বাংলারজমিন
চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: মির্জা আব্বাস
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারকোথাও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার বাদ আসর রাজধানী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে ‘আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের নামে সারা দেশে সন্ত্রাসীরা এমন এমন অপকর্ম করতেছে, অথচ তারা কেউ বিএনপি করে না। যারা বিএনপি করে তারা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানরা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সৈনিকরা এমন কুকর্ম করতে পারে না। এ সময় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওদিকে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতাকে দেখতে যান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। পরে তিনি বলেন, ১৫ই আগস্টকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচনের মতো ষড়যন্ত্র চলছে। জাগ্রত ছাত্র-জনতা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। ছাত্র-জনতার পছন্দে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। ফলে তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। মঈন খান বলেন, ছাত্ররা প্রমাণ করেছে কোনো স্বৈরাচারী সরকার নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তাদের এ সাফল্য বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, চক্রান্তকারীরা আমাদের বিভক্ত করে দেশে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমাদের এই দীর্ঘদিনের সমাজকে ভাঙতে চায়। আমরা বাংলাদেশি, কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিষ্টান বিএনপি কখনো পার্থক্য করেনি। শেখ হাসিনা এটা করতেন। কথায় কথায় তিনি বলতেন এটা সাম্প্রদায়িকরা করেছেন। আপনি (শেখ হাসিনা) এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন। আপনার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কক্সবাজার, বগুড়া, পাবনায় এতগুলো মন্দির কেন ভাঙা হয়েছে? আমাদের অন্য ধর্মাবলম্বী ভাইবোনরা সবচেয়ে অনিরাপদ ছিল শেখ হাসিনার শাসনামলে।