বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবারনোয়াখালীতে খাল থেকে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় হুমকির মুখে খালের পাড়। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে খালের পাশের এলাকায় হুমকিতে রয়েছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গতকাল ছাত্রদল নেতার বালু উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নজরে এলে তারা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি/সম্পাদক বরাবর তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়। জানা গেছে, সরকার পতনের পর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়া এলাকার নোয়াখালী খালের অলি মাঝির খেয়া, নজির মিস্ত্রির খেয়া ও বিডিপি বাজারের খাল এলাকায় ৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। বালু বন্ধে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিলে ছাত্রদল নেতা মিজান ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যাচার করে।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুনের অবৈধভাবে বল প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়া এলাকার নোয়াখালী খাল থেকে ৪/৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। এই বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের জমিতে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে বাধা দেয়। বাধা দেয়ার পর সে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করেন। এতে করে সাধারণ জনগণের মাঝে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, হারুনের বিরুদ্ধে ৫ই আগস্টের পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অনেক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নন। কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মহসিন রিয়াজ ও সদস্য সচিব মো. ইয়াছিন ফরহাদ বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রদলের নেতার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি/সম্পাদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমাদের জেলা কমিটি বর্তমানে না থাকায় আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/সম্পাদককে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।