বাংলারজমিন
নাসিরনগরে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার জেরে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারনাসিরনগরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফেদিয়ারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলা ও লুটপাটকারীরা হলেন- বাবুল, খোকন, মঞ্জু, উজ্জ্বল, তোফাজ্জল, ফায়েজুল ও কবির।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চাতলপাড় বড় বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ফেদিয়ারকান্দি গ্রামের হাজী শহিদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ। একই বাজারে ব্যবসা করে একই গ্রামের বাবুল টেলিকমের মালিক বাবুল ভূঁইয়া। প্রায় ১০ মাস আগে নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে কয়েক দফায় প্রায় ২২ লাখ টাকা ধার নেয় বাবুল। পরে ধারের টাকা ফেরত চাইতে গেলেই বাধে বিপত্তি। কয়েক দফা তারিখ দিয়েও টাকা দেয়নি বাবুল। পরে চাতলপাড় বাজার শাখা সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ১০ লাখ ও ১২ লাখ টাকার দু’টি চেক প্রদান করে বাবুল। যে চেক ব্যাংকে ইস্যু করার পর দেখা যায় বাবুলের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। বিষয়টি নিয়ে বাবুলকে উকিল নোটিশ পাঠায় নূর মোহাম্মদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার রাতে বাবুল ও তার ভাইয়েরা মিলে হামলা চালায় নূর মোহাম্মদের বাড়িতে। লুট করে নিয়ে যায় নগদ দেড় লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণ। নূর মোহাম্মদের পিতা হাজী শহিদুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমার ছেলের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়েছে বাবুল। আমার ছেলে এজেন্ট ব্যাংকিং চালায়। টাকা চাইলে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গতরাতে বাবুলসহ ওর ভাইয়েরা মিলে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে দেড় লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে।
নূর মোহাম্মদের বড় ভাই নাজির আহাম্মদ বলেন, ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বাবুল। টাকা চাইলে দু’টি চেক দেয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখি কোনো টাকা নেই। আমরা উকিল নোটিশ করেছি। এজন্য পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে বাবুল ও তার লোকজন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল ভূঁইয়া জানান, নূর মোহাম্মদ প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মফিজ উদ্দিন জানান, রাতে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।