বাংলারজমিন
বগুড়ায় ট্যাংক বিস্ফোরণ
চার শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবারবগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্টস্ লিমিটেডের ভোজ্য তেল উৎপাদনের মিলে তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তবে বিকালে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার না দেয়ায় মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি পুলিশের। তদন্ত কমিটির মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আব্দুল মজিদ আহ্বায়ক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ কাইয়ুম সদস্য সচিব এবং শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. কামাল হোসেন, শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও কলকারখানা-প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শককে সদস্য করা হয়েছে। গঠিত কমিটির সদস্যগণকে ঘটনাস্থল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সরজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়াটা খুবই জরুরি মনে করি। কারণ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, সেখানে যারা কাজ করছিলেন তারা ছিলেন শ্রমিক। আমরা কোনো টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বা এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কাউকে পাইনি। তাই এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে আরও এই ধরনের ১২টি ট্যাংকার রয়েছে। এসব ট্যাংক পরিষ্কার ও মেরামত কাজে প্রতিনিয়তই অনেক শ্রমিক কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গঠিত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সে অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা নামক স্থানে অবস্থিত মজুমদার প্রোডাক্টস্ লিমিটেড ভোজ্য তেল স্বর্ণা রাইস ব্র্যান্ড অয়েল মিলের লাইন মেরামতের সময় মজুত রাখা তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। এরমধ্যে ৪ জন শ্রমিক মারা যান। তারা হলেন- নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌর শহরের অফিসার্স কলোনি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (৩২), একই এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে মোহাম্মদ আবু সাঈদ (৩৮), আব্দুস সালামের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৮) ও একই গ্রামের বাসিন্দা রুবেল আহমেদ (৩১)। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।