বিশ্বজমিন
মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪২ অপরাহ্ন
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয়তবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) অজিত শিবিরের নেতা বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে পুত্র জিশানের অফিসের কাছে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি চালায় হামলাকারীরা। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে লুটিয়ে পড়েন বাবা সিদ্দিক। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাবা সিদ্দিককে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৬৬ বছর বয়সী এনসিপি নেতার শরীরে মোট চারটি গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে সূত্র। তার একজন সহকারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ বছরের শেষে মহারাষ্ট্রে বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা, তার আগেই সেখানে সাবেক মন্ত্রীর হত্যাকাণ্ড বেশ রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, তিনি হাসপাতালের পুলিশ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশের এবং অন্যজন হরিয়ানার। বাকিরা এখনও পলাতক। এ বিষয়ে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন একনাথ শিন্ডে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ত্যাগ করেন সিদ্দিকি। যোগ দেন অজিত শিবিরে। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকি। সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে মূল স্রোতের রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বান্দ্রা এলাকার এই নেতা। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিন বার ভোটে জিতলেও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে গিয়েছিলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী কেবল তার রাজনৈতিক বুদ্ধির জন্যই নয়, জমকালো পার্টি আয়োজনের জন্যও বেশ পরিচিত ছিলেন। ২০১৩ সালে এক ইফতার পার্টির মাধ্যমে সালমান-শাখরুখের ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিলেন সিদ্দিক। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই সালমান খান ও অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন।
একটি গানের কলি মনে পড়ে গেল। এই যে দুনিয়া কিসের ও লাগিয়া এত যত্নে গড়িয়াছ সাই। তুমি হাকিম হইয়া হুকুম কর পুলিশ হইয়া ধর স্বর্প হইয়া দংশন কর উজা হইয়া ঝার ঘটনা কি তদ্রুপ মনে হচ্ছে পাঠক ? মূখ্য মন্ত্রী খোঁজ খবর নিচ্ছেন । তার ভাবি প্রতিদ্বন্দ্বীর মৃত্যুর। নির্বাচনের আগেই বিদায়ের বন্দোবস্ত হল ।