চিঠিতে লেখা বা লোক মারফত জানতে পারা দিনটিতে রেলস্টেশনে গিয়ে অপেক্ষায় থাকতাম কখন আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত রেল। কখন যাত্রীদের ভিড়ে নামতে দেখবো বাবার মুখ। 

মফস্বল জীবনের এমন অনেক নস্টালজিয়া এখনো আমাকে মজিয়ে রাখে, তন্ময় হয়ে ভাবি সেই সময় কালকে। কিছুটা বড় হয়ে যখন বিভূতিভূষণ পড়েছি বা সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখেছি, কাশবনের ভেতর দিয়ে ছুটে চলা ট্রেন, অপু আর দুর্গার সেই রেল যা কাশবন পেরিয়ে ছুটে যাচ্ছে। বুঝতে পারি খ্যাতনামা এই সাহিত্যিকদের চিত্তকেও কেন নাড়া দিয়েছিল রেল। কিন্তু আসাধারণ এই বাহনটি যতই বড় হচ্ছিলাম ততই আবেগের জায়গা থেকে সরে ভোগান্তির স্মৃতিবাহক হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমে কাজ করতে এসে বুঝতে পারি একদল লুটেরা এই রেল নামক অসাধারণ বাহনটিকে মন ভালো করা থেকে ক্রমাগত হয়রানির তালিকায় নিয়ে গেছে।    আমি প্রথম ঢাকায় পা রাখি ১৯৮৭ সালে। তখন কুলিয়ারচর থেকে ঢাকায় আসার পথ ছিল একটিই আর তা হলো রেল। এখন সড়ক যোগাযোগ বেড়েছে। মনে পড়ে, প্রথম ঢাকায় আসি ঈশা খাঁ মেইলে। এখন যেখানে এ-পথে ঢাকায় ঘণ্টাতিনেক লাগে তখন তা লাগতো বারো/তের ঘণ্টা। তখন সকাল ৯ টায় রেলে চড়লে ঢাকায় পৌঁছাতে লেগে যেত রাত আটটা থেকে দশটা। সকালে বাড়ি থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় রুটি আর গুড় ঠোঙায় করে দিয়ে দিতেন মা। আর  স্টেশনে রেল থামলে ছুটে আসতো জগ ভর্তি পানি নিয়ে হকাররা। হানি হানি বলে গগণবিদারী চিৎকারে কান ভারী হতো। 

প্রতি গ্লাস পানি পাওয়া যেত তখন দশ পয়সায়। তিন গ্লাস নিলে চার আনা। সঙ্গে থাকা রুটি আর দশ পয়সার পানি ক্ষুধা নিবারণের উপায় একটাই। আর চানাচুর বাদামের প্রাচুর্য ছিল বরাবরই। একেকটি নতুন স্টেশনে গাড়ি থামতো আর মনে হতো নতুন নতুন একেকটি দুনিয়া আমার সামনে হাজির। কোনো স্টেশনে ক্রসিং হলে তাকিয়ে থাকতাম একটি রেলকে রেখে আরেকটি রেল কীভাবে ছুটে চলে যায়। মনে হতো আমি যদি সেই স্টেশনে চলে যেতে পারতাম অন্য প্রান্তে। বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা এরপর আর কোন স্টেশন। পুরো পথটাই যেন আমার সোনার বাংলার রূপ মাধুর্যে ঠাসা। ধান ক্ষেতের সবুজ আর নদী মাতৃকার মাদকতায় পূর্ণ। আর রেলের একেকটি বগি যেন জনমানুষের সুখ-দুঃখের গল্পের বুননে ঠাসা কোনো নকশি কাঁথা। রেলে প্রতিটি ভ্রমণই যেন একেকটি জীবন্ত গল্পের আখড়া। তা কথা বলে অসংখ্য জীবনের।  সময়ের দৌড়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। একাত্তরে স্বাধীন হওয়া সোনার এই দেশটি মুক্তির পঞ্চাশ বছরও অতিক্রান্ত। নানান উন্নয়ন কথিকা এখন মুখে মুখে।

 কিন্তু রেলের দুর্নীতি আর অনিয়মের চোরাবালিতে এসব সুশাসনের বুলি তলিয়ে যায়। ১৯৮৭ থেকে ২০২২ সাল। এই ফি বছরে যতবার নিজ বাড়িতে যাবার কথা ওঠেছে আমার প্রথম এবং একমাত্র পছন্দ রেল। আবেগমথিত হই যখনই রেলে চড়ি। তা ঢাকা থেকে হোক আর ফেরার সময় কুলিয়ারচর থেকেই হোক। আর এ সময়টাতে যখন নন ডিজিটাল ব্যবস্থায় টিকিট ছিল তখন দু’তিন দিন আগে স্টেশনে গিয়ে আগাম টিকিট আনতে হতো আর না হলে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হতো। দিতে হতো বাড়তি টাকা। এখন হলো ডিজিটাল। অনলাইনে টিকিট। সহজ আমাদের জীবন সহজ করার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু এ ব্যবস্থাতেও এন্তার অভিযোগ। লোকাল মেইলের যুগ শেষ করে এলো ইন্টারসিটি বা আন্তঃনগর। কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর মেইল এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের টিকিট পাওয়া সবসময় ছিল সোনার হরিণ। জ্ঞাত বা অজ্ঞাত যাই বলি না কেন কুলিয়ারচর থেকে ঢাকায় আসবো আজ পর্যন্ত কোনো দিন কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাইনি। স্টেশন মাস্টারের চিরাচরিত বুলি, টিকিট নেই। কিন্তু আছে, পাশের চায়ের স্টলে। স্টেশনের পেছনের ঝুপড়িতে, কারওবা বুক পকেটে। শুধু এরজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা। 

