বাংলারজমিন
ছাত্র-জনতাকে গুলিবর্ষণকারী আসামির রিমান্ডের বিরোধিতা করলেন বিএনপি নেতা
স্টাফ রিপোর্টার পাবনা থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারপাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। এনিয়ে জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইছে। ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ আলী খানকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। পরের দিন মঙ্গলবার পাবনার আমলী-২ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. ইউসুফ আলী এবং পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন।
স্বৈরাচারের দোসর ও ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারীর পক্ষে মাসুদ খন্দকারের শুনানির বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন বলেন, ‘বিষয়টি শতভাগ সত্য। এখনো রাস্তায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ শুকাইনি, একটা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হয়ে এরকম একটা মামলায় আইনি প্রটেক্টশন দিলে নীতিবিবর্জিত মানসিকতা বলে মনে করি।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর কোনো প্রমাণ নেই। এখন যারা আমার ভালো চায় না তারা এবং একটি চক্র দলের মধ্যে এবং দলের বাইরে যারা অন্যের ভালো চায় না তারা এগুলো বলছে।’
এবিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এটা মিথ্যা কথা। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে বলেছে এটা মিথ্যা কথা। এখন যারা এসব নিয়ে ফেসবুকে লিখছে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।
জাতে উকিল,ভাল দাম পেলে এরা বাপকেও বেচে দিবে ।
এটা বুঝি আাইন ব্যবসা?
এসব কালপিটদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা উচিত।
উকিলদের কোন নীতি থাকে না। এরা নীতিহীন জীব।
ফেসিবাদের পক্ষ অবলম্বনকারী নৈতিকতা হীন কাজে জড়িত আইনজীাবদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
একজন খুনী সম্পর্কে বিএনপি নেতার এই মন্তব্যের জন্য তাকে ও আটক করে রিমান্ডে নেওয়া উচিত। বিএনপি'র এই নেতার সাথে নিশ্চয় BAL এর ঐ নেতার বেয়াই -বেয়াইন সস্পর্ক রয়েছে অথবা চাঁদাবাজি বা ভূমি দখলের মতো কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার
দিনে বি এন পি রাতে আওয়ামিলিগ – এই জাতীয় লোকের কারনেই এই দলটার আজ করুণ অবস্থা ! আর এদেশের বারোটা বেজেছে ! মূলতঃ আওয়ামিলীগ ও বি এন পি-সি এন পির মধ্যে নীতিগত কোন পারথক্য নেই।
এডভোকেট নামের এই দেশদ্রুহীকেও আইনের আওতায় আনা হোক।মির্জা ফখরুল সাহেব সতর্ক হোন।
একই কথা আর কত বলা যায়। আসলে আওয়ামিলীগ ও বিএনপি ভারতের এ ও বি টিম। বাইরে যত শত্রুতা দেখাক ভিতরে একই মাল।
নীতি এবং নৈতিকতা অপেক্ষা টাকা যখন বড় বা সর্বেসর্বা হয়ে দাঁড়ায় তখন বুঝতে হবে এই ধরনের মানুষদের বিবেক মৃত্যু বরণ করেছে। আর যে মানুষের বিবেক মারা যায় তার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। সুতরাং এই এ্যাডভোকেট হতে সাবধান।
টাকার কাছে পরাজিত বিবেক