নির্বাচিত কলাম
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ
সর্ববৃহৎ বিরোধী দলবিহীন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের ফাইনাল পরীক্ষা
তারিক চয়ন
২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
প্রশ্ন জাগতে পারে, বিএনপি দেশের প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কিনা। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি হলেও বাস্তবে বিএনপিই যে মূল বিরোধী দল সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের অংশীদার সকলের প্রাত্যহিক কথাবার্তাতেই তা বোঝা যায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন মুখপাত্র রয়েছেন, তারা বিএনপিকে আক্রমণ করে কথা বলেননি এমন একটি দিনও খুঁজে পাওয়া দুরূহ।
কয়েকদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে (দ্বাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বক্তব্য-বিবৃতিগুলো থেকে আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষের দিকে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আভাস মিলছে।
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এদেশে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়, সেটি হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালে জেনারেল এইচ এম এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। দেশের প্রায় সকল বড় রাজনৈতিক দল ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। ১৯৯১ সালে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে জয়লাভ করে বিএনপি সরকার গঠন করেছিল।

১৯৯১ সাল থেকে পালাবদল করে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় যায়। অবশ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আজ অবধি আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় আছে। কিন্তু লক্ষণীয় যে, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে যেটি দেখা দেয় তা হলো, প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তো?
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সবারই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
গ্রিক ‘ডেমস’ অর্থ জনগণ, আর ‘ক্র্যাসি’ মানে তন্ত্র। এ দুই শব্দ নিয়ে ডেমোক্র্যাসি বা গণতন্ত্র শব্দের উদ্ভব। সেক্ষেত্রে, গণতন্ত্রের অর্থ দাঁড়াচ্ছে- জনগণতন্ত্র বা জনগণ পরিচালিত শাসনব্যবস্থা। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় যেহেতু সব মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এককথায় অসম্ভব, সেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। তাই, আধুনিককালে গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ‘মেজরিটি রুল’ বা গরিষ্ঠের শাসন বলে অভিহিত করে থাকেন। গণতন্ত্রে স্বীকৃত নির্বাচনব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠান। সংসদে সরকারি দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে। বিরোধী দল তাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে, গঠনমূলক সমালোচনা করে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনায় সাহায্য করে। সুতরাং, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন যে অপরিহার্য উপাদান তা বলাবাহুল্য। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তথা ‘প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল’ ছাড়া নির্বাচন কি সুষ্ঠু হতে পারে? এমন নির্বাচনের মাধ্যমে কি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারেন?
দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই, একমাত্র ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশের প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল (বেশ কয়েকবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া) বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে, নির্বাচনের আগেই অর্ধেক প্রার্থী (১৫৩ জন) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হিসেবে ‘নির্বাচিত’ হয়ে যান। ধরে নিলাম, বিএনপি বা তার নেতৃত্বাধীন জোট ওই নির্বাচনে অংশ নিলেও জয়ী হতে পারতো না। কিন্তু, নির্বাচনটিতে অংশ নিলে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি বা জোটের অন্তত ১ জন প্রার্থী যে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতেন, এ নিয়ে নিশ্চয়ই কারও দ্বিমত নেই। সুতরাং, সাংবিধানিকভাবে ওই নির্বাচন সঠিক হলেও বাস্তবে অন্তত ১টি সংসদীয় আসনের জনগণ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার অর্থ, সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের প্রকৃত মতামত ওই নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসেনি। আর সেজন্যই, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে আনা জরুরি। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল তো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, জাতির স্বার্থে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন।
প্রশ্ন জাগতে পারে, বিএনপি দেশের প্রধান বা সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কিনা। সাংবিধানিকভাবে দেশের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি হলেও বাস্তবে বিএনপিই যে মূল বিরোধী দল সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের অংশীদার সকলের প্রাত্যহিক কথাবার্তাতেই তা বোঝা যায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন মুখপাত্র রয়েছেন, তারা বিএনপিকে আক্রমণ করে কথা বলেননি এমন একটি দিনও খুঁজে পাওয়া দুরূহ। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন নিয়ে এবং অন্যান্য বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের বাইরে যে দলটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এবং পর্দার আড়ালে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, সে দলটিও বিএনপি।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা সফল হবে না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন সিইসি। এমনকি সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা পর্যন্ত গত মাসে এক অনুষ্ঠানে ‘বিএনপি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের বাইরে রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না। এ জন্য বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে আনতে হবে এবং সেই দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’ বিগত নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনেক আগেও (২০১৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি) সিইসি’র দায়িত্ব পালনকালে নূরুল হুদা ‘বিএনপিকে ছাড়াই কি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে’ সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘না, না, কখনো না। বিএনপি ছাড়া নির্বাচন সব দলের হয় কীভাবে? অবশ্যই বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তাদের ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। এটা আগেও বলেছি, এখনো বলছি।’