বাবাকে দেখেছি এর-ওর কাছে ঘুরাঘুরি করে টিকিটের ব্যবস্থা করতেন। নিজের কাছে এখনো ভাবলে অসহায় লাগে, টিকিট ব্যবস্থাপনায় আমরা সুশাসন এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এ নিয়ে লেখালেখি অনেক হয়েছে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিয়োগ, বদলি, রেলের অভ্যন্তরের পরিবেশ, নির্বিঘ্নে যাত্রার পথ নিরাপদ করা তো দূরের কথা।  একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যতবার স্টেশন মাস্টারের কাছে জানতে চেয়েছি, টিকিট নেই কেন? সহজ উত্তর, শেষ। কোথায় যায় আসলে স্টেশন নির্ধারিত বরাদ্দ করা টিকিটগুলো? একটু হাঁটাহাঁটি করলেই দেখা যাবে টিকিট আছে, স্টেশন ঘনিষ্ঠ মানুষের কাছেই। যারা অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে টিকিট নিয়ে নিয়েছে নিজ কব্জায়। সুতরাং ঢালো ঘি, মাখো তেল মিলবে রেলের টিকিট নামক সোনার হরিণ।  আমাদের অনেক কিছুই বদলেছে, ডিজিটাল হয়েছে। কিন্তু রেলওয়েতে ঘাপটি মেরে থাকা কালো বিড়াল যখন যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেন তাতেই তারা কারসাজির নতুন ফর্মুলা করে যাত্রীদের হয়রানি নিশ্চিত করছে। দিনের পর দিন তারা যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রাকে অসহনীয় দুর্ভোগে পরিণত করেছে।  সম্প্রতি দুটি ঘটনায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা খাত ফের আলোচনায়। 

একজন টিটিই শফিকুল ইসলাম। যিনি রেলেরই কর্মকর্তা। কথা হচ্ছে একজন শফিকুল যদি ব্যতিক্রম না হয়ে সকলেই তার মতো হতেন তাহলে রেলে যাত্রীরা চলাচলের সময় যে ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকেন তা কমে যেত। অনেক টিটিই টিকিট নিয়ে নয়ছয়ও করেন যার ভুক্তভোগী আমিসহ আমাদের চেনা জানা অনেকেই। আরেকজন শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রেলওয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার সিন্ডিকেট বন্ধে ছয় দফা নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করছেন। তাকে এ কারণে নানা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে আজকের যে সমস্যা রেলওয়েতে তার শিকার কি শুধু একজন মহিউদ্দিন রনি? যারাই রেলে চড়েছেন তারা কোনো না কোনোভাবে দুর্ভোগ ও হয়রানির কবলে পড়েছেন। সকল কিছু বিবেচনায় এখনো রেল হচ্ছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ইকোনমি রাষ্ট্রীয় পরিবহন। যেখানে স্বচ্ছন্দে আনন্দ নিয়ে মানুষ ভ্রমণ করতে চায়। এই যে ব্যাপক সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনার মহামারি সেখানে নিরাপদ ভ্রমণে রেলই মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই খাতটি নিয়ে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেনি কখনোই। এখনো যেকোনো উৎসব পার্বণে মানুষকে বাড়ি যেতে টিকিটের জন্য গলদঘর্ম হতে হয়।

 রাতের পর রাত দীর্ঘ লাইনে নির্ঘুম কাটাতে হয়। ইট রেখে লাইন দীর্ঘ করতে হয়।  শেষ করতে চাই, রেল নিয়ে সুশাসনের দুটি ঘটনার উল্লেখ করে। দুটিই জাপানের। বেশ ক’বছর আগে জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে একটি গবেষণা হয় কিছু স্টেশন বন্ধ করে দেয়ার। গবেষণায় দেখা যায়, সেই পথে একটি স্টেশনে শুধুমাত্র একজন যাত্রী। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেই যাত্রী একজন স্কুল শিক্ষার্থী। সে প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে স্কুলে যায়। তার আরও তিন চার বছর স্কুলে যেতে হবে। জাপান সরকার এই তথ্য পেয়ে সেই স্টেশনটি বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ যাত্রী একজন হলেও এটি তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি ঘটনা ২০১৮ সালের মে মাসের। ২৫ সেকেন্ড আগে স্টেশন ত্যাগ করায় রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চায় যাত্রীদের কাছে। বলে, এতে করে আমাদের যাত্রীদের যে ধরনের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে তা ক্ষমারও অযোগ্য। এ ঘটনাকে জাপানে দেখা হচ্ছে, তারা এতই ঘড়ির কাঁটা মেপে সময় মেনে চলে সেখানে ২৫ সেকেন্ড আগে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় তাদের মান পড়ে গেছে। যাত্রীদের অহেতুক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।   জাপান থেকে ফিরি নিজ দেশে। আমাদের এখানে নয়টার গাড়ি কয়টায় ছাড়ে এটি প্রচলিত সত্য। যদিও এখন আগের চেয়ে সময়ের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু টিকিট নিয়ে নয়ছয় বন্ধ হলে, যাত্রী সেবার মান উন্নত হলে এই সেবাখাত নিয়ে মানুষের ভোগান্তি আরও কমবে আশা করা যায়। তাহলে হয়তো একজন রনির প্রতিবাদে টনক নড়লে সামনের দিন আর একাধিক রনিকে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না। রেল মেরামতের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে হবে না।  

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status