বাংলারজমিন
যবিপ্রবিতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে আল্টিমেটাম
যবিপ্রবি প্রতিনিধি
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারযশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ থেকে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে আল্টিমেটাম দিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন স্বৈরাচারী সরকারের হয়ে গত ৭ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শক্তিশালী নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি ও তার সহযোগীরা মিলে নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনা করতেন। অধ্যাপক ইকবালের সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক, উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইমদাদুল হক, উপ-রেজিস্ট্রার নিত্যানন্দ পাল, সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদ অর্ণব, সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, নিরাপত্তা সুপারভাইজার মুন্সি মনিরুজ্জামান, সেকশন অফিসার পার্থ সারথি রায়, অফিস সহায়ক আরিফুজ্জামান সোহাগসহ আরও অনেকে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তারা কোনো রাজনীতি করতে পারবে না। তার পরেও সাবেক উপাচার্যের ইন্ধনে নীল দল, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নামে স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতিবাজরা তাদের হয়ে কাজ করে গেছেন। দেশে রাজনীতিক পটপরিবর্তন হলেও সেই দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসররা এখন স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এমন অবস্থায় ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এসব দোসরদের অবিলম্বে বিচার ও অপসারণের দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, যবিপ্রবিতে স্বৈরাচারের দোসরদের উপস্থিতি ও স্বৈরাচারী মনোভাব কখনো মেনে নেয়া হবে না। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি, অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবো। এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যারাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান প্রশংসাযোগ্য। শিক্ষার্থীরা যে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গঠন করতে চায়, আমি আমার অবস্থান থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।