আসলে যে যাই বলুক, শুধু বিএনপিই নয়, আওয়ামী লীগকে ছাড়াও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। এ দুই দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলেও সেটিকে কেউই সুষ্ঠু নির্বাচন বলে মেনে নিতে পারেন না। ৩০০ টি আসনের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া দেশের সর্বত্র স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এ দুই দলের মধ্যেই। যার প্রমাণ পাওয়া যায়, গত ১৫ই জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন থেকে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দুই ব্যক্তির নামই বারবার আলোচনায় আসছিল। তারা দুজনই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই নেতা- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের স্নেহধন্য আরফানুল হক রিফাত এবং কুসিকের সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রার্থীর অনেক ধরনের অভিযোগ ছিল। সেসব বাদ দিয়ে, নির্বাচনটিকে সুষ্ঠু ধরে নিয়ে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী রিফাত ৫০,৩১০ এবং সাক্কু ৪৯,৯৬৭ ভোট পেয়েছেন। দুজনের ভোটের ব্যবধান মাত্র ৩৪৩। নির্বাচনে বড় চমক দেখান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের (বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠন) সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। ২৯,০৯৯ ভোট পেয়ে তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোটেরই মালিক হননি, নিশ্চিতভাবে বিজয়ী সাক্কুকেও হারিয়ে দিয়েছেন বলেই কুমিল্লা শহরের অনেকে বলাবলি করছেন। বিএনপি’র একটি অঙ্গ সংগঠনের নেতা কায়সার শহরের ‘একচ্ছত্র অধিপতি’ বলে পরিচিত এমপি বাহার সমর্থিত প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা রিফাতের প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেকেরও অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। সুতরাং, বিএনপি’র একক প্রার্থী সাক্কু না হয়ে কায়সারও যদি হতেন, তাহলে এই ‘নতুন চমক’ কায়সারই রিফাতকে হারিয়ে দিতে পারতেন, এমন আলোচনাও চলছে।
অতএব, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুটি দলের কোনো একটিকে ছাড়া যে অংশগ্রহণমূলক তথা জনগণের রায় নির্ধারণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয় কুসিক নির্বাচন সেটাই প্রমাণ করে। আর (স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও) সে কারণেই হয়তো প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কুসিক নির্বাচন নিয়ে নানা হিসাব কষতে সরজমিন কুমিল্লা সফর করছেন। যাই হোক, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হওয়াটা যেমন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমঝোতায় পৌঁছলে সাংবিধানিক বা যেকোনো সংকট থেকে উত্তরণ যে মুহূর্তের ব্যাপার সেটাও সবাই মানেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৩শে জুলাই) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিলেও বিএনপিকে বাধা না দিয়ে বসাবেন ও চা খাওয়াবেন। তিনি বলেছেন, ‘কথা বলতে চাইলে শুনবো। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’ ওই একই দিন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকও বলেছেন, ‘ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। জনগণ আমাদেরকে ভোট না দিলে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো। বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, কোনোদিন ক্ষমতায়ও আসতে পারবে না।’
এসবের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার কার্যালয়ে গেলে চা খাওয়াবেন। তার আগে বলে দেন, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট সিস্টেম মেনে নিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়া যাবে, অসুবিধা নেই।’ বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘মেট্রিক পরীক্ষা দেয়ার আগে আমরা টেস্ট পরীক্ষা দিতাম। ফাইনাল পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা দিতে হয়। ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া লাগবে না, টেস্ট পরীক্ষাতেই বর্তমান সরকারের গদি উল্টে যাবে।’
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এসব কিছুই গণতন্ত্রের ভাষা। কিন্তু, এসবের পাশাপাশি দুই দলের নেতারা আরও অনেক কিছুই বলেছেন। ইচ্ছে করেই সেসব কিছু লিখলাম না। খামোখা, পরস্পর তিক্ততা বাড়িয়ে দেশ ও জনগণের ক্ষতি বই লাভ নেই। আমরা বরং, প্রকৃত অর্থেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক ফাইনাল পরীক্ষা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্য করুন
নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন
নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত
বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ বাংলাদেশের অর্থ পাচার, ভারতের আনন্দবাজার, ইউরোপের কালো তালিকা
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ নির্বাচন ঘিরে একই প্রশ্ন, আমেরিকা কি ম্যানেজ হয়ে যাবে?
আন্তর্জাতিক/ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এবং পশ্চিমাদের অবস্থান
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি, সরকারের নীরবতা, অ্যাকশনে অন্যরাও?

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]