বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে পুলিশ হেফাজতে ফেসবুক লাইভে চেয়ারম্যান, জেলা জুড়ে তোলপাড়
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১৪ অক্টোবর ২০২৪, সোমবারপুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ফেসবুকে লাইভে এসে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। তার এমন কর্মকাণ্ডে এখন জেলা জুড়ে চলছে তোলপাড়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্তব্য ও পেশাদারিত্ব নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
জানা যায়, জেলা জুড়ে চিনি চোরাচালানসহ নানা অপকর্ম ও অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রের হোতা রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান ও অলিলা গ্রুপের এমডি সাবেক এমপি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর ছোট ভাই আতাউর রহমান (৪৬) শুক্রবার রাতে র্যাবের হাতে আটক হন। এরপর এমন বিতর্কের জন্ম দেন।
আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের কোনো পদধারী বা সক্রিয়কর্মী না হয়েও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে চ্যালেঞ্জ করে বাগিয়ে নেন দলীয় মনোনয়ন। অভিযোগ ওঠে ওই সময়ে বড় অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তখন ইউপি চেয়ারম্যানের ওই মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে জেলা জুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ ও বিতর্ক। শুরুতে এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এখন আবারো তাকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কারণ গ্রেপ্তার অবস্থায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। জানা যায় পলাতক ও আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাত ২টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আতাউরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর থানা হাজতে পুলিশ হেফাজত থেকে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আতাউরের ভাই সাবেক এমপি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দহরম মহরম ও সখ্যতা ছিল। সে সুবাদে এখনো প্রভাব দেখাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। এ বিষয়ে র্যাব জানিয়েছে ওইদিন সকালেই তাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আতাউর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে লাইভে এসে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়ে নিজেকে ওই মামলাগুলোতে নির্দোষ থাকার কথা জানিয়ে কামারচাক ইউনিয়নবাসীর কাছে দোয়া চান। তিনি নিজ ইউনিয়ন ছাড়েননি বলেই গ্রেপ্তার হন বলে জানান। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি মৌলভীবাজার মডেল থানার একটি কক্ষে ধারণ করা হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর ওই ভিডিওটি আর তার আইডিতে পাওয়া যায়নি। তিনি মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুর রহমানের ভাই। গোপন সূত্রে ১০ই অক্টোবর রাতে আতাউর রহমানের গুদাম থেকে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ২৩১ বস্তা চিনি পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় তার নামে রাজনগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান র্যাবের হাতে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থানায় হস্তান্তরের কথা স্বীকার করে জানান, পুলিশ হেফাজতে ফেসবুক লাইভের বিষয়টি তার জানা নেই। ওই ভিডিওটি পূর্বেরও হতে পারে। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্ব্প্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা মুঠোফোন মানবজমিনকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে ওইদিন রাতেই মৌলভীবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এখনো আওয়ামি পুলিশ লিগের পুলিশ কর্মরত তাই এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না
এটিই প্রমাণ করে প্রতিটি বাহিনী এবং সরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে অপারেশন ক্লিন্হার্ট ছাড়া , বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার উপায় নাই।
The OC and related others should be brought to justice immediately.