বাংলারজমিন
রংপুরে সারজিস হাসনাতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা জাপা’র
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় পার্টি মুখোমুখি অবস্থান করছে। জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর বলায় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দলটি। এ নিয়ে রংপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই সমন্বয়ককে রংপুরে প্রবেশ ঠেকাতে জেলা-উপজেলা, মহানগর কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে দলটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। অপরদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জাতীয় পার্টির বক্তব্য প্রত্যাহারসহ হুঁশিয়ার দিয়েছেন।
সোমবার রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে জেলা, মহানগর এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলটির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের কো- চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা। সভাপতির বক্তব্যে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ রংপুরে আসতে পারবে না। যদি কোনো ফেসবুকে মেসেজে দেখেন তারা রংপুরে আসছে, তাহলে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। এই আন্দোলন পুলিশ, বিজিবি না র্যাব ঠেকাতে তাই দেখা যাবে। তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেক উপজেলার নেতৃবৃন্দ কান খুলে শোনেন, মহানগর থেকে যখনই ঘোষণা আসবে, সারজিস ও হাসনাতের কোনো অংশগ্রহণ রংপুরের মাটিতে হতে দেয়া হবে না। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার আপনারা কান খুলে শুনে রাখেন, রাজনৈতিক সংলাপে জাপাকে আমন্ত্রণ করা না হলে সেই সংলাপ রংপুরে হতে দেবো না। জাপা ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। রংপুরে আমাদের অস্তিত্ব। এটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে আমি মোস্তফা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবো।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার এ বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। তারা সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা হুঁশিয়ার সাবধান, ‘দালালের ঠিকানা এই রংপুরে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘সারজিস-হাসনাতের অপমান মানবে না রংপুরের জনগণ’, ‘২৪’র বিপ্লবীদের অপমান মানবে না জনগণ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরপর মেডিকেল মোড়ে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, ইমতিয়াজ ইমতি, মোতাওয়াক্কিল বিল্লাহসহ অন্যরা। এ সময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। তাদেরকে নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস যদি কেউ দেখায়, তাদের সমুচিত জবাব এই রংপুর থেকেই প্রথম শুরু হবে। আমরা জাতীয় পার্টির বক্তব্য প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।
পাঠকের মতামত
জাতীয় পার্টিরও মরনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ইহারা ফ্যাসিবাদের দোসর।
ফেসিস্ট হাসিনার দল জাতীয় পার্টির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাচ্ছে। জাতীয় পার্টির সমূলে উত্পাটন সময়ের দাবি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
Bnp সহ অন্যান্য দলের সমন্বয়ক দের পক্ষ নেওয়া উচিত দ্রুত
এই পার্টিটাকে ডিলিট করে দেওয়া দরকার। এরা সব সময় জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়েছে। দেশ ও জনগণের বিরাট ক্ষতি করেছে এরা।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহায়ক শক্তি জাতীয় পার্টি ধৃষ্টতা দেখাতে শুরু করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক।
জাতীয় পার্টি আছেনি দেশে ----
এটা জাতীয় পার্টি নয়, তারা হচ্ছে জাতীয় বেইমান মুনাফিক পার্টি। এদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হোক।
জাতিয় পার্টী একটি বেইমানী পার্টী। বাংলাদেশের জনগন জানে এটা গৃহপালিত পার্টী। সব সময় সুজোগ সন্ধানি।
১৭ টা বছর ফেসিবাদকে সমর্থন দিতে ভাই ও ভাবীর সাথে মিলে আপনারা যা করেছেন তা জাতি ভুলেনি। আগে ফেসিবাদের দোষরদের বিচার জরুরী।
জাতীয় পার্টিকে কেউ গোনাই ধরে বলে মনে হয় না। সারজিস ও হাসনাত জদি রাজনৈতিক দল করে জাতীয় পার্টির থেকে বেশি ভোট পাবে এই দুইজন। জাতীয় পার্টিকে আমরা জাতীয় বেঈমান বলেই জানি।
কোথায় ছিল এই শক্তি এতদিন??? মোস্তফা সাহেব, রংপুরে আপনার নিজের ঠাই আছে কিনা এইটা আগে দেখেন । জনগণ কি পরিমাণ থুতু দেয় সেটি দেখেন ।
জাতীয় পার্টির দলটাকে নিষিদ্ধ করা হোক
স্বৈরাচারের দোসরদের এত কী শক্তি?
We must wipe out all fascists and their friends and collaborators from Bangladesh.
দালাল পার্টিকে দাঁতভাঙা জবাব দাও। ছাত্রদের সাথে একমত।
জাতীয় পার্টিকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত কারণ তারা মেরুদন্ডহীন ও একটি গৃহপালিত বিরোধীদল।
জাতীয় পার্টির নেতাদের লজ্জা করেনা!! তাদের দুর্গ আজ আওয়ামী লীগের কাছে বন্ধক দেওয়া